কানাডার সঙ্গে সব আলোচনা স্থগিত, ট্রাম্পের কঠোর বার্তা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ করেই কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার (স্থানীয় সময়) দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প কানাডার প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর ওপর কর আরোপকে ‘প্রকাশ্য আক্রমণ’ আখ্যা দিয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এই পদক্ষেপে হঠাৎ করেই ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্কে। এর মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে—জুনের মাঝামাঝি জি৭ সম্মেলনে দুই দেশের মধ্যে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছিল। সেখানে ট্রাম্প এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে একটি নতুন অর্থনৈতিক চুক্তিতে পৌঁছাতে সম্মত হয়েছিলেন।
তবে সেই আলোচনা আর এগোচ্ছে না। ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে স্পষ্টভাবে লিখেছেন— “আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কানাডার সঙ্গে বাণিজ্যসংক্রান্ত সব আলোচনা স্থগিত করব।”
তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহে কানাডার বিরুদ্ধে নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণাও আসতে পারে।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট শুক্রবার দুপুরে এক বক্তব্যে আশাবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহসহ চীনের সঙ্গে বেশ কিছু শুল্ক আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু এর কিছু ঘণ্টার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণা বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করে।
ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে আমদানি শুল্ক আরোপের কারণে একাধিকবার বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব সিদ্ধান্ত ক্রমেই মার্কিন অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি—ভোক্তা ব্যয়ে প্রভাব ফেলছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই হঠাৎ সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্কেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কাঠামোয়ও নতুন করে টানাপোড়েন তৈরি করতে পারে। কানাডার প্রতিক্রিয়া এখনো জানা না গেলেও, বিষয়টি ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তাপ বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: এবিসি নিউজ
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বেসামরিক ও শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তি প্রকল্পে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে চায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন ২ হাজার থেকে ৩ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে ইরানের সঙ্গে গোপন আলোচনা চালাচ্ছে।মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি জুনের শুরু থেকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র ও অংশীদারদের মধ্যে এই আলোচনা শুরু হয়। বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের আগেই এ আলোচনা গোপনে শুরু হয়েছিল।একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি স্থায়ীভাবে বন্ধ করুক। অন্যদিকে তেহরান এটিকে নিজেদের ‘রেডলাইন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে ওয়াশিংটন তাদের লক্ষ্য থেকে সরে আসেনি এবং সমঝোতার জন্য বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র এই বিনিয়োগের একটি অংশ সরবরাহ করবে, বাকিটা আসবে মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র ও অংশীদারদের কাছ থেকে। ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা থাকা ৬০০ কোটি ডলারের ফ্রিজড হিসাবও খোলার প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি ইরানের তেল রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে।তবে এখনও নিশ্চিত নয় ইরান এই প্রস্তাবে সম্মত হয়ে চুক্তিতে আসবে কি না। একটি মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, তেহরান এখনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব।”উল্লেখ্য, গত মে থেকে ইরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের পরমাণু সংক্রান্ত সংলাপ চলছিল। কিন্তু ১২ জুন ইসরায়েল তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে বিমান হামলা চালায়, যার জবাবে ইরান একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ২৩ জুন মার্কিন বিমান বাহিনী ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়। এরপর ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন।সূত্র: আরটি, সিএনএনভোরের আকাশ//হ.র
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ করেই কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার (স্থানীয় সময়) দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প কানাডার প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর ওপর কর আরোপকে ‘প্রকাশ্য আক্রমণ’ আখ্যা দিয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।এই পদক্ষেপে হঠাৎ করেই ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্কে। এর মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে—জুনের মাঝামাঝি জি৭ সম্মেলনে দুই দেশের মধ্যে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছিল। সেখানে ট্রাম্প এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে একটি নতুন অর্থনৈতিক চুক্তিতে পৌঁছাতে সম্মত হয়েছিলেন।তবে সেই আলোচনা আর এগোচ্ছে না। ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে স্পষ্টভাবে লিখেছেন— “আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কানাডার সঙ্গে বাণিজ্যসংক্রান্ত সব আলোচনা স্থগিত করব।”তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহে কানাডার বিরুদ্ধে নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণাও আসতে পারে।মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট শুক্রবার দুপুরে এক বক্তব্যে আশাবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহসহ চীনের সঙ্গে বেশ কিছু শুল্ক আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু এর কিছু ঘণ্টার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণা বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করে।ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে আমদানি শুল্ক আরোপের কারণে একাধিকবার বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব সিদ্ধান্ত ক্রমেই মার্কিন অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি—ভোক্তা ব্যয়ে প্রভাব ফেলছে।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই হঠাৎ সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্কেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কাঠামোয়ও নতুন করে টানাপোড়েন তৈরি করতে পারে। কানাডার প্রতিক্রিয়া এখনো জানা না গেলেও, বিষয়টি ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তাপ বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।সূত্র: এবিসি নিউজভোরের আকাশ//হ.র
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদের চত্বরে এবার ইহুদি দর্শনার্থীদের নাচ-গান এবং বাধাহীনভাবে ঘোরাফেরার অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। বিষয়টি বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়।ইসরায়েলভিত্তিক চ্যানেল সেভেন জানায়, এই প্রথমবারের মতো আল-আকসা চত্বরে ইহুদিদের গান, নাচ এবং মুক্তভাবে চলাফেরার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গেভির প্রণীত নতুন নীতির আওতায়।ডানপন্থি জিউইশ পাওয়ার পার্টির নেতা বেন-গেভির নিজেও একজন অবৈধ বসতি স্থাপনকারী এবং বর্তমান যুদ্ধকালীন সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। সম্প্রতি কয়েকটি ইহুদি ধর্মীয় সংগঠন তার দপ্তরে গিয়ে আল-আকসায় প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির দাবি জানায়। বৈঠকের পরই তিনি এই সিদ্ধান্ত দেন।বৈঠকে বেন-গেভির বলেন, “আমি চাই, পুরো আল-আকসা চত্বরজুড়ে সঙ্গীতের ধ্বনি বেজে উঠুক।”চ্যানেল সেভেন আরও জানায়, পুলিশকে ইতিমধ্যেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন চত্বরে সংগীত, নৃত্য বা দর্শনার্থীদের চলাফেরায় কোনো ধরনের বাধা না দেওয়া হয়।আল-আকসা চত্বর পরিচালনা সংক্রান্ত ঐতিহাসিক চুক্তি এবং লিখিত নিয়মকানুন অনুযায়ী— অমুসলিমদের প্রবেশ ও আচরণে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বেন-গেভিরের এই অনুমোদন সেই বিধিনিষেধের গুরুতর লঙ্ঘন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে পূর্ব জেরুজালেম ও আল-আকসা এলাকা ইসরায়েলের দখলে রয়েছে। যদিও ১৯৮০ সালে ইসরায়েল পুরো পূর্ব জেরুজালেম নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দেয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনও পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরায়েলের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এ সিদ্ধান্তে মুসলিম বিশ্বে গভীর প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে এবং পূর্ব জেরুজালেমে নতুন করে উত্তেজনা বাড়তে পারে। বর্তমানে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের পটভূমিতে এমন পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।সূত্র: আনাদোলু এজেন্সিভোরের আকাশ//হ.র
ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে ‘চুরি করা’ গম কেনার অভিযোগে বাংলাদেশি কিছু কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেন দাবি করেছে, এসব গম তাদের অধিকৃত অঞ্চল থেকে রাশিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে আমদানি করা হয়েছে।ভারতে নিযুক্ত ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এ নিয়ে তারা একাধিকবার চিঠি পাঠিয়েও কোনো প্রতিক্রিয়া পায়নি। এর ফলে তারা এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে।ইউক্রেনের অভিযোগ, ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়া তাদের কৃষি অঞ্চলের কিছু অংশ দখল করে রেখেছে এবং ২০২২ সালে আরও বেশি অংশ দখল করার পর ওই অঞ্চলগুলোতে উৎপাদিত গম রাশিয়ার নামেই রপ্তানি করা হচ্ছে। তারা এসব গমকে ‘চুরি করা’ বলে উল্লেখ করেছে।রাশিয়া এ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এই অঞ্চলগুলো এখন রাশিয়ার অংশ, তাই সেখানে উৎপাদিত গম ‘চুরি’ হতে পারে না।রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে, ইউক্রেনের নয়াদিল্লিস্থ দূতাবাস বাংলাদেশকে একাধিকবার চিঠি পাঠিয়ে এসব গম কেনা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত কাভকাজ থেকে যেসব জাহাজ বাংলাদেশে গম পরিবহন করেছে, সেগুলোর নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরও পাঠানো হয়েছে।ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্ডার পোলিশকুক বলেন, “রুশ কোম্পানিগুলো ইরান অধিকৃত অঞ্চল থেকে গম সংগ্রহ করে তা রাশিয়ার গমের সঙ্গে মিশিয়ে রপ্তানি করেছে, যা একটি অপরাধ।” তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক মহলকে বিষয়টি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা আমাদের গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করে দেব।”বাংলাদেশি একটি খাদ্য কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, “ইউক্রেন অধিকৃত অঞ্চলের গম আমদানিতে বিধিনিষেধ রয়েছে এবং বাংলাদেশ চুরি করা গম আমদানি করেনি।”ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র এনিটা হিপার বলেছেন, ইউক্রেনের অভিযোগে উল্লেখিত জাহাজগুলোর ওপর এখনো কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।এক রুশ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, “গম লোড করার সময় এর উৎপত্তি শনাক্ত করা কঠিন, তাই কারো পক্ষে নিশ্চিত হওয়া কঠিন যে গম রাশিয়া থেকে আসছে নাকি ইউক্রেন থেকে।”এ ঘটনাটি বাংলাদেশের সঙ্গে ইউক্রেনের এক নতুন কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব হিসেবে ধরা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রাশিয়ার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।সূত্র: রয়টার্সভোরের আকাশ//হ.র