আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৫ ১২:০৩ পিএম
কেন আছড়ে পড়লো এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান? বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক ধারণা
ভারতের এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোইং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় তৈরি হয়েছে চরম ধোঁয়াশা। এখনো নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও, বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ নিয়ে প্রাথমিক ধারণা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দুর্ঘটনার দিন আহমেদাবাদের মেঘানীনগর ছিল একেবারেই স্বাভাবিক। হঠাৎ এক বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয় একটি মেডিকেল হোস্টেলের ওপর আছড়ে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোইং ৭৮৭ বিমানটি, যা যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে যাত্রা করেছিল।
দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উঠে এসেছে বিমানের ‘ট্রেলিং এজ ফ্ল্যাপ’-এর ত্রুটির বিষয়টি। এ অংশটি বিমানের ডানার নিচে থাকে এবং তা উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় নির্দিষ্ট উচ্চতা ও ভারসাম্য রক্ষা করে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘটনাকালীন এসব ফ্ল্যাপ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি প্রসারিত ছিল, যার ফলে বিমানটি দ্রুত ভারসাম্য হারিয়ে নিচের দিকে নামতে শুরু করে।
এভিয়েশন কনসালটেন্সি নামক একটি বেসরকারি বিমান বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের প্রধান জন এম কক্স জানান, “বিমানটি যথেষ্ট উচ্চতায় উঠতে পারেনি। সম্ভবত এ কারণেই সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়।”
বিশ্লেষকদের প্রশ্ন—যাত্রীবাহী এই বিমানটির যন্ত্রাংশ কি উড্ডয়নের আগে যথাযথভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল? সাধারণত বিমানে একটি সতর্কবার্তা ব্যবস্থা (warning system) থাকে, যা কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তা পাইলটকে অবহিত করে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই ব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ করেছিল কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
বিমানটির ব্ল্যাক বক্স বা ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার উদ্ধারের কাজ চলছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই রেকর্ড বিশ্লেষণেই মিলতে পারে প্রকৃত কারণ। যদিও এটি ড্রিমলাইনার সিরিজের প্রথম প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা, তথাপি এখনই পুরো উড়োজাহাজটিকে অনিরাপদ ঘোষণা করা হচ্ছে না।
বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার ও তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, অল্প সময়ের মধ্যেই ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।
ভোরের আকাশ।। হ, র