বাণিজ্য যুদ্ধ নিরসনে লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বৈঠক শুরু
চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ নিরসনে লন্ডনে মুখোমুখি বৈঠকে বসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। সোমবার যুক্তরাজ্যের ল্যাঞ্চেস্টার হাউজে শুরু হওয়া এই উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিয়েছেন উভয় দেশের শীর্ষ বাণিজ্য ও অর্থনীতিবিষয়ক প্রতিনিধি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার। চীনের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী হে লিফেং। আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির মধ্যে কয়েক বছর ধরে চলমান পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। সেই প্রেক্ষাপটেই নতুন করে এই আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে।
বৈঠকে চীনের বিরল খনিজ রপ্তানি এবং আধুনিক প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। পাশাপাশি, কম্পিউটার চিপসহ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পণ্যে চীনের প্রবেশাধিকার নিয়েও উভয় পক্ষ মতবিনিময় করছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত মাসে দুই দেশ সীমিত পরিসরে শুল্ক আরোপ স্থগিত করতে সম্মত হয়েছিল। তবে এরপরই উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তোলে।
বৈঠকের পূর্বপ্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে ফোনালাপে উষ্ণতা দেখা যায়। ট্রাম্প সেই আলোচনাকে ‘খুবই ভালো’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং উভয় নেতা পরস্পরের দেশে সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এর আগে গত মে মাসে জেনেভায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে শুল্ক হ্রাসে কিছু অগ্রগতি হলেও চীনের খনিজ সম্পদ ও চুম্বক রপ্তানির বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। সে কারণেই লন্ডনের এই বৈঠকে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই আলোচনার সফলতা বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যৎ দিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ভোরের আকাশ।।হ.র
সংশ্লিষ্ট
ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত ‘আয়রন ডোম’ পদ্ধতি ভেদ করে প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইরান—এমন দাবি উঠে এসেছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। হামলায় ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।শনিবার (১৪ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, দ্য টাইমস এবং নিউইয়র্ক টাইমস-এর যাচাই করা একটি ভিডিওর ভিত্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।ভিডিওটি শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করতে গিয়ে ব্যর্থ হয় ইসরায়েলের আয়রন ডোম। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরে সরাসরি আঘাত হানে। ভিডিওর পেছনে ইসরায়েলের তেল আবিব শহরের কিরিয়া এলাকার মার্গানিট টাওয়ার দৃশ্যমান, যা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কেন্দ্রস্থলের নিকটবর্তী।প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে ইসরায়েল একযোগে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক বিমান ও ড্রোন হামলা চালায়। এতে ইরানের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। এ ঘটনার পাল্টা জবাবে ইরান ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে। ভোরের আকাশ/হ.র
ইরানের হামেদান প্রদেশের আসাদাবাদ শহরে ড্রোন হামলায় শহরের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রধান ও এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৪ জুন) সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ-র বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, যার মধ্যে রয়েছে আনাদুলু এজেন্সিও।নিহতদের মধ্যে রয়েছেন জননিরাপত্তা পুলিশের প্রধান মেজর হাবিবুল্লাহ আকবারিয়ান এবং সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট আমির সাইফি।প্রদেশটির পুলিশ প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেইন নাজাফি জানিয়েছেন, দুই কর্মকর্তা গোয়েন্দা ও নজরদারি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সময় ড্রোন হামলার শিকার হন।শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল একযোগে ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান ও ড্রোন হামলা চালায়। লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক কেন্দ্র ও ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার। এতে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী নিহত হন।জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশনের তথ্যমতে, হামলাগুলোতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জন আহত হয়েছেন।জবাবে শুক্রবার রাতেই ইরান একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় নিক্ষেপ করে। এতে ইসরায়েলে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১৭০ জন।চলমান এ পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের শান্তির আহ্বান সত্ত্বেও দুই দেশ এখনো নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। ভোরের আকাশ/হ.র
ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করে তা প্রতিহত করার চেষ্টা চলছে।ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানী তেল আবিব ও জেরুজালেমে সাইরেন বেজে ওঠার পাশাপাশি বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে বলে রয়টার্স-কে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।এই হামলার জবাবে ইসরায়েল কী পদক্ষেপ নেবে—তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের হামলা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং পুরো অঞ্চলজুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটাতে পারে।ভোরের আকাশ/হ.র
ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে এবং পাইলটকেও আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-এর প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবার (১৩ জুন) এই ঘটনার দাবি করা হলেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তা অস্বীকার করেছে।এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের শীর্ষস্থানীয় একাধিক সামরিক কমান্ডার নিহত হন।ইসরায়েলের ওই আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা জবাব দেয় তেহরান। প্রথম ধাপে ইরানের পক্ষ থেকে শতাধিক ড্রোন ছোড়া হয় তেল আবিবের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুর দিকে। এরপর শুক্রবার রাতেও দ্বিতীয় দফায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে।ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা জানায়, “ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কয়েক শ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে।”তবে এই সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা যুদ্ধবিমান ভূপাতনের দাবি নিয়ে দ্বিধা রয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই দাবিকে “ভিত্তিহীন” আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, তাদের সব বিমান নিরাপদে ফিরে এসেছে।মধ্যপ্রাচ্যের এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি দাবি-প্রতিদাবির বাস্তবতা যাচাইয়ে সময় লাগতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।ভোরের আকাশ/হ.র