× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রেসিডেন্টের সংবাদ দেখতে না চাওয়ায় কারাবন্দিকে ছয় মাসের দণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫ ০৫:৩৮ এএম

প্রেসিডেন্টের সংবাদ দেখতে না চাওয়ায় কারাবন্দিকে ছয় মাসের দণ্ড

প্রেসিডেন্টের সংবাদ দেখতে না চাওয়ায় কারাবন্দিকে ছয় মাসের দণ্ড

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের টেলিভিশন সংবাদ দেখতে অস্বীকৃতি জানানোয় এক কারাবন্দিকে অতিরিক্ত ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই বন্দির আইনজীবী ও মানবাধিকার সংগঠন। আরব নিউজ-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আইনজীবী আদেল সঘায়ার জানান, প্রথমে রাষ্ট্রপতিকে অপমানের অভিযোগে তিউনিসিয়ার ফৌজদারি আইনের ৬৭ ধারা অনুযায়ী ওই বন্দির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে মামলাটি “সর্বজনীন শালীনতা লঙ্ঘন” অভিযোগে রূপান্তর করা হয়, যেন তা রাজনৈতিক মামলা বলে মনে না হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বন্দি যখন নিজের কক্ষে টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টের কার্যক্রমসংক্রান্ত সংবাদ সম্প্রচার চলছিল, তখন তিনি তা দেখতে অস্বীকৃতি জানান এবং চ্যানেল পরিবর্তনের অনুরোধ করেন। তার সঙ্গেই থাকা আরেক বন্দি এই ঘটনা কর্তৃপক্ষকে জানালে তদন্ত শেষে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

তিউনিসিয়ান হিউম্যান রাইটস লিগের গাফসা শাখা জানিয়েছে, বন্দি ওই সময় প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে উত্তেজিত ভাষায় কিছু গালি দেন। পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তি ইতালিতে অনিয়মিতভাবে বসবাস করতেন এবং সাঈদের সরকারের সঙ্গে ইতালির করা এক অভিবাসন চুক্তির আওতায় ফেরত পাঠানো হয়েছিল। সেই থেকেই তিনি প্রেসিডেন্টের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।

আইনজীবী আরও বলেন, তার মক্কেল অন্য এক মামলায় আটক ছিলেন, যেটি পরবর্তীতে খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু নতুন সাজা হওয়ায় মুক্তির সময়েও তিনি ছাড়া পাননি। পরিবার তখনই জানতে পারে যে তাকে নতুন একটি মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় তিউনিসিয়ান মানবাধিকার সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, “এই দণ্ড মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ব্যক্তিস্বাধীনতা রুদ্ধ করার একটি ভয়ংকর দৃষ্টান্ত, যা এখন কারাগারের ভেতরেও প্রবেশ করেছে।”

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ ২০১৯ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর ২০২১ সালে একদলীয় শাসনের দিকে ধাবিত হন। তিনি সংসদ স্থগিত রেখে একের পর এক ডিক্রি জারি করে দেশ পরিচালনা করছেন। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে তার ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হ্রাসের বিষয়ে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এক সময় যে তিউনিসিয়াকে আরব বসন্তের সূতিকাগার বলা হতো, তা এখন কঠোর শাসনের চিত্র তুলে ধরছে বলে মন্তব্য বিশ্লেষকদের।

ভোরের আকাশ//হ.র

  • শেয়ার করুন-
 যুবদের জনসম্পদে রূপান্তরে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

যুবদের জনসম্পদে রূপান্তরে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

সংশ্লিষ্ট

ভারত-চীনের সম্পর্কে উন্নতির বার্তা দিলেন জয়শঙ্কর

ভারত-চীনের সম্পর্কে উন্নতির বার্তা দিলেন জয়শঙ্কর

সিরিয়ায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে নিহত ৮৯, উদ্বেগ বাড়ছে দক্ষিণাঞ্চলে

সিরিয়ায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে নিহত ৮৯, উদ্বেগ বাড়ছে দক্ষিণাঞ্চলে

ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

“এখনই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন” — ব্রিটিশ সরকারকে ৬০ এমপির খোলা চিঠি

“এখনই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন” — ব্রিটিশ সরকারকে ৬০ এমপির খোলা চিঠি