শর্ত ভাঙলে ভিসা ইস্যুর পরও বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা পাওয়ার পরও প্রার্থীদের নিরাপত্তা যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হয় না। ভিসা ইস্যু হওয়ার পর যদি কোনো ব্যক্তি আইন লঙ্ঘন করেন বা ভিসার শর্ত ভঙ্গ করেন, তবে তার ভিসা বাতিল করা হতে পারে।
সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।
পোস্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটি ভিসা আবেদনকারীকে বিস্তৃত নিরাপত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এ প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীর তথ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সন্ত্রাসবিরোধী ডেটাবেসের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আরও জানায়, ভিসার অপব্যবহার রোধে তারা এ ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে থাকে, যা যুক্তরাষ্ট্রে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা পাওয়ার পরও প্রার্থীদের নিরাপত্তা যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হয় না। ভিসা ইস্যু হওয়ার পর যদি কোনো ব্যক্তি আইন লঙ্ঘন করেন বা ভিসার শর্ত ভঙ্গ করেন, তবে তার ভিসা বাতিল করা হতে পারে।সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।পোস্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটি ভিসা আবেদনকারীকে বিস্তৃত নিরাপত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এ প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীর তথ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সন্ত্রাসবিরোধী ডেটাবেসের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়।যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আরও জানায়, ভিসার অপব্যবহার রোধে তারা এ ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে থাকে, যা যুক্তরাষ্ট্রে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক।ভোরের আকাশ/জাআ
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ইস্যুতে এতদিন কৌশলী অবস্থান নিলেও এবার নিজেদের স্পষ্ট মনোভাব জানাল চীন। রাশিয়ার দীর্ঘদিনের মিত্র দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন, এই যুদ্ধে রাশিয়ার পরাজয় মেনে নেবে না বেইজিং। তার দাবি, চীন রাশিয়াকে হারতে দেবে না।বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কালাসের সঙ্গে চার ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ওয়াং ই। বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে চীনের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বেইজিং কোনোভাবেই রাশিয়ার পরাজয় মেনে নেবে না। রাশিয়াকে আমরা হারতে দেব না।”ওয়াং ই বলেন, “যদি রাশিয়া ইউক্রেনে পরাজিত হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের নজর সরাসরি চীন এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দিকে ঘুরে যাবে। তখন একমাত্র লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠবে চীন।” ফলে ভূরাজনৈতিক সমীকরণ বিবেচনায় রেখেই মস্কোর পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে বেইজিং— এমনটাই ইঙ্গিত দেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।তবে চীন বরাবরই দাবি করে এসেছে, তারা রাশিয়াকে কোনো সামরিক সহায়তা দেয়নি। এবারও ওয়াং ই বলেন, “যদি চীন রাশিয়াকে সহায়তা দিত, তাহলে যুদ্ধ অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত।” তিনি আরও জানান, বেইজিং শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং কূটনৈতিক আলোচনার পক্ষেই রয়েছে।রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়াও সাইবার নিরাপত্তা, বিরল খনিজ সম্পদ এবং ইইউ-চীন বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয় বলে নিশ্চিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।পরদিন শুক্রবার (৫ জুলাই) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন মুখপাত্র মাও নিং। তিনি বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান সবসময়ই নিরপেক্ষ ও গঠনমূলক। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সমাধান ও সংলাপের মাধ্যমে এই যুদ্ধের অবসান হোক। কারণ, এই সংঘাত দীর্ঘায়িত হলে কেউই লাভবান হবে না।”সূত্র: সিএনএন, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টভোরের আকাশ//হ.র
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া শুল্ক হুমকির মুখেও নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছে ভারত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর চাপকে ‘গুরুত্বহীন’ হিসেবে দেখছে নয়াদিল্লি। তবে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চালু রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়াল। খবর রয়টার্স-এর।শুক্রবার (৫ জুলাই) দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পীযূষ গোয়াল বলেন, “ভারত সর্বদা জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। কোনো সময়সীমার চাপ কিংবা একতরফা শর্তে নয়—আমরা কেবল তখনই চুক্তি করব, যখন তা দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে।”উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ৯ জুলাইয়ের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানায়। চুক্তি না হলে ভারতসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ওপর ১০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।ট্রাম্প আরও বলেন, “আমরা আগামীকাল থেকেই ১০-১২টি দেশের কাছে চিঠি পাঠানো শুরু করব। এসব চিঠিতে নতুন শুল্কের হার জানানো হবে।” তিনি জানান, বহুপাক্ষিক আলোচনায় সময়ক্ষেপণ হচ্ছে বলেই তিনি সরাসরি দ্বিপাক্ষিক পথে হাঁটছেন।পীযূষ গোয়াল স্পষ্ট ভাষায় জানান, “মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি তখনই সম্ভব, যখন তা দুই পক্ষের মধ্যেই ভারসাম্যপূর্ণ সুবিধা নিশ্চিত করে। জাতীয় স্বার্থ নিশ্চিত না হলে ভারত কোনো চুক্তিতে যাবে না।”তিনি আরও বলেন, “আমরা উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে ভালো চুক্তিতে আগ্রহী, কিন্তু সময়সীমা পূরণের জন্য নয় বরং নিজস্ব অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায়। এটা ভারতের বাণিজ্যনীতির মৌলিক অবস্থান।”বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই অবস্থান ওয়াশিংটনের জন্য চাপ তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে যখন ট্রাম্প প্রশাসন বৈশ্বিক বাণিজ্যে কঠোর শুল্কনীতি গ্রহণ করছে।ভোরের আকাশ//হ.র
ইসরায়েলের গোপন পারমাণবিক কর্মসূচি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছিলেন মোর্দেচাই ভানুনু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ফাঁস করা তথ্যই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। হানিট্র্যাপের ফাঁদে পড়ে মোসাদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর ইসরায়েলে ফিরিয়ে এনে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দেওয়া হয় ১৮ বছরের কারাদণ্ড।ঘটনাটি ১৯৮৬ সালের। ইসরায়েলের সাবেক পারমাণবিক প্রকৌশলী মোর্দেচাই ভানুনু ছুটি কাটাতে লন্ডনে যান। কিন্তু পর্যটক হিসেবে শহর ঘোরার বদলে তিনি সোজা চলে যান The Sunday Times পত্রিকার অফিসে। সেখানে গিয়ে তিনি ফাঁস করে দেন ইসরায়েলের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির তথ্য, যা দেশটি তখনও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি।বিশ্বব্যাপী সংবাদ শিরোনাম হয় এই খবর। ভানুনুর দেওয়া ছবিসহ তথ্যপ্রমাণে প্রকাশ পায়, ইসরায়েল গোপনে পরমাণু বোমা তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে। এতে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।তবে তথ্য ফাঁসের পর The Sunday Times ভানুনুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাকে একটি সেফ হাউসে গোপনে রাখে। কিন্তু ভানুনু নিয়মিত সেই গোপন অবস্থান থেকে বাইরে বের হয়ে ঘুরতেন। একসময় লন্ডনে পরিচয় হয় ‘সিনডি’ নামের এক নারীর সঙ্গে। দ্রুতই সেই পরিচয় প্রেমে রূপ নেয়। পরে জানা যায়, সিনডির প্রকৃত নাম চেরিল বেন টভ—যিনি আসলে একজন মোসাদ এজেন্ট।ভানুনু যখন প্রেমে আচ্ছন্ন, তখন হঠাৎই ‘সিনডি’ জানান, তাকে ইতালিতে ফিরে যেতে হবে। ভানুনুও তার সঙ্গে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। Sunday Times আপত্তি করলেও শেষ পর্যন্ত তাদের যেতে বাধা দেয়নি। রোমে পৌঁছানোর পরই মোসাদ তাকে আটক করে। তার শরীরে চেতনানাশক প্রয়োগ করে গোপনে জাহাজে তুলে নেওয়া হয় ইসরায়েলে।সেখানে পৌঁছানোর পর ভানুনু জানতে পারেন, ‘সিনডি’র পুরো প্রেমটাই ছিল মোসাদের ফাঁদ—একটি পরিকল্পিত হানিট্র্যাপ। এরপরই তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রদ্রোহ ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয় এবং আদালত তাকে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দেয়।২০০৪ সালে কারাভোগ শেষে মুক্তি পেলেও, তার ওপর এখনো একাধিক নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। তিনি ইসরায়েল ত্যাগ করতে পারেন না এবং বিদেশি সাংবাদিক বা কূটনীতিকদের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগের অনুমতি নেই।মুক্তির পর ভানুনু এক বিবৃতিতে বলেন, “আমি অনুতপ্ত নই। বরং আমি গর্বিত, কারণ আমি সত্য প্রকাশ করেছি।”ভোরের আকাশ//হ.র