জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিত করল ইরান
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিত করেছে ইরান। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গার্ডিয়ান কাউন্সিলের এক মুখপাত্র জানান, বুধবার (২৫ জুন) ইরানের পার্লামেন্টে আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সেটিকে অনুমোদন দেয় দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার আওতাধীন সংস্থা গার্ডিয়ান কাউন্সিল। ফলে আইএইএর সঙ্গে ইরানের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থগিত হয়েছে।
এর আগে সরকারি ঘরানার সংবাদমাধ্যম নূর নিউজ জানায়, পার্লামেন্টে অনুমোদিত ওই বিল অনুসারে, এখন থেকে আইএইএ পরিদর্শকদের ইরানে প্রবেশ করতে হলে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পূর্বানুমতি এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজন হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ইরানের রাজধানী তেহরানসহ কয়েকটি শহরে বিমান হামলা চালায়। ওই ঘটনার পর থেকেই আইএইএর প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল ইরান। দেশটির অভিযোগ—ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনায় পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছে জাতিসংঘের এই সংস্থা।
এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতেই পার্লামেন্টে আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিতের বিল উত্থাপন ও গৃহীত হয় এবং পরদিন তা অনুমোদিত হয় গার্ডিয়ান কাউন্সিলের মাধ্যমে।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিত করেছে ইরান। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে গার্ডিয়ান কাউন্সিলের এক মুখপাত্র জানান, বুধবার (২৫ জুন) ইরানের পার্লামেন্টে আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সেটিকে অনুমোদন দেয় দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার আওতাধীন সংস্থা গার্ডিয়ান কাউন্সিল। ফলে আইএইএর সঙ্গে ইরানের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থগিত হয়েছে।এর আগে সরকারি ঘরানার সংবাদমাধ্যম নূর নিউজ জানায়, পার্লামেন্টে অনুমোদিত ওই বিল অনুসারে, এখন থেকে আইএইএ পরিদর্শকদের ইরানে প্রবেশ করতে হলে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পূর্বানুমতি এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজন হবে।উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ইরানের রাজধানী তেহরানসহ কয়েকটি শহরে বিমান হামলা চালায়। ওই ঘটনার পর থেকেই আইএইএর প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল ইরান। দেশটির অভিযোগ—ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনায় পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছে জাতিসংঘের এই সংস্থা।এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতেই পার্লামেন্টে আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিতের বিল উত্থাপন ও গৃহীত হয় এবং পরদিন তা অনুমোদিত হয় গার্ডিয়ান কাউন্সিলের মাধ্যমে। ভোরের আকাশ/হ.র
ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতের পর জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে প্রথমবারের মতো ভাষণ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দেওয়া এ ভাষণে তিনি সাম্প্রতিক যুদ্ধে তেহরানের বিজয় দাবি করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান তুলে ধরেন।খামেনি বলেন, “ভুয়া ইহুদি শাসনের বিরুদ্ধে বিজয়ের জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তারা চরম ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়েছে। তারা যতই শক্তির কথা বলুক, আমাদের প্রতিরোধের মুখে তারা প্রায় পতনের মুখে পৌঁছে গিয়েছিল।”তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছিল— কারণ তারা জানতো ইসরায়েলকে রক্ষা না করলে তাদের পতন অনিবার্য। তবে মার্কিন হস্তক্ষেপ কিছুই অর্জন করতে পারেনি। বরং এখানে প্রকৃত বিজয় হয়েছে ইরানের।”দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে খামেনি বলেন, “ইরানের ৯ কোটি মানুষ সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় ঐক্য ও সহমর্মিতা ছিল অসাধারণ। আমরা প্রমাণ করেছি— প্রয়োজন হলে পুরো জাতি একত্রিত হতে পারে।”তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “যদি কেউ ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাতে চায়, তবে তাকে চড়া মূল্য দিতে হবে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শত্রুপক্ষের নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে তাদের মূল স্থাপনাগুলোতে সফলভাবে আঘাত হেনেছে।”মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের জবাবে খামেনি বলেন, “ট্রাম্প বলেছেন, তারা আমাদের পারমাণবিক অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তারা সত্য আড়াল করার চেষ্টা করছে। সময়ই বলে দেবে কারা আসলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র চায় ইরান আত্মসমর্পণ করুক। কিন্তু ইরান কখনো মাথানত করবে না। আমরা শক্তিশালী, মর্যাদাসম্পন্ন জাতি— যারা ইতিহাসের অংশ এবং ভবিষ্যতের নির্মাতা।”ভাষণের শেষ অংশে খামেনি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “এই বিজয় আমাদের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। ইরানের জনগণ সম্মানিত ও বিজয়ী— এবং তারা এমনই থাকবে।” ভোরের আকাশ/হ.র
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তিন নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। বুধবার (২৫ জুন) দেশটির বিচার বিভাগের অনলাইন নিউজ পোর্টাল মিজান অনলাইন-এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর উর্মিয়ার একটি কারাগারে বুধবার সকালে তিনজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।এদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে “আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা” এবং “পৃথিবীতে অশান্তি ছড়ানো”র অভিযোগ আনা হয়েছিল। ইরানে এসব অভিযোগের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা ছিল বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত গুপ্তচর। তারা ‘মদ্যপানযোগ্য পণ্যের চালান’ আড়াল করে দেশে “হত্যার সরঞ্জাম” পাচার করছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।তবে কখন বা কীভাবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৩ জুন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরুর পর ইরান আরও অন্তত তিনজনকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়।সূত্র: আল জাজিরা, মিজান অনলাইন।ভোরের আকাশ//হ.র
পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার নেদারল্যান্ডসের হেগে ন্যাটো সম্মেলনের ফাঁকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।ট্রাম্প বলেন, সাম্প্রতিক ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের কারণে যে সংলাপ প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল, সেটি আবার শুরু হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “আমি তোমাদের একটা কথা বলি, আমরা আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছি। আমরা হয়তো একটি চুক্তিও করতে পারি—তবে আমি জানি না।”যদিও তিনি ইরানের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী নন বলেও মন্তব্য করেন। তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কার্যত ধ্বংস হয়েছে।ট্রাম্প বলেন, “আমার দৃষ্টিতে তারা যুদ্ধে লড়েছে, এবং যুদ্ধ শেষ হয়েছে।”সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগে ইরান পারমাণবিক সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার পর্যাপ্ত সময় পায়নি। তিনি বলেন, “এসব জিনিস খুবই ভারী, সরানো সহজ নয়।”সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ট্রাম্প শান্তির পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন এবং যারা শান্তি চায়, তাদের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা রাখতে চান।রুবিও জানান, আলোচনা শুরু হবে কি না, তা নির্ভর করবে ইরানের অংশগ্রহণের ইচ্ছার ওপর।অন্যদিকে ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি না এটা খুব প্রয়োজনীয়। তারা একটি যুদ্ধে ছিল, তারা লড়েছে, এখন তারা নিজেদের পথে ফিরে গেছে। কোনও সমঝোতা হলো কি না, সেটা আমি খুব একটা পরোয়া করি না। আমরা শুধু তাদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি।”সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা।ভোরের আকাশ//হ.র