পাকিস্তান-ভারত আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরও এক মাস বাড়ল
পাকিস্তান ও ভারত একে অপরের বিরুদ্ধে আরোপিত আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরও এক মাসের জন্য বাড়িয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মে) পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ভারতের কোনো বিমান ২৪ জুন ২০২৫ সকাল ৪টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের রেজিস্টারকৃত, পরিচালিত, মালিকানাধীন বা ভারতীয় সংস্থার লিজে থাকা বাণিজ্যিক ও সামরিক উভয় ধরণের বিমান এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে। আকাশসীমার মাটি থেকে সর্বোচ্চ উচ্চতা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।
এদিকে, ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নিবন্ধিত বা পরিচালিত যেকোনো বিমান ২৩ জুন পর্যন্ত ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, গত মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সংঘটিত গোলাগুলির ঘটনার পর থেকেই দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
গত ২৪ এপ্রিল পাকিস্তান প্রথম ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে।
তথ্যসূত্র: ডন নিউজ
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
সিরিয়ার ওপর দীর্ঘদিনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক পুনর্গঠনের ‘প্রথম ধাপ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।চলতি মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক ঘোষণায় সিরিয়ার ওপর আরোপিত কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানান। এরপর সৌদি আরবের রিয়াদে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে তার একটি অপ্রত্যাশিত বৈঠক হয়।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার ফলে সিরিয়ায় বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সেবা সহজে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি মানবিক সহায়তা কার্যক্রমও আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যাবে।তিনি আরও জানান, নতুন এই উদ্যোগের আওতায় সিরিয়ায় বিনিয়োগ, আর্থিক লেনদেন ও পেট্রোলিয়াম সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে কিছুটা শিথিলতা আনা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ সিরিয়ার সঙ্গে একটি নতুন ধরণের সম্পর্ক গড়ার ইঙ্গিত বহন করছে।এর আগে, গত ১৩ মে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেন—সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনামলে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো তিনি প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছেন। ওই সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আল-শারাকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকেও বাদ দেয়।প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে সিরিয়ায় শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে দেশটির অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে পড়ে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘাতের প্রথম আট বছরে দেশটির আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪৪২ বিলিয়ন ডলার। এর ওপর যুক্ত হয় আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চাপ।এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও সম্প্রতি জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার ওপর আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করছে। তবে রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লেনদেন এখনো নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র
আন্তর্জাতিক অস্ত্রবাজারে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে সমরাস্ত্র রপ্তানি বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার (২৪ মে) টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।পুতিন বলেন, “আমাদের কাছে ক্রেতাদের বিপুল পরিমাণ অর্ডার জমে আছে। এসব অর্ডারের আর্থিক মূল্য কয়েক হাজার কোটি ডলার। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমাদের অস্ত্র উৎপাদন ও রপ্তানি সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে।”তিনি আরও জানান, প্রযুক্তিভিত্তিক আধুনিক সমরাস্ত্র—বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (AI) অস্ত্র তৈরির দিকে জোর দেবে রাশিয়া। পুতিনের ভাষায়, “ভবিষ্যতের যুদ্ধজয় নির্ভর করবে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর অস্ত্রের ওপর, যেখানে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হবে। আমরা সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”রাশিয়ার সমরাস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, গোলাবারুদসহ আধুনিক সব ধরনের অস্ত্র তৈরিতে খ্যাতি অর্জন করেছে। এসব অস্ত্রের বড় বাজার ভারত, চীন ও মিসর।তবে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার তৈরি অস্ত্রের একটি বড় অংশই বর্তমানে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে।সুইডেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপরি)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে রাশিয়ার অস্ত্র রপ্তানি ৭.৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অথচ ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই রপ্তানির হার ছিল ১৪ শতাংশেরও বেশি।রুশ প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণা অস্ত্র বাজারে রাশিয়ার সক্রিয় অংশগ্রহণ আবারও বাড়বে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।সূত্র: রয়টার্সভোরের আকাশ//হ.র
পাকিস্তান ও ভারত একে অপরের বিরুদ্ধে আরোপিত আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরও এক মাসের জন্য বাড়িয়েছে।শুক্রবার (২৪ মে) পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ভারতের কোনো বিমান ২৪ জুন ২০২৫ সকাল ৪টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের রেজিস্টারকৃত, পরিচালিত, মালিকানাধীন বা ভারতীয় সংস্থার লিজে থাকা বাণিজ্যিক ও সামরিক উভয় ধরণের বিমান এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে। আকাশসীমার মাটি থেকে সর্বোচ্চ উচ্চতা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।এদিকে, ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নিবন্ধিত বা পরিচালিত যেকোনো বিমান ২৩ জুন পর্যন্ত ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না।প্রসঙ্গত, গত মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সংঘটিত গোলাগুলির ঘটনার পর থেকেই দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।গত ২৪ এপ্রিল পাকিস্তান প্রথম ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে।তথ্যসূত্র: ডন নিউজভোরের আকাশ//হ.র
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানিয়েছেন, তিনি আর কোনো জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। বৃহস্পতিবার (২২ মে) হাঙ্গেরি সফর শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ ঘোষণা দেন। খবর দিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।এরদোগান বলেন, ‘দেশের সুনাম বৃদ্ধি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমি আর প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চাই না।’প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা এই নেতা আরও বলেন, তুরস্কের বর্তমান সংবিধান একটি ‘অভ্যুত্থানকালীন দলিল’, যা দিয়ে আধুনিক তুরস্ক এগিয়ে যেতে পারবে না। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বদলে যাচ্ছে, তুরস্কও বদলাচ্ছে। অভ্যুত্থানবাদীদের লেখা সংবিধান দিয়ে আমরা আর কিছু অর্জন করতে পারব না।’ এ সময় তিনি সংবিধান সংস্কারে বিরোধীদের সহযোগিতা কামনা করেন।এরদোগানের এই ঘোষণার পরও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তাঁর ইচ্ছা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। গত মার্চে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু গ্রেপ্তারের ঘটনায় প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্য নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে।২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে এরদোগান ঘোষণা দিয়েছিলেন, এটিই তাঁর শেষ নির্বাচন। তবে বর্তমান সংবিধানে তৃতীয়বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ রয়েছে, যদি সংসদ আগেভাগেই নির্বাচন আহ্বান করে।তুরস্কে এরদোগানের অবসরের ঘোষণা একদিকে যেমন রাজনৈতিক মাইলফলক হতে পারে, অন্যদিকে তেমনি প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে যে, তিনি সত্যিই ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন, নাকি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নিজের প্রভাব ধরে রাখার কৌশল হিসেবে এটি বলছেন।রাজনৈতিক ভবিষ্যতের নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যে এরদোগানের অবসরের এই বার্তা তুরস্কের আগামী দিনের রাজনৈতিক মানচিত্রে বড় একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত হতে পারে। তবে তার বাস্তবায়ন নির্ভর করবে ভবিষ্যতের সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর। ভোরের আকাশ/হ.র