আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৫ ১২:৩১ পিএম
সংগৃহীত ছবি
চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে শুরু হওয়া বর্ষা মৌসুমে পাকিস্তানে অন্তত ২০২ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে ৯৬ জনই শিশু।
শনিবার (২০ জুলাই) পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) এ তথ্য জানিয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সরকারি তথ্য বলছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পাঞ্জাবে সবচেয়ে বেশি ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৪০ জন, সিন্ধুতে ২১, বেলুচিস্তানে ১৬ এবং ইসলামাবাদ এবং আজাদ জম্মু-কাশ্মীরে একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন।
কেবল ঘরের ছাদ ধসেই প্রাণ গেছে ১১৮ জনের। এছাড়া, আকস্মিক বন্যা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, জলাবদ্ধতায় ডুবে যাওয়া, বজ্রপাত এবং পাহাড়ধসেও অনেকে নিহত হয়েছেন। একই সময় আহত হয়েছেন ৫৬০ জনের বেশি, যাদের মধ্যে ১৮২ জন শিশু রয়েছে।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, রাওয়ালপিন্ডিতে আকস্মিক বন্যা ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও বাজার ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, ধামিয়াল, হাতি চক ও মর্গাহের মতো পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে। টেঞ্চ ভাটা ও ফৌজি কলোনিতে পানির স্তর বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যায়–কিছু এলাকায় ছাদ পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ায় বাসিন্দাদের তাদের জিনিসপত্র ফেলে রেখে পালাতে বাধ্য হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ