আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫ ১২:০৩ এএম
গাজায় হামলার তীব্র নিন্দা, ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিল যুক্তরাজ্য
গাজায় ইসরাইলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার দেশটির সরকার ইসরাইলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে, লন্ডনে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে এবং পশ্চিম তীরের বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণা দিয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলের সামরিক পদক্ষেপকে “ভয়াবহ সামরিক বৃদ্ধি” বলে উল্লেখ করে বলেন,“এটা মানবিক সহায়তার সম্পূর্ণ লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।”
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন,“গাজায় মাত্র পাঁচটি ত্রাণ ট্রাক প্রবেশ করেছে—এটা একেবারেই অপর্যাপ্ত। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই সহায়তা কার্যত প্রাণ বাঁচাতে ব্যর্থ হচ্ছে।”
তিনি পার্লামেন্টে দেয়া বক্তব্যে বলেন,“ইসরাইলের সামরিক উত্তেজনায় আমরা স্তম্ভিত। আমরা আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি।”
সোমবার যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা এক যৌথ বিবৃতিতে গাজার সামরিক অভিযানকে “অপ্রয়োজনীয় ও অতিরঞ্জিত” বলে আখ্যা দিয়েছে। তারা স্পষ্টভাবে জানায়,“গাজায় মানবিক বিপর্যয় চলছে। যদি অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ না হয়, তাহলে আমরা লক্ষ্যভিত্তিক কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিতে বাধ্য হব।”
তারা আরও বলেন,“পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে। মানবিক সহায়তার পথ অবরোধ করা যাবে না।”
গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার। তিনি বলেন,
“এই মাত্রার সংকট গত শতাব্দীর সবচেয়ে করুণ মানবিক বিপর্যয়গুলোর একটি হয়ে উঠছে।”
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলের সেনা অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৮৭ জন নিহত হয়েছেন। সেখানে বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, চিকিৎসা সামগ্রী নেই। ত্রাণ পরিবহণে বাধা ও বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আসা এমন কড়া ভাষার প্রতিক্রিয়া ইসরাইলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াবে। এখন প্রশ্ন উঠেছে—এই হুঁশিয়ারি বাস্তব পদক্ষেপে রূপ নেবে কি না।
সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স
ভোরের আকাশ/হ.র