আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৫ ১২:০৭ এএম
গ্রেটা থুনবার্গসহ ১২ মানবাধিকারকর্মীকে ফেরত পাঠাবে ইসরাইল
গাজা অভিমুখে মানবিক সহায়তা নিয়ে যাত্রা করা ‘ম্যাডলিন’ নামের একটি জাহাজ গত সোমবার সকালে আটক করেছে ইসরাইলি নৌবাহিনী। জাহাজটিতে থাকা ১২ জন মানবাধিকারকর্মীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আটক হওয়া কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, ব্রাজিলিয়ান মানবাধিকারকর্মী থিয়াগো অ্যাভিলা, ছয়জন ফরাসি নাগরিক—যাদের মধ্যে রয়েছেন ফরাসি-ফিলিস্তিনি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসান। এছাড়াও স্পেন এবং তুরস্কের নাগরিকরাও ছিলেন এ যাত্রায়।
এই ঘটনার পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ দ্রুত ফরাসি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, “ফরাসি নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হোক।”
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে “জঘন্য হামলা” হিসেবে অভিহিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজ আটকানোর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বলছে, গাজা উপকূলে পৌঁছানোর আগেই জাহাজটিকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু যাত্রীরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছেন। ইসরাইল দাবি করছে, গাজা উপকূল কঠোর সামুদ্রিক অবরোধের আওতায় রয়েছে এবং সেখানে এই ধরনের অভিযান 'উসকানিমূলক'।
জাহাজটি পরিচালনা করছিল ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ নামের একটি সংগঠন, যারা গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি সেখানকার সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক সচেতনতা গড়ে তুলতে চাচ্ছিল।
প্রসঙ্গত, ১ জুন ইতালির সিসিলির কাতানিয়া বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে ‘ম্যাডলিন’। জাহাজটিতে ছিল ওষুধ, ময়দা, শিশুখাদ্যসহ বিভিন্ন জরুরি মানবিক সহায়তা সামগ্রী।
সোমবার সকালে গাজার উপকূল থেকে প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার দূরে পৌঁছালে ইসরাইলি নৌবাহিনী জাহাজটি থামিয়ে যাত্রীদের মোবাইল ফোন সাগরে ফেলে দিতে বাধ্য করে।
এই ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংগঠন ও বিশ্লেষকদের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসছে। অনেকের মতে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় এই ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও সামুদ্রিক আইনের লঙ্ঘন।
ভোরের আকাশ।।হ.র