করোনা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা
দেশে নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাও দিনদিন বাড়ছে। মূলত, ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় এই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি বেশি কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান সোমবার (৯ জুন) রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানান, করোনার নতুন উপধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। একইসথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব বিষয় মানার কথাও বলা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-
১. করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া।
২. জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক পরা।
৩. কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি আশপাশে থাকলে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৪. অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।
৫. হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা।
সম্প্রতি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায়ও বলা হয়েছে, দেশের আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোতে থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল থার্মোমিটারের মাধ্যমে আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে।
একইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই মজুত রাখার পাশাপাশি করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গুরুতর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে।
প্রয়োজনে আইইডিসিআরের হটলাইনে (০১৪০১-১৯৬২৯৩) যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (৩০ জুলাই)। আবেদন চলবে আগামী ১১ আগস্ট পর্যন্ত। অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এবারের ভর্তি কার্যক্রমের জন্য নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, এ বছরও এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতেই ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। কোনো ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২২০ টাকা। ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে। এই ব্যয়ের মধ্যে কলেজভেদে ভর্তি ও সেশন ফি, রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বোর্ড ফি এবং রেড ক্রিসেন্ট, ক্রীড়া ও অন্যান্য ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নীতিমালায় অঞ্চলভেদে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীর নন-এমপিও ইংরেজি ভার্সন কলেজে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫০০ টাকা ফি নেওয়া যাবে, যেখানে উপজেলা পর্যায়ে এমপিওভুক্ত কলেজের বাংলা ভার্সনের জন্য সর্বনিম্ন ফি ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই রসিদের মাধ্যমে ফি আদায় করতে হবে।আবেদনের যোগ্যতা নির্ধারণ করে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী ২০২৩, ২০২৪ বা ২০২৫ সালের মধ্যে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা আবেদন করতে পারবেন। বিদেশি বোর্ডের ফলের ভিত্তিতেও ভর্তি হতে পারবে, তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে। এবারের ভর্তি নীতিমালায় ৯৩ শতাংশ আসন সব শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সেসব আসন মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি করা হবে। সমান জিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর দেখে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। নম্বরও সমান হলে বিভাগভেদে নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যেমন, বিজ্ঞান বিভাগে গণিত, জীববিজ্ঞান ও ইংরেজি এবং মানবিক ও ব্যবসায় বিভাগে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হবে। নিজ কলেজে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত বিভাগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তি হতে পারবে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগের আসন পূরণ হওয়ার পর অবশিষ্ট আসনে বাইরের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা যাবে। ভর্তির পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে এবং প্রতিটি কলেজকে নিজস্ব ওয়েবসাইট ও নোটিশ বোর্ডে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে হবে। বোর্ডের অনুমতি ছাড়া কোনো শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র দেওয়া বা অন্য কলেজে ভর্তি নেওয়া যাবে না। ছাড়পত্র ও ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য বোর্ডে জমা দিতে হবে ১৫ দিনের মধ্যে।নতুন নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, কোনো অনুমোদনহীন ক্যাম্পাস বা অননুমোদিত বিষয়ে ভর্তি কার্যক্রম চালালে সংশ্লিষ্ট কলেজের স্বীকৃতি ও এমপিও বাতিল করা হবে। সরকারি কলেজের ক্ষেত্রেও নীতিমালা লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরবর্তী ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে আবেদন গ্রহণ, মেধাতালিকা প্রকাশ, ভর্তি সম্পন্ন ও ক্লাস শুরুর কার্যক্রম শেষ করতে হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চার বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।এতে সভাপতি হয়েছেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০০৮-০৯ সেশনের শিক্ষার্থী সুলতান আহমেদ রাহী এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সংগীত বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী সর্দার জহুরুল ইসলাম।মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র সহসভাপতি: সাকিলুর রহমান সোহাগ; সহসভাপতি: মেহেদী হাসান, সাবিহা আলম মুন্নি, জান্নাতুন নাঈম তুহিনা; সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক: শফিকুল ইসলাম শফিক; যুগ্ম সম্পাদক: তাহের রহমান, জাহিন বিশ্বাস এষা; সাংগঠনিক সম্পাদক: মাহমুদুল হাসান মিঠু; দপ্তর সম্পাদক: নাফিউল জীবনবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দিতে হবে। এছাড়া ১৫ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে রাবির প্রতিটি হল কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ প্রকল্পের আওতায় ৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) মোহাম্মদপুরে তাজমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, আজকে সবচেয়ে খুশি হয়েছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রী। শিশু শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে লেখাপড়া করে ভালো ফলাফল অর্জন করবে এই প্রত্যাশা করি। দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণের ফলে পড়ালেখার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি তা সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবে শিশুরা। সমাজ উন্নত হবে। শিশুরা উন্নত জীবন পাবে।অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা বলেন, আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। শিশুরা ভালো বাংলা ইংরেজি ও গণিত শিখবে। আমরা আবারও প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা চালু করেছি।অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে যা যা করা দরকার আমরা তাই করব। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে সাড়ে ১৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়া বলেন, ১৫৬টি বিদ্যালয়ের ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনে ভবনগুলো নির্মাণ করা হবে। বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার বৈষম্য নিরসনে কাজ করছে।স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ প্রকল্প পরিচালক মো. সাইফুর রহমান।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা, উপপ্রকল্প পরিচালক এস, এম মোর্শেদ বিপুল, ঢাকা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাচ্চু মিয়া, এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোহা. কবির উদ্দীন শাহ্।এছাড়াও এলজিইডি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পরিবেশ রক্ষায় নিজেদের অঙ্গীকার পালনের অংশ হিসেবে গতকাল বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উদযাপন করেছে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজ।এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য করা হয় ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়। এ ধরণের প্রতিপাদ্য আমাদের পরিবেশ সচেতনতা ও বিশ্বজুড়ে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধের গুরুত্বকে বিশেষভাবে তুলে ধরেছে। এ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে ছিলো শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা এবং কলেজ প্রাঙ্গণে নানা জাতের বৃক্ষরোপন।গত ২৪ জুলাই কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানাদির শুরুতে মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে নিহতদের স্মরণ করা হয় বেদনাহত চিত্তে।কলেজ প্রাঙ্গণে একটি বৃক্ষরোপনের মধ্যদিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন বনফুল আদিবাসী ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো।অন্যান্যরাও নানা জাতের বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে পরিবেশের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার কথা প্রকাশ করেন।প্রধান অতিথি এ সময় কলেজের রেক্টর তরুণ কান্তি বড়ুয়া এবং অধ্যক্ষ ড. সঞ্জয় কুমার ধরকে সাথে নিয়ে ঘুরে দেখেন শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।ভোরের আকাশ/এসএইচ