আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫ ০৬:৫৯ এএম
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ বন্যা: মৃত ৫, ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি
অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে টানা ভারি বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ শনিবার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে জানান, দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে ফেডারেল, রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করছে। তিনি জানান, উদ্ধারকাজ ও এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্য-উত্তর উপকূলে বন্যার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। অনেক শহর প্লাবিত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গবাদিপশু ভেসে গেছে, ধসে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি।
রাজ্যের জরুরি সেবা কমিশনার মাইক ওয়াসিং জানান, পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে গেলেও এখনো শত শত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। শুক্রবার রাতেই চালানো হয়েছে ৫২টি উদ্ধার অভিযান।
বন্যায় সর্বশেষ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে মানিং নদীর তীরে অবস্থিত তারে শহরের কাছে। পুলিশ জানায়, শহরটি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে একটি প্লাবিত এলাকা থেকে ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ শুক্রবার তারে শহর পরিদর্শনের পরিকল্পনা করলেও দুর্যোগের কারণে সফর বাতিল করতে বাধ্য হন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আরও প্রাণহানির খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক। নিহত ব্যক্তির পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই।”
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নদ-নদীর পানি উপচে পড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। গাড়িগুলো পানিতে প্রায় উইন্ডশিল্ড পর্যন্ত ডুবে যায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে অনেক শহর ও গ্রাম। একপর্যায়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বন্যার পানিতে আটকা পড়ে।
বিগত কয়েক বছরে অস্ট্রেলিয়ায় ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাওয়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবই দায়ী বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। ২০১৯ সালের ভয়াবহ দাবানলের পর ২০২১ সাল থেকে নিয়মিত বন্যার কবলে পড়ছে দেশটি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
ভোরের আকাশ//হ.র