থাইল্যান্ডে পুলিশের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৩
থাইল্যান্ডের প্রাচুপ খিরি খান প্রদেশের মুয়াং জেলায় একটি পুলিশ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। হেলিকপ্টারটিতে থাকা আরও একজন প্যারাস্যুটের মাধ্যমে প্রাণে বেঁচে যান।
শনিবার (২৪ মে) স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে নঙ কক গ্রামে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্ট। দুর্ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টারে আগুন ধরে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
থাই ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ তাদের ফেসবুক পেজে জানায়, দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারের দুই পাইলট এবং একজন মেকানিক মারা গেছেন। প্যারাস্যুট ব্যবহার করে নিচে নামা আরেকজনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
পুলিশ সূত্র জানায়, বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি বেল ২১২ মডেলের এবং এটি কানচানাবুরি এভিয়েশন পুলিশ ইউনিটের মালিকানাধীন। সুরাত থানি বিমানবন্দর থেকে একটি অভিযান শেষে ফেরার পথে এটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
নিহতদের পরিচয়ও নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তারা হলেন:
পুলিশ মেজর প্রাতুয়াং চুলেট (পাইলট),
পুলিশ ক্যাপ্টেন সোংপোল বোনচাই (পাইলট),
পুলিশ লেফটেন্যান্ট থিনাক্রিত সুয়াওন্নই (মেকানিক)।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেও একই বিভাগে পুলিশের একটি বিমান সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়ে ছয়জন নিহত হয়েছিলেন।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ফিলিস্তিনি চিকিৎসক ডা. আলা আল-নাজ্জারের নয়টি শিশুসন্তান। হামলায় আহত হয়েছেন তার স্বামী ডা. হামদি ও ১১ বছর বয়সী ছেলে আদম, যিনি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।নাসের হাসপাতালের সঙ্গে কাজ করা ব্রিটিশ সার্জন গ্রায়েম গ্রুম বলেন, “যে নারী শিশুদের চিকিৎসায় জীবন উৎসর্গ করেছেন, তিনি এক মিসাইল হামলায় নিজের প্রায় সব সন্তান হারিয়েছেন—এটা অকল্পনীয় বর্বরতা।”ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা খান ইউনিসে ‘সন্দেহভাজনদের’ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে এবং বেসামরিক হতাহতের ঘটনা তদন্তাধীন।হামলার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে পোড়া শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যার ভিডিও প্রকাশ করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে ৮ শিশুর মৃত্যুর কথা জানানো হলেও পরে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯-এ।এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নিহতদের স্বজন ইউসুফ আল-নাজ্জার বলেন, “আর না! আমাদের দয়া করুন! আমরা ক্লান্ত, ক্ষুধার্ত ও গৃহহীন।”জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, গাজার জনগণ এখন যুদ্ধের সবচেয়ে নিষ্ঠুর অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। খাদ্য, পানি ও জ্বালানির তীব্র সংকটে মানবিক বিপর্যয় চলছে।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৫৩,৯০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ১৬,৫০০ শিশু রয়েছে।সূত্র: বিবিসিভোরের আকাশ//হ.র
অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে টানা ভারি বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি।প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ শনিবার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে জানান, দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে ফেডারেল, রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করছে। তিনি জানান, উদ্ধারকাজ ও এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে।নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্য-উত্তর উপকূলে বন্যার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। অনেক শহর প্লাবিত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গবাদিপশু ভেসে গেছে, ধসে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি।রাজ্যের জরুরি সেবা কমিশনার মাইক ওয়াসিং জানান, পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে গেলেও এখনো শত শত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। শুক্রবার রাতেই চালানো হয়েছে ৫২টি উদ্ধার অভিযান।বন্যায় সর্বশেষ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে মানিং নদীর তীরে অবস্থিত তারে শহরের কাছে। পুলিশ জানায়, শহরটি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে একটি প্লাবিত এলাকা থেকে ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ শুক্রবার তারে শহর পরিদর্শনের পরিকল্পনা করলেও দুর্যোগের কারণে সফর বাতিল করতে বাধ্য হন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আরও প্রাণহানির খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক। নিহত ব্যক্তির পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই।”টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নদ-নদীর পানি উপচে পড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। গাড়িগুলো পানিতে প্রায় উইন্ডশিল্ড পর্যন্ত ডুবে যায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে অনেক শহর ও গ্রাম। একপর্যায়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বন্যার পানিতে আটকা পড়ে।বিগত কয়েক বছরে অস্ট্রেলিয়ায় ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাওয়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবই দায়ী বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। ২০১৯ সালের ভয়াবহ দাবানলের পর ২০২১ সাল থেকে নিয়মিত বন্যার কবলে পড়ছে দেশটি।তথ্যসূত্র: রয়টার্সভোরের আকাশ//হ.র
দীর্ঘ উত্তেজনার পর যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আবারও সীমান্তে রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলি চালিয়ে পাকিস্তানি এক নাগরিককে হত্যা করেছে।ভারতের গুজরাট রাজ্যের বানাসকাঁঠা সীমান্ত এলাকায় শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। বিএসএফ জানায়, এক ব্যক্তি আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে কাঁটাতারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও তিনি থামেননি। পরে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়, ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে।এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানায়, ঘটনাটি অনুপ্রবেশ রোধের ‘বৈধ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’। নিহত ব্যক্তির একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।এই ঘটনা এমন সময় ঘটল, যখন চলতি মাসের শুরুতেই দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল। ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণে অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়।এর আগে ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরে এক সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই হিন্দু পর্যটক। ওই হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে। এর জেরে নয়াদিল্লি সিন্ধু নদ পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতসহ কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক হ্রাস করার নানা পদক্ষেপ নেয়।পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গত ১০ মে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।কিন্তু সীমান্তে সর্বশেষ এই গুলিবর্ষণ যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এমন ঘটনার মাধ্যমে ফের সংঘর্ষের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে, যা পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।তথ্যসূত্র: এএফপিভোরের আকাশ//হ.র
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।একইসঙ্গে, অ্যাপল যদি যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন উৎপাদন না করে, তাহলে প্রতিষ্ঠানটির পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, ইইউ’র সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ট্রাম্প। ইউরোপীয় ইউনিয়ন চায় পারস্পরিক শুল্ক হার শূন্যে নামিয়ে আনতে, তবে ট্রাম্প চান বেশিরভাগ পণ্যে অন্তত ১০ শতাংশ শুল্ক বজায় রাখতে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের মতো একটি প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের ওপর ট্রাম্প যেখানে শুল্ক কমিয়ে ৩০ শতাংশে এনেছেন, সেখানে দীর্ঘদিনের মিত্র ইইউ’র পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি তার বাণিজ্য নীতির অসামঞ্জস্যতার ইঙ্গিত দেয়।জার্মান অর্থনীতিবিদ মার্সেল ফ্র্যাটশার বলেন, “চীনের তুলনায় ইইউ’র ওপর বেশি শুল্ক আরোপ যুক্তিহীন ও বাণিজ্যিকভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ পদক্ষেপ।”বিশ্লেষকদের ধারণা, ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচনী প্রচারে আক্রমণাত্মক বাণিজ্য নীতির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তবে তার এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে।এদিকে, আগামী মাস থেকেই ইইউ পণ্যে ট্রাম্প ঘোষিত ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।সূত্র: আল জাজিরাভোরের আকাশ//হ.র