আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫ ০৪:৫২ এএম
ইয়েমেনে তিনটি বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা
ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে তিনটি বন্দর ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হামলার অংশ হিসেবে লক্ষ্যবস্তু ছিল ২০২৩ সালে হুথি যোদ্ধাদের দখলে যাওয়া ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামক একটি বাণিজ্যিক জাহাজও।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, হুদায়দা, রাস ইসা ও সাইফ বন্দরে হামলা চালানোর পর ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
ইরান-সমর্থিত হুথি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে ইসরায়েলি হামলার জবাব দিয়েছে। এক মুখপাত্র বলেন, “স্থানীয়ভাবে তৈরি বিপুল সংখ্যক ভূমি-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।”
ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে এসময় ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলার প্রতিরোধ কার্যকর হয়েছে কিনা, তা এখনো যাচাই করা হচ্ছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ এই হামলাকে ‘অপারেশন ব্ল্যাক ফ্ল্যাগ’-এর অংশ বলে উল্লেখ করেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “হুথিদের তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। ইয়েমেনের পরিণতি হবে তেহরানের মতোই। কেউ যদি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হাত তোলে, তার হাত কেটে ফেলা হবে।”
ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, হামলার লক্ষ্যবস্তু বন্দরে ইরান থেকে আসা অস্ত্র মজুত ছিল, যেগুলো দিয়ে ইসরায়েল ও তার মিত্রদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হতো।
হুদায়দা বন্দর হলো ইয়েমেনের লক্ষাধিক মানুষের জন্য খাদ্য ও মানবিক সহায়তার প্রধান প্রবেশদ্বার। গত এক বছরে এই বন্দর একাধিকবার ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। মে ও জুন মাসেও ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হামলার শিকার হয়েছিল শহরটি।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হুথি যোদ্ধারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। একই সঙ্গে তারা লোহিত সাগরের বাণিজ্যিক জাহাজেও হামলা চালাচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি বাংলা
ভোরের আকাশ//হ.র