আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৫ ০৯:২২ এএম
যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা পেলেও যাদের লাগতে পারে ১৫ হাজার ডলার জামানত
পর্যটন বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য নতুন শর্ত আনতে যাচ্ছে মার্কিন সরকার। আগামী ২০ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এক পরীক্ষামূলক কর্মসূচির আওতায় জাম্বিয়া ও মালাবির ভ্রমণকারীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত জামানত নেওয়া হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ১২ মাস মেয়াদি এই পাইলট প্রোগ্রামের লক্ষ্য এমন দেশগুলোর নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণ করা, যাদের ভিসাধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে নির্ধারিত সময়ের বেশি থাকার (ওভারস্টে) হার বেশি অথবা যেসব দেশের নিরাপত্তা যাচাই ও স্ক্রিনিং ব্যবস্থা দুর্বল।
এই কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের বি-১ ব্যবসায়িক ভিসা ও বি-২ পর্যটন ভিসার আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। কানাডা, মেক্সিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামের আওতায় থাকা ৪০টির বেশি দেশের নাগরিক এ শর্তের বাইরে থাকবেন। ভিসা ওয়েভার কর্মসূচির নাগরিকরা সর্বোচ্চ ৯০ দিন ভিসা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক কাজে যেতে পারেন।
প্রস্তাবিত জামানতের তিনটি স্তর থাকবে— ৫ হাজার, ১০ হাজার ও ১৫ হাজার ডলার। কনস্যুলার কর্মকর্তারা আবেদনকারীর ব্যক্তিগত অবস্থা, ভ্রমণের কারণ, চাকরি, আয়, দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনা করে জামানতের পরিমাণ নির্ধারণ করবেন। কিছু ক্ষেত্রে, যেমন মার্কিন সরকারি কর্মচারীর ভ্রমণ বা জরুরি মানবিক প্রয়োজন, জামানত মওকুফ হতে পারে।
পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, কর্মসূচি চলাকালে প্রায় দুই হাজার ভিসা আবেদনকারীকে জামানত দিতে হবে। গড়ে ১০ হাজার ডলার হিসেবে এর মোট অঙ্ক দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি ডলার।
ভবিষ্যতে আরও দেশকে এই তালিকায় যুক্ত করা হতে পারে, যদি তাদের ভিসা ওভারস্টে হার বেশি হয়, নিরাপত্তা যাচাই দুর্বল থাকে বা তারা ‘সিটিজেনশিপ বাই ইনভেস্টমেন্ট’ কর্মসূচি চালায়। এই ধরনের কর্মসূচিতে বিনিয়োগের বিনিময়ে বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়, যার জন্য বসবাসের শর্ত থাকে না। বর্তমানে এ ধরনের কর্মসূচি রয়েছে অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, অস্ট্রিয়া, জর্ডান, সেন্ট লুসিয়া ও তুরস্কে।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসন ২০২০ সালে প্রথম ভিসা বন্ড কর্মসূচি চালুর চেষ্টা করেছিল, তবে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।
ভোরের আকাশ//হ.র