আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫ ০২:২২ এএম
কুয়েতে প্রায় ৫০ হাজার বিদেশির নাগরিকত্ব বাতিল
কুয়েতে অবৈধভাবে প্রাপ্ত নাগরিকত্ব বাতিলের অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সউদ আল সাবাহ।
কুয়েতের পত্রিকা আল-কাবাস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কয়েকটি দেশের সহযোগিতায় বহু ‘প্রতারক’ শনাক্ত করা হয়েছে। নাগরিকত্ব সংক্রান্ত সব নথি পর্যালোচনা করা হচ্ছে, যার আওতায় সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীরাও রয়েছেন। তিনি আরও জানান, শিগগিরই নতুন ইলেকট্রনিক জাতীয়তা সনদ চালু করা হবে।
আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, এই অভিযান মূলত তাদের লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে যারা অবৈধ উপায়ে কুয়েতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গঠিত সর্বোচ্চ কমিটি এসব মামলা যাচাই করে কারা বৈধভাবে নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য তা নির্ধারণ করছে। যাদের নাগরিকত্ব বাতিল হয়েছে, তাদের অনেকের নামও প্রকাশ করা হয়েছে।
কুয়েতে দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদিত নয়; দেশটির নাগরিকত্ব নিতে হলে পূর্বের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়। প্রায় ৫০ লাখ জনসংখ্যার দেশটির অধিকাংশই বিদেশি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রতারণার মাধ্যমে প্রাপ্ত নাগরিকত্ব বাতিল করা। তবে কিছু ক্ষেত্রে ‘রাষ্ট্রের উচ্চ স্বার্থে’ও নাগরিকত্ব বাতিলের ঘটনা ঘটেছে।
কুয়েতে বাবার নাগরিকত্ব সন্তানকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদান করা হয়। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মনোনীত কুয়েতি নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশে বিদেশিদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হয়ে থাকে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কয়েক দশক আগে কুয়েতের উন্নয়নে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে বহু বিদেশি নাগরিকত্ব পান। তবে নাগরিকত্ব ইস্যু দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে বিতর্কের বিষয়, বিশেষ করে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার রাষ্ট্রহীন ‘বেদুইন’ জনগোষ্ঠীর সমস্যা, যা রাজনৈতিক ও আইনগত জটিলতায় বহু বছর ধরে অমীমাংসিত রয়েছে।
ভোরের আকাশ//হ.র