আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৫ ০৭:৩৭ এএম
দক্ষিণ সুদানে হাসপাতাল লক্ষ্য করে বিমান হামলা, নিহত অন্তত ৭
দক্ষিণ সুদানের উত্তরের শহর ওল্ড ফ্যাঙ্গাকে একটি হাসপাতালে চালানো বিমান হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।
শনিবার (৩ মে) এক বিবৃতিতে চিকিৎসাসেবা সংস্থা ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস’ (MSF) এই তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, হামলায় শহরের একমাত্র কার্যকর হাসপাতাল ও ফার্মেসি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এমএসএফ বলেছে, এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এমএসএফ আহ্বান জানিয়েছে, “বোমাবর্ষণ বন্ধ করুন, বেসামরিক নাগরিক ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করুন।”
হামলার পেছনে কারা রয়েছে—তা এখনো নিশ্চিত নয়। দেশটির সামরিক বাহিনী থেকেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, হাসপাতাল হামলার কিছুক্ষণ পর কাছাকাছি একটি বাজারেও হামলা চালানো হয়। এতে জনমনে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট সালভা কির এবং ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়েক মাশারের অনুসারীদের মধ্যকার পুরনো শত্রুতা নতুন করে জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে নুয়ের জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ফ্যাঙ্গাক অঞ্চল, যা মাশারের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল দক্ষিণ সুদানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা সতর্ক করে বলছে, দেশটি আবারও পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধের পথে এগোচ্ছে।
২০১১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর মাত্র দুই বছরেই দক্ষিণ সুদান ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ডিনকা ও নুয়ের জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন ও নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। যদিও ২০১৮ সালের শান্তিচুক্তিতে সংঘাতের ইতি টানা হয়েছিল, তবে বর্তমান পরিস্থিতি আবারো অস্থির হয়ে উঠছে।
নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচন ইতোমধ্যেই দুইবার পিছিয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের আগে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ভোরের আকাশ//র.ন