সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা ট্রাম্পের
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের অনুরোধে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সৌদি রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি বিনিয়োগ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা দিচ্ছি, এ সপ্তাহের শেষ দিকে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তুরস্কে সিরিয়ার নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর আগে আমি ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে এবং গতকাল প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি। তাদের অনুরোধে আমি সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিচ্ছি, যেন তারা উন্নতি করতে পারে।”
তিনি বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞাগুলো অতীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু এখন সময় সিরীয় জনগণের উন্নয়নের সুযোগ দেওয়ার। আমি তাদের বলব, ‘গুড লাক, সিরিয়া’। সৌদি যা করেছে, সিরিয়াও যেন তেমন কিছু করে দেখাতে পারে।”
ট্রাম্প আরও জানান, আগামীকাল সৌদি আরবে সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-সারার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। হোয়াইট হাউস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম লন্ডন টাইমস দাবি করেছে, এই বৈঠকে সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্ভাব্য কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আলোচনার সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে আব্রাহাম চুক্তির রূপরেখাও তুলে ধরার কথা রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে, যদিও বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতার জন্য ইরানকে দায়ী করে দেশটিকে ‘সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক শক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র কখনই ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেবে না।মঙ্গলবার (১৩ মে) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি বিনিয়োগ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ট্রাম্প বলেন, “ইরানের সামনে এখন দুটি পথ— হয় ‘বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাস’ চালিয়ে যাওয়া, নয়তো শান্তির পথ বেছে নেওয়া।” তিনি আরও বলেন, ইরানের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি করতে তিনি প্রস্তুত, তবে সেটি সম্ভব হবে তখনই, যখন তেহরানের নেতৃত্ব তাদের বর্তমান নীতি পরিবর্তন করবে।ট্রাম্পের ভাষ্য, “আমি চুক্তি করতে চাই, তবে যদি তারা সেটি না চায়, তাহলে আমাদের হাতে থাকবে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের পথ।”এদিকে একই অনুষ্ঠানে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, সিরিয়ার ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। তিনি জানান, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের অনুরোধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ট্রাম্প বলেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, এ সপ্তাহের শেষেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তুরস্কে সিরিয়ার নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। আমি সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিচ্ছি, যেন দেশটি উন্নতির পথে এগোতে পারে।”প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক কার্যক্রম, সন্ত্রাসবাদে মদদ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তেহরান অবশ্য বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।ভোরের আকাশ/হ.র
ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে ভেজাল মদ্যপানের কারণে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ মে) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায়।পুলিশ জানিয়েছে, বিষাক্ত মদ বিক্রির অভিযোগে এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই চোলাই মদে বিপজ্জনক মাত্রায় মিথানল মেশানো হয়েছিল, যা মৃত্যুর অন্যতম কারণ হতে পারে।সর্বশেষ সোমবার ভোরে অমৃতসর জেলার কয়েকটি গ্রামে ভেজাল মদ পান করার পর স্থানীয়রা অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও ২১ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর অবস্থায় ভর্তি আছেন আরও অন্তত ১০ জন।স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই নিম্ন আয়ের দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। তারা অল্প দামে পাওয়া এসব অবৈধ চোলাই মদ কিনে পান করেছিলেন।পুলিশ বলেছে, চোরাকারবারিরা কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে এসব মদ তৈরি ও বাজারজাত করে থাকে। অধিক মুনাফার আশায় এসব মদে ক্ষতিকর রাসায়নিক, বিশেষ করে মিথানল মেশানো হয়, যা অন্ধত্ব, অঙ্গহানি এমনকি মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেছেন, “এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।” তিনি জানান, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।উল্লেখ্য, ভারতে প্রায় প্রতি বছরই ভেজাল মদ্যপানের ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়। গত বছর তামিলনাড়ুতে ৫৩ জন এবং তার আগের বছর বিহারে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০২ সালে গুজরাটেও একই ধরনের ঘটনায় প্রাণ হারান ২৮ জন। ভোরের আকাশ/হ.র
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রেকর্ড পরিমাণ ৬০০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে সৌদি আরব। মঙ্গলবার (১৩ মে) সৌদির রাজধানী রিয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এসব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, চুক্তির প্রথম ধাপে জ্বালানি, নিরাপত্তা, প্রযুক্তি এবং কৌশলগত খাতগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।চুক্তির আওতায় ১৪২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনবে সৌদি আরব, যা প্রতিরক্ষা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম বড় রপ্তানি চুক্তি। এর মধ্যে রয়েছে বিমানবাহিনীর আধুনিকীকরণ, মহাকাশ প্রযুক্তি, আকাশ-মিসাইল প্রতিরক্ষা, উপকূলীয় নিরাপত্তা, সীমান্ত রক্ষা এবং স্থল বাহিনীকে উন্নত করার ব্যবস্থা। সৌদি সামরিক একাডেমি এবং মিলিটারি মেডিকেল সেবাও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় উন্নত করা হবে।প্রযুক্তি খাতে, সৌদি কোম্পানি ডেটাভোল্ট যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং জ্বালানি অবকাঠামোয় ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। গুগল, ওরাকল, সেলসফোর্স, এএমডি ও উবারসহ মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টরা সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে ৮০ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পে কাজ করবে।বিমান ও জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্র সৌদিতে গ্যাস টারবাইন (মূল্য ১৪.২ বিলিয়ন ডলার) এবং বোয়িং ৭৩৭-৮ যাত্রীবাহী বিমান (মূল্য ৪.৮ বিলিয়ন ডলার) সরবরাহ করবে। এছাড়া সৌদি কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে স্যালাইন উৎপাদনের জন্য ৫.৮ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করছে।চুক্তির অংশ হিসেবে তৈরি হচ্ছে বিশেষ বিনিয়োগ তহবিল—জ্বালানি উন্নয়নে ৫ বিলিয়ন, মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা শিল্পে ৫ বিলিয়ন এবং ক্রীড়া খাতে ৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।এই ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব আরও গভীর হলো।সূত্র: বিবিসি ভোরের আকাশ/হ.র
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের অনুরোধে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।মঙ্গলবার (১৩ মে) সৌদি রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি বিনিয়োগ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা দিচ্ছি, এ সপ্তাহের শেষ দিকে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তুরস্কে সিরিয়ার নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর আগে আমি ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে এবং গতকাল প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি। তাদের অনুরোধে আমি সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিচ্ছি, যেন তারা উন্নতি করতে পারে।”তিনি বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞাগুলো অতীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু এখন সময় সিরীয় জনগণের উন্নয়নের সুযোগ দেওয়ার। আমি তাদের বলব, ‘গুড লাক, সিরিয়া’। সৌদি যা করেছে, সিরিয়াও যেন তেমন কিছু করে দেখাতে পারে।”ট্রাম্প আরও জানান, আগামীকাল সৌদি আরবে সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-সারার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। হোয়াইট হাউস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম লন্ডন টাইমস দাবি করেছে, এই বৈঠকে সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্ভাব্য কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আলোচনার সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে আব্রাহাম চুক্তির রূপরেখাও তুলে ধরার কথা রয়েছে।বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে, যদিও বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। ভোরের আকাশ/হ.র