দূষিত বাতাসের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা শহর
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা শহর। বায়ু মানে ১৬১ স্কোর নিয়ে আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’ এই শহর। শুক্রবার (২৩ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য নেয়া হয়েছে।
আইকিউএয়ারের দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোরের বায়ুর মানের স্কোর ১৫৩, তৃতীয় স্থানে থাকা চিলির সান্তিয়াগোর স্কোর ১৩৯। একই স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই। পঞ্চম স্থানে আছে ভারতের দিল্লি, বাতাসের মান ১৩৭।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয় বায়ুর মান। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়।
আর স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আগামীকাল বুধবার (৯ জুলাই) সকাল নাগাদ দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।মঙ্গলবার রাতে অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য জারি করা সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার হয়ে ওই লঘুচাপ অতিক্রম করে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত, যার একটি শাখা উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রসারিত। ফলে বর্তমানে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা প্রবল অবস্থায় রয়েছে।এই পরিস্থিতিতে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও কোথাও বজ্রসহ ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে, বিশেষ করে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই।বৃষ্টিপাতের দিক দিয়ে আজ ফেনীতে সর্বোচ্চ ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া পটুয়াখালীতে ২৪৮ মিলিমিটার, নোয়াখালীতে ১৮৯ মিলিমিটার এবং সন্দ্বীপে ১৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ভোরের আকাশ/হ.র
মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা সারা দেশে সক্রিয়। এতে মঙ্গলবার রংপুর বিভাগ ছাড়া প্রায় সারা দেশেই বৃষ্টি বেড়েছে। রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলেই কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে মঙ্গলবার। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হয়েছে। ফেনীতে ২৪ ঘণ্টায় ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে যা এখন পর্যন্ত জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। এছাড়া ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় তিন সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারে ৩ নম্বর সতর্কসংকেতও বহাল রয়েছে।অতি ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ভারি বর্ষণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে। ভারি বৃষ্টিতে ফেনী, খুলনা, পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে জলাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বুধবারও (৯ জুলাই) দেশে বৃষ্টি বেশি থাকতে পারে। তবে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে।বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) থেকে সারা দেশে বৃষ্টি অনেকটাই কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। অন্যদিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ফেনী জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। পাউবো জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় ফেনী জেলার মুহুরি নদীর পানি পরশুরাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অন্যদিকে সিলোনিয়া নদীর পানি জেলার সুবার বাজার পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।বুধবার ভোর ৫টা পর্যন্ত নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করতে পারে। তবে এর পর থেকে পানি স্থিতিশীল থেকে ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। এতে আজই জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, 'ফেনী জেলায় অতি ভারি বা অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছে। মূলত অভ্যন্তরীণ বৃষ্টিপাতের প্রভাবে নদীর পানি বেড়ে এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে ৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি বৃষ্টি হলেই তা অতি ভারি বৃষ্টিপাত। ফেনী ছাড়াও অতি ভারি বৃষ্টি হয়েছে দেশের আরো অন্তত ১১টি অঞ্চলে যার সব কয়টির অবস্থানই দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে। এর মধ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীতে ২৪৮ মিলিমিটার ও দক্ষিণ-পূবের জেলা লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ২২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।এছাড়া নোয়াখালীর মাইজদীকোর্ট এলাকায় ১৮৯ মিলিমিটার, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ১৬৬ মিলিমিটার, ভোলায় ১৫৪ মিলিমিটার ও নোয়াখালীর হাতিয়ায় ১৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় এসময় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।আকস্মিক এত বেশি বৃষ্টিপাতের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, 'মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা স্থলভাগে সক্রিয় অবস্থায় ছিল এবং দক্ষিণ-পুর্ব দিক থেকে বাতাস ছিল। সেই সঙ্গে লঘুচাপের প্রভাবও ছিল। লঘুচাপটি এখনও (গতকাল সন্ধ্যায়) গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থান করছে। লঘুচাপের ডান পাশে মূলত বৃষ্টি হয়। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ডান পাশেই বাংলাদেশের অবস্থান। সব মিলিয়েই বৃষ্টিপাতের তীব্রতা অনেক বেশি ছিল।'এদিকে বুধবারও দেশের চার বিভাগের জন্য ভারি বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে বুধবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটার বা বেশি) বর্ষণ হতে পারে।আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণও হতে পারে।তবে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) থেকে সারা দেশে বৃষ্টি অনেকটাই কমতে পারে। এতে দিন ও রাতের তাপমাত্রাও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ভোরের আকাশ/আজাসা
দুপুরের মধ্যে দেশের সাত অঞ্চলের উপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব এলাকার নৌবন্দরকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, কুমিল্লা, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।এদিকে, সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সন্ধ্যার মধ্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে দেশের উপকূলীয় ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ৭টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে। এ সময় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এসব অঞ্চলে। এ অবস্থায় এ ৭ অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ সতর্কতা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে অস্থায়ীভাবে ঝড় বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহবৃষ্টি হতে পারে এসব অঞ্চলে।এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোর অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত এই পূর্বাভাসে নদীপথে চলাচলরত নৌযান ও নৌযাত্রীদের সতর্ক থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, ১ নম্বর সতর্ক সংকেত সাধারণত স্বল্পমাত্রার ঝোড়ো হাওয়া কিংবা বৈরী আবহাওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়, যার কারণে নৌ চলাচলে সাময়িক সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।ভোরের আকাশ/আজাসা