আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৫ ১১:৪৩ পিএম
গাজায় সুড়ঙ্গে হামাস নেতার মরদেহ শনাক্তের দাবি ইসরায়েলের
গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে একটি হাসপাতালের নিচে থাকা গোপন সুড়ঙ্গ থেকে হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারের মরদেহ শনাক্তের দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
রোববার (৮ জুন) এক বিবৃতিতে তারা জানায়, গত মাসে পরিচালিত একটি অভিযানের পর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেন, ওই একই স্থানে হামাসের রাফাহ ব্রিগেডের কমান্ডার মোহাম্মদ শাবানাসহ আরও কয়েকজন সশস্ত্র যোদ্ধার মরদেহ পাওয়া গেছে। যদিও এখন পর্যন্ত অন্যদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
সেনাবাহিনী দাবি করে, খান ইউনিসে ইউরোপিয়ান হাসপাতালের নিচে পাওয়া সুড়ঙ্গটি হামাসের একটি বড়সড় পরিচালনা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বিদেশি সাংবাদিকদের সেখানে নিয়ে গিয়েও প্রমাণ দেখানো হয়।
ব্রিগেডিয়ার ডেফরিন বলেন, “এটি আবারও প্রমাণ করে যে হামাস বেসামরিক স্থাপনা, এমনকি হাসপাতাল পর্যন্ত ব্যবহার করেছে তাদের সামরিক কর্মকাণ্ড চালাতে এবং সাধারণ মানুষকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ঠিক নিচে একটি আস্তানার মতো কিছু কক্ষে আমরা মোহাম্মদ সিনওয়ারকে খুঁজে পেয়ে হত্যা করি।”
এর আগেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত মাসে সিনওয়ারের নিহত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে এবার ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার দাবি করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর মতে, পরীক্ষায় স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়েছে যে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি সিনওয়ারেরই।
তবে হামাস এখনো মোহাম্মদ সিনওয়ার বা মোহাম্মদ শাবানার মৃত্যুর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ সিনওয়ার ছিলেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে চালানো হামলার মূল পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইয়াহিয়া। ওই হামলায় ইসরায়েলি দাবি অনুযায়ী প্রায় ১,২০০ মানুষ নিহত হয়। এরপরই গাজায় বড় পরিসরে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
অন্যদিকে, মোহাম্মদ শাবানা ছিলেন গাজার দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের অন্যতম অভিজ্ঞ সামরিক কমান্ডার। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, রাফাহ শহরের নিচে সুড়ঙ্গপথের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলায় তার বড় ভূমিকা ছিল। এসব সুড়ঙ্গ হামলা ও পাল্টা অভিযানে ব্যবহার হতো।
ভোরের আকাশ।।হ.র