আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫ ০৮:৩৩ এএম
ওমান সাগরে মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র-ইরান, মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে সরে যেতে বাধ্য করল তেহরান
ওমান সাগরে ইরানি নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজের মুখোমুখি অবস্থানে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৩ জুলাই) এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ও আনাদোলু এজেন্সি।
ইরানের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের ডেস্ট্রয়ার ‘ডিডিজি ফিটজেরাল্ড’ তেহরানের নজরদারির আওতাধীন জলসীমার খুব কাছাকাছি চলে আসে। এর পরই ইরানি নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার দ্রুত সেখানে পৌঁছে মার্কিন জাহাজটিকে সতর্ক করে। টানা হুঁশিয়ারির পর অবশেষে ডেস্ট্রয়ারটি দিক পরিবর্তন করে ওই এলাকা থেকে সরে যায়।
ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি ইরানের জলসীমার দিকে উসকানিমূলকভাবে অগ্রসর হচ্ছিল। তখন ইরান হেলিকপ্টার পাঠিয়ে তা বাধা দেয় এবং জাহাজটিকে দক্ষিণ দিকে সরার নির্দেশ দেয়। যদিও মার্কিন জাহাজটি শুরুতে পাল্টা হুমকি দেয়, শেষ পর্যন্ত ইরানের কড়া অবস্থানের মুখে পিছু হটে।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড ও মার্কিন নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে ঘিরে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য এখনো আসেনি।
প্রসঙ্গত, গত মাসে ইরানের কিছু পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। ওয়াশিংটনের দাবি ছিল, এসব স্থাপনা ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কর্মসূচির অংশ। তবে তেহরান বারবার বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
সম্প্রতি ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জানিয়েছেন, দেশটি আবারও পরমাণু কর্মসূচি চালু করবে। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, প্রয়োজনে ইরানে আবারও হামলা চালানো হতে পারে।
জাহাজটি ঠিক কোন জলসীমায় অবস্থান করছিল এবং পরে কোন দেশের জলসীমায় প্রবেশ করে, তা স্পষ্টভাবে জানাতে পারেনি রয়টার্স। তবে এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: রয়টার্স, আনাদোলু এজেন্সি, ইরানি রাষ্ট্রীয় টিভি
ভোরের আকাশ//হ.র