আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৫ ০২:৪০ এএম
ইউক্রেনে সরকার পুনর্গঠন: জেলেনস্কির নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সুভরিদেঙ্কো
রাশিয়ার বিরুদ্ধে তিন বছরের যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে বড় ধরনের সরকার পুনর্গঠন করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এর অংশ হিসেবে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগসহ একাধিক শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে অনুমোদনের পর ৩৯ বছর বয়সী ইউলিয়া সুভরিদেঙ্কো ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেনিস স্যামিহালের স্থলাভিষিক্ত হলেন, যিনি ২০২০ সাল থেকে এই পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
সুভরিদেঙ্কো পূর্বে প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সময় তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ চুক্তিতে যুক্ত ছিলেন, যা কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক জোরদারে সহায়ক ছিল।
নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে সুভরিদেঙ্কো বলেন, “আমাদের সরকার একটি শক্তিশালী, আত্মনির্ভরশীল এবং উন্নয়নশীল ইউক্রেন গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অস্ত্র উৎপাদন, সামরিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার।”
তিনি আরও যোগ করেন, “যুদ্ধ পরিস্থিতি আমাদের সময় নেয় না। তাই প্রতিটি সিদ্ধান্ত দ্রুত, শক্তিশালী ও কার্যকর হতে হবে।”
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেনিস স্যামিহালকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যেখানে সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এই পদে তার অভিজ্ঞতা ও প্রশাসনিক দক্ষতা কাজে লাগানোর প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রিয়ি সিবিহা তার দায়িত্বে বহাল থাকছেন। অন্যদিকে, জেলেনস্কি নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিদায়ী বিচারমন্ত্রী ওলগা স্টেফানিশিনার নাম প্রস্তাব করেছেন। মার্কিন অনুমোদন পেলেই তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
স্টেফানিশিনা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন এবং সাম্প্রতিক খনিজসম্পদ চুক্তিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তবে এই রদবদল নিয়ে সমালোচকরাও মুখ খুলেছেন। অনেকের মতে, কেবল মুখ বদলালেও সরকারে বহু পুরনো ব্যক্তিই পুনঃনিয়োগ পেয়েছেন। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, জেলেনস্কি তার বিশ্বস্ত সহযোগীদের দিয়ে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো পূরণ করে ক্ষমতা আরও কেন্দ্রীভূত করছেন।
ভোরের আকাশ//হ.র