আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫ ০৭:৪৫ এএম
অবশেষে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের সাড়া, সমঝোতার পথে অগ্রগতি
গাজা যুদ্ধ বন্ধে সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির পথে বড় অগ্রগতি হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবে এবার ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। শুক্রবার (৪ জুলাই) দেওয়া এই ঘোষণা দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার পর শান্তিপথে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সিএনএন-এর বরাত দিয়ে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব ইসরায়েল ইতিমধ্যে মৌখিকভাবে মেনে নিয়েছে। হামাসও এতে সম্মতি জানিয়ে কিছু সংশোধনী চেয়েছে, তবে তা আলোচনার জন্য ‘বড় বাধা নয়’ বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি-মার্কিন মধ্যস্থতাকারী বিশারা বাহবাহ।
এই প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রথম ধাপে হামাস আটজন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে, যার বিনিময়ে ইসরায়েল কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। ধাপে ধাপে চলবে আরও বন্দি বিনিময় এবং ইসরায়েলি সেনা গাজা থেকে প্রত্যাহার।
এছাড়া প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির সময়ও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার শর্ত ও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার রয়েছে। মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে কাতার ও মিশর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আগামী সপ্তাহেই চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে।” একই সঙ্গে তিনি হামাসকে সতর্ক করে বলেন, “এর চেয়ে ভালো প্রস্তাব আর আসবে না।”
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষিতে কিছুটা নমনীয় অবস্থান নিয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। রোববার তার যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহু এখন জিম্মি মুক্তিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
যদিও আলোচনায় অগ্রগতি এসেছে, তবে গাজায় ইসরায়েলি হামলা থেমে নেই। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান সংঘাতে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
স্থায়ী সমঝোতা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, তবে আট মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর এমন ইতিবাচক অগ্রগতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বস্তি এনেছে। কূটনৈতিক মহলের আশা, দ্রুতই একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হবে।
ভোরের আকাশ//হ.র