ভোরের আকাশ প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৫ ০৭:১২ এএম
গাজায় আগ্রাসন বাড়াতে রিজার্ভ ফোর্সকে প্রস্তুত করছে ইসরায়েল
গাজায় চলমান আগ্রাসন বৃদ্ধির জন্য রিজার্ভ বাহিনীকে বৃহৎ পরিসরে একত্রিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। শুক্রবার (২ মে) ইসরাইলের স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথের মতে, রাফায় ৩৬তম ডিভিশনের আক্রমণ অব্যাহত থাকায় সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় কোনও অগ্রগতি না হলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আগামী সপ্তাহে গাজায় তাদের সামরিক প্রচেষ্টা জোরদার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গাজায় আগ্রাসন বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রোববার সন্ধ্যায় নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা বসবে।
দৈনিকটি বলছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বেশ কয়েকজন রিজার্ভ অফিসার তাদের ইউনিটগুলোকে যেকোনো সময় ডাক আসতে পারে বলে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। এছাড়া সপ্তাহান্তে ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতি জারি করে ইঙ্গিত দেয়, রিজার্ভ মোতায়েন সতর্কতা এবং দায়িত্বের সঙ্গে, বস্তুনিষ্ঠ এবং পেশাদার বিবেচনার ভিত্তিতে করা হবে।
এদিকে নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছে, গাজা থেকে হামাসের অপসারণের অগ্রাধিকার ইসরাইলি বন্দিদের উদ্ধারের চেয়ে বেশি।
তার এই বিবৃতি গাজায় জিম্মিদের পরিবারের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়, যারা সরকারকে তাদের মুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে আসছে।
এর আগে ইসরাইলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেন, বন্দিদের উদ্ধার করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য নয়।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এদিন তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা করে প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। হামাসের হামলার প্রতিশোধে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫২ হাজার ৪১৮ জন বেশি এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। তবে বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরাইল। দ্বিতীয় দফার এ আগ্রাসনে ২০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারেরও বেশি।
ভোরের আকাশ/এসআই