ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গৃহহীনদের উচ্ছেদের ঘোষণা ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গৃহহীনদের “অবিলম্বে” সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে শহরের অপরাধ দমন করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।এদিকে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিকে ‘বাগদাদ’-এর সঙ্গে তুলনা করায় হোয়াইট হাউসের সমালোচনা করেছেন শহরের মেয়র মুরিয়েল বাউজার। সোমবার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।স্থানীয় সময় রোববার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প লিখেছেন, “আমরা আপনাদের (গৃহহীনদের) থাকার ব্যবস্থা করব, তবে রাজধানী থেকে অনেক দূরে। অপরাধীদের সরতে হবে না—তাদের আমরা জেলে পাঠাবো।”তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের রাজধানী ফেরত চাই। এখানে (অপরাধীদের জন্য) কোনও ‘ভদ্রলোকি আচরণ’ হবে না।”ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, সোমবার তিনি হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে ওয়াশিংটন ডিসিকে “আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে নিরাপদ ও সুন্দর” করার পরিকল্পনা তুলে ধরবেন। যদিও তার পরিকল্পনার বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।২০২২ সালে তিনি শহরের বাইরে কম খরচের জমিতে ‘উচ্চমানের’ তাঁবুতে গৃহহীনদের রাখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যেখানে শৌচাগার ও চিকিৎসা সেবার সুযোগ থাকবে।সম্প্রতি ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে গৃহহীনদের গ্রেপ্তার সহজ করেছেন এবং গত সপ্তাহে তিনি ফেডারেল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ওয়াশিংটন ডিসির রাস্তায় মোতায়েনের নির্দেশ দেন। শুক্রবার তিনি ইউএস পার্ক পুলিশ, ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিইএ), এফবিআই ও ইউএস মার্শাল সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থার এজেন্টদের পাঠান।হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানান, শনিবার রাতে প্রায় ৪৫০ জন ফেডারেল অফিসার মোতায়েন করা হয়।বিবিসি বলছে, ১৯ বছর বয়সী সাবেক সরকারি কর্মচারীর ওপর কথিত গাড়ি ছিনতাইয়ের চেষ্টা ও হামলার ঘটনার পর এই পদক্ষেপটি সামনে এসেছে। ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় রক্তাক্ত ভুক্তভোগীর ছবি পোস্ট করে ঘটনাটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।পরে শহরের মেয়র বাউজার এমএসএনবিসিকে বলেন, “২০২৩ সালে অপরাধের হার বেড়েছিল, কিন্তু এটা এখন ২০২৩ নয়। গত দুই বছরে আমরা সহিংস অপরাধকে ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে এসেছি।”তিনি হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ স্টিফেন মিলারের রাজধানীকে ‘বাগদাদের চেয়ে বেশি সহিংস’ আখ্যা দেওয়ার সমালোচনা করে বলেন, “যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সঙ্গে তুলনা সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত ও ভুল।”যদিও ওয়াশিংটন ডিসির মাথাপিছু হত্যার হার যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শহরের তুলনায় বেশি। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯৮টি হত্যাকাণ্ড রেকর্ড হয়েছে। তবে ফেডারেল তথ্য অনুযায়ী, গাড়ি ছিনতাই, হামলা ও ডাকাতির ঘটনাসহ মোট সহিংস অপরাধের সংখ্যা গত বছর ছিল গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।ট্রাম্প সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে শহরে “অপরাধ, হত্যা ও মৃত্যু” বন্ধের পাশাপাশি এর “শারীরিক পুনর্নির্মাণ” বিষয়ে পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি মেয়র বাউজারকে “ভালো মানুষ” আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তার চেষ্টা সত্ত্বেও অপরাধ বেড়েছে এবং শহর আরও “নোংরা ও কম আকর্ষণীয়” হয়ে পড়েছে।ওয়াশিংটন ডিসির জনসংখ্যা প্রায় ৭ লাখ, যার মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৭৮২ জন গৃহহীন। তাদের অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্র বা সরকারি বাসস্থানে থাকলেও প্রায় ৮০০ জন রাস্তায় বসবাস করে বলে জানিয়েছে কমিউনিটি পার্টনারশিপ নামের একটি সংস্থা।ভোরের আকাশ/মো.আ.
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের গাইডেড বোমা কিট ও সংশ্লিষ্ট সহায়তার বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। এই অস্ত্র সরবরাহ ইসরায়েলের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ হুমকি মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ) জানিয়েছে, ইসরায়েল ৩ হাজার ৮৪৫টি কেএমইউ-৫৫৮বি/বি জয়েন্ট ডাইরেক্ট অ্যাটাক মিনিশন (জেডিএএম) গাইডেন্স কিট পাবে, যা বিএলইউ-১০৯ বোমায় ব্যবহার হয়। এর পাশাপাশি ৩ হাজার ২৮০টি কেএমইউ-৫৭২ এফ/বি জেডিএএম কিটও ইসরায়েলের হাতে থাকবে, যা এমকে-৮২ বোমায় ব্যবহৃত হবে। এছাড়াও থাকবে প্রকৌশল, সরবরাহ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা।মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলেছে, “এই বিক্রয় প্রস্তাব ইসরায়েলকে তাদের সীমান্ত, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং জনবসতি রক্ষায় আরও কার্যকর করতে সাহায্য করবে।”তবে এই অনুমোদন আসে এমন এক সময় যখন ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এপর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ৫৬ হাজার ৫০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।শুধু সোমবার দিনেই ইসরায়েলি বিমান ও কামান হামলায় কমপক্ষে ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এই হামলার লক্ষ্য ছিল বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থলসহ জনবহুল এলাকা।গাজার এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেও মার্কিন সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমালোচনা তীব্র হচ্ছে। অনেক সমালোচক এই পদক্ষেপকে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নৈতিক সংশ্লিষ্টতার সমতুল্য বলছেন।২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়ু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একই সঙ্গে গাজার গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) একটি মামলা চলছে।ভোরের আকাশ//হ.র
০১ জুলাই ২০২৫ ১১:২৭ পিএম
পিতার পথেই ছেলে! প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার ইঙ্গিত এরিক ট্রাম্পের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় ছেলে এরিক ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তার বাবার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে ট্রাম্প পরিবারের কেউ হোয়াইট হাউসের দৌড়ে নামতে পারেন। ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন সম্ভাবনার কথা জানান তিনি।৪১ বছর বয়সী এরিক বলেন, “যদি আমি বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিই, তবে হোয়াইট হাউসের পথ তুলনামূলকভাবে সহজ হবে।” তবে সঙ্গে যোগ করেন, “আসল প্রশ্ন হলো—আপনি কি চান আপনার প্রিয়জনরাও সেই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যাক, যেটা আমি গত এক দশকে পার করেছি? যদি উত্তর হয় হ্যাঁ, তাহলে আমি এটা করতে পারব এবং আমার বিশ্বাস, আমাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও পারবে।”উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড জুনিয়র ও মেয়ে ইভাঙ্কা রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও এরিক ট্রাম্প এখনো প্রকাশ্যে কোনো রাজনৈতিক পদে অংশগ্রহণ করেননি। বরং ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনায়ই মনোযোগী ছিলেন তিনি।তবে সাম্প্রতিক বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, তিনি রাজনীতি থেকে পুরোপুরি দূরে ছিলেন না। এদিকে আগামীতে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে জেডি ভ্যান্স ও মার্কো রুবিওর মতো নেতাদেরও সম্ভাব্য নাম হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।২০২৪ সালের নির্বাচন ট্রাম্প পরিবারের শেষ ব্যালট কি না, এমন প্রশ্নে এরিক বলেন, “আমি জানি না... সময়ই বলবে। তবে শুধু আমিই না, আরও অনেকে আছেন।”রাজনীতিতে ট্রাম্প পরিবারের আর্থিক লাভ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে এরিক ট্রাম্প তা সরাসরি অস্বীকার করে বলেন, “যদি এমন কোনো পরিবার থাকে যারা রাজনীতি থেকে লাভবান হয়নি, তবে তা হলো ট্রাম্প পরিবার।”ভোরের আকাশ//হ.র
২৯ জুন ২০২৫ ০১:৪১ এএম
ইরানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
ইরানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাসদ (মার্কসবাদী)।মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা ১২টার দিকে ১নং রেলগেটে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।এ উপলক্ষে একটি মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের ১নং রেলগেটে এসে সমাবেশ করে। শেষে ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা আহ্বায়ক কমরেড আহসানুল হাবিব সাঈদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদস্য কমরেড নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, পরমানন্দ দাস, ডা. জব্বার ও আয়নাল হক প্রমুখ ।বক্তারা বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যদের মদদপুষ্ট উগ্র জায়নবাদী ইসরায়েলের আগ্রাসনে প্রতিনিয়ত গণহত্যার শিকার হচ্ছে ফিলিস্তিনের হাজারো নারী, শিশু এবং বেসামরিক মানুষ। এরইমধ্যে গত পরশু রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে নির্লজ্জ আগ্রাসন চালিয়েছে। আজ ইসরায়েল ধ্বংসাযজ্ঞ চালিয়ে গাজাসহ পুরো ফিলিস্তিন শ্মশান ঘাটে পরিণত করেছে তার সম্পূর্ণ পৃষ্ঠপোষক এই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ।এরই মধ্যে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান এই তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে। যুদ্ধবাজ ট্রাম্পের হামলা ও হুমকি সামনের দিনে জোটভুক্ত দেশসমূহকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির সংকেত। যা দেশে দেশে যুদ্ধকে উসকে দিয়েছে। বিভিন্ন দেশে মার্কিন ঘাটি স্থাপন, অস্ত্র বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে দুর্বল দেশের উপর আধিপত্য ও শোষণ চালিয়ে যাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী। এই যুদ্ধ সাম্রাজ্যদের শক্তি-ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। বক্তারা এই আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।বক্তারা আরও বলেন- পুরো বিশ্বের কোন মানুষই যুদ্ধ চায় না। তাই দেশে দেশে যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বের সকল শান্তিকামী-গণতন্ত্রমনা মানুষকে যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/জাআ
২৪ জুন ২০২৫ ০৩:৩৫ পিএম
বাণিজ্য যুদ্ধ নিরসনে লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বৈঠক শুরু
চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ নিরসনে লন্ডনে মুখোমুখি বৈঠকে বসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। সোমবার যুক্তরাজ্যের ল্যাঞ্চেস্টার হাউজে শুরু হওয়া এই উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিয়েছেন উভয় দেশের শীর্ষ বাণিজ্য ও অর্থনীতিবিষয়ক প্রতিনিধি।যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার। চীনের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী হে লিফেং। আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির মধ্যে কয়েক বছর ধরে চলমান পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। সেই প্রেক্ষাপটেই নতুন করে এই আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে।বৈঠকে চীনের বিরল খনিজ রপ্তানি এবং আধুনিক প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। পাশাপাশি, কম্পিউটার চিপসহ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পণ্যে চীনের প্রবেশাধিকার নিয়েও উভয় পক্ষ মতবিনিময় করছে।উল্লেখযোগ্যভাবে, গত মাসে দুই দেশ সীমিত পরিসরে শুল্ক আরোপ স্থগিত করতে সম্মত হয়েছিল। তবে এরপরই উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তোলে।বৈঠকের পূর্বপ্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে ফোনালাপে উষ্ণতা দেখা যায়। ট্রাম্প সেই আলোচনাকে ‘খুবই ভালো’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং উভয় নেতা পরস্পরের দেশে সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।এর আগে গত মে মাসে জেনেভায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে শুল্ক হ্রাসে কিছু অগ্রগতি হলেও চীনের খনিজ সম্পদ ও চুম্বক রপ্তানির বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। সে কারণেই লন্ডনের এই বৈঠকে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বলে জানা গেছে।বিশ্লেষকদের মতে, এই আলোচনার সফলতা বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যৎ দিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।ভোরের আকাশ।।হ.র
১০ জুন ২০২৫ ০৫:৩১ এএম
সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করল যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়ার ওপর দীর্ঘদিনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক পুনর্গঠনের ‘প্রথম ধাপ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।চলতি মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক ঘোষণায় সিরিয়ার ওপর আরোপিত কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানান। এরপর সৌদি আরবের রিয়াদে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে তার একটি অপ্রত্যাশিত বৈঠক হয়।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার ফলে সিরিয়ায় বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সেবা সহজে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি মানবিক সহায়তা কার্যক্রমও আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যাবে।তিনি আরও জানান, নতুন এই উদ্যোগের আওতায় সিরিয়ায় বিনিয়োগ, আর্থিক লেনদেন ও পেট্রোলিয়াম সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে কিছুটা শিথিলতা আনা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ সিরিয়ার সঙ্গে একটি নতুন ধরণের সম্পর্ক গড়ার ইঙ্গিত বহন করছে।এর আগে, গত ১৩ মে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেন—সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনামলে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো তিনি প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছেন। ওই সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আল-শারাকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকেও বাদ দেয়।প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে সিরিয়ায় শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে দেশটির অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে পড়ে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘাতের প্রথম আট বছরে দেশটির আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪৪২ বিলিয়ন ডলার। এর ওপর যুক্ত হয় আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চাপ।এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও সম্প্রতি জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার ওপর আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করছে। তবে রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লেনদেন এখনো নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র
২৫ মে ২০২৫ ১০:০৫ এএম
পুতিন ও আমি একসঙ্গে না হলে শান্তি সম্ভব নয়: ট্রাম্প
রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্ভব নয় যতক্ষণ না তিনি এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একসঙ্গে বসেন—এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, "পুতিন এবং আমি একসঙ্গে না হওয়া পর্যন্ত কিছুই ঘটবে না।"তিনি আরও বলেন, "তিনি (পুতিন) তুরস্কে যাচ্ছেন না কারণ তিনি ভেবেছেন আমি সেখানে যাব। আমি না গেলে তিনিও যাবেন না।"ট্রাম্প বলেন, "আপনি পছন্দ করুন আর না করুন, যতক্ষণ না আমরা দুজন একসঙ্গে হই, ততক্ষণ কিছুই হবে না। কিন্তু এই যুদ্ধ থামাতে হবে, কারণ অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।"এদিকে যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার তুরস্কে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার কথা রয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, পুতিন আলোচনায় অংশ নিলে তিনিও বৈঠকে অংশ নেবেন। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রতিনিধিদলের তালিকায় পুতিনের নাম নেই।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শীর্ষ পর্যায়ের সরাসরি সংলাপ ছাড়া এই সংকট নিরসনের আশা ক্ষীণ।ভোরের আকাশ//হ.র
১৬ মে ২০২৫ ১১:০২ এএম
পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে আগ্রহী ইরান
যুক্তরাষ্ট্র নির্দিষ্ট শর্ত মানলে পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করার চুক্তিতে প্রস্তুত রয়েছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির শীর্ষ পরামর্শক শাখমানি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন।বুধবার (১৪ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাখমানি বলেন, ইরান প্রতিশ্রুতি দিতে প্রস্তুত যে তারা কখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না, ইউরেনিয়ামের মজুদ সীমিত রাখবে এবং তা কেবল বেসামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে। পাশাপাশি এসব কার্যক্রম আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের আওতায় থাকবে।তবে এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের ওপর আরোপিত সব অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে বলে স্পষ্ট করেন তিনি। সাক্ষাৎকারে যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয়— যুক্তরাষ্ট্র যদি আজই এসব শর্ত মেনে নেয়, তাহলে ইরান চুক্তি করবে কিনা— উত্তরে তিনি বলেন, “হ্যাঁ।”শাখমানি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে, তাহলে ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। সেটি আমাদের পারস্পরিক স্বার্থেই উপকারী হবে।”অন্যদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এক বক্তব্যে পশ্চিমা চাপের বিরুদ্ধাচরণ করে বলেন, “ট্রাম্প মনে করেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে এসে উচ্চবাচ্য করবেন আর আমরা ভয় পেয়ে যাব— সেটা কখনো হবে না। শহীদি মৃত্যু আমাদের কাছে অনেক বেশি মর্যাদার।”তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ইরান কোনো ধমক বা হুমকির সামনে মাথা নত করবে না।”অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। বৃহস্পতিবার দোহায় এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা ইরানের সঙ্গে একটি কার্যকর চুক্তির খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছি।”তবে ট্রাম্প বারবারই বলে আসছেন, কোনো চুক্তি হলে তাতে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সুযোগ দেওয়া হবে না। যদিও ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তারা কখনোই এমন অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করেনি।সূত্র: এনবিসি নিউজভোরের আকাশ//হ.র
১৬ মে ২০২৫ ০৯:৫১ এএম
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৬০টি বিমান কিনছে কাতার
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৬০টি বিমান কেনার চুক্তি করেছে কাতার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির মধ্যে দোহায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর এ বিষয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।বুধবার (১৪ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, কাতার এয়ারওয়েজ মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের ১৬০টি বিমান কেনার রেকর্ড অর্ডার দিয়েছে।চুক্তির অংশ হিসেবে কাতার যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এমকিউ-৯বি ড্রোন কেনার বিষয়ে ‘অফার অ্যান্ড অ্যাকসেপ্টেন্স’ চিঠি গ্রহণ করেছে।এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদারে একটি অভিপ্রায় বিবৃতি এবং একটি যৌথ ঘোষণাপত্রেও স্বাক্ষর করা হয়েছে।বৈঠকের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাতারের আমির সম্পর্কে বলেন, “তিনি একজন অসাধারণ ব্যক্তি। আমরা একে অপরকে পছন্দ করি।” তিনি কাতারের সঙ্গে গভীর বন্ধুত্বের জন্য আমিরকে ধন্যবাদ জানান।সূত্র: বিবিসিভোরের আকাশ//হ.র