অনুমতি ছাড়া রংপুর মহানগরীতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ করতে নিষেধ করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি)। মঙ্গলবার (৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো আরপিএমপি কমিশনার মো. মজিদ আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল/সংগঠন/সংস্থা অনুমতি ছাড়া এবং বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায় ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন তখন সড়ক অবরোধ করে সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসতেছে। ফলশ্রুতিতে রংপুর মহানগর এলাকায় যানজটসহ জনগণের ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।এতে আরও বলা হয়, যে কোনো ধরনের জনসমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা করার জন্য মেট্রোপলিটন পুলিশের পূর্বানুমতি গ্রহণ এবং জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায় ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো। জনস্বার্থে এ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো।এমতাবস্থায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে উক্ত নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে আরপিএমপি। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৩ জুন ২০২৫ ০৫:৪৪ পিএম
রাজধানীতে জামায়াতের সমাবেশ ২১ জুন
ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ঢাকায় প্রথম বড় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।আগামী ২১ জুন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে চায় দলটি। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে আবেদন করেছে জামায়াত।গতকাল শনিবার জামায়াতের কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, আগামী ২১ জুন দুপুর ২টায় রাজধানীতে আমরা জনসভা করব। প্রাথমিকভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জন্য ডিএমপির কাছে আবেদন করা হয়েছে। সমাবেশে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।তিনি আরও বলেন, এটা নির্ভর করছে উদ্যান বরাদ্দের ওপর। প্রস্তুতিও চলছে। বিস্তারিত দলের পক্ষ থেকে পরে জানানো হবে।উল্লেখ্য, অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর রাজধানীতে একাধিক সমাবেশ করে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তবে জামায়াতকে রাজধানীতে বড় কোনো সমাবেশ করতে দেখা যায়নি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০১ জুন ২০২৫ ০২:১৪ এএম
ঢাকায় সমাবেশের ডাক জুলাই ঐক্যের
জুলাই আন্দোলনের অংশীদারদের ফের ঐক্যবদ্ধ করতে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে জুলাই ঐক্য। আগামীকাল রোববার (২৫ মে) শাহবাগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (২৩ মে) জুলাই ঐক্যের সংগঠক এক সংবাদ সম্মেলনে এবি জুবায়ের এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।এবি জুবায়ের বলেন, ২৫ মে বিকেল সাড়ে ৩টায় জুলাইয়ের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে ভারতীয় ষড়যন্ত্র রুখে দিতে শাহবাগে প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজিত হবে।এছাড়া শনিবার (২৪ মে) থেকে আগামী শুক্রবার (৩০ মে) পর্যন্ত সারাদেশে থাকা জুলাইয়ের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে অনলাইন এবং অফলাইনে ক্যাম্পেইন করা হবে। ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৪ মে ২০২৫ ০৪:৩০ পিএম
দাবি বাস্তবায়নের নতুন কেন্দ্র হবে কাকরাইল মোড়: রইছ উদ্দিন
জবি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হলে কাকরাইল মোড় জনদাবি বাস্তবায়নের নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন। শুক্রবার (১৬ মে) কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেন, এ দেশের প্রত্যেকটা নাগরিক তাদের অধিকার প্রত্যাশা করে। তিন দিন ধরে আমার শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে বসে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সমাধান আসেনি। অথচ চাইলে প্রথম দিনই তার সমাধান করা যেত।তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিপীড়িত, বঞ্চিত ও নিষ্পেষিত। আমরা এমন এক স্থানে উপনীত হয়েছি, যেখান থেকে ফিরে যাওয়ার আর কোনো উপায় নেই। আমাদের দাবি পূরণ না হলে এই কাকরাইল মোড় আরেকটি জনদাবি বাস্তবায়নের কেন্দ্রে পরিণত হবে। আমাদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত সরকার যদি হুমকি ধামকি দেয়, আমরা সেটাকে রুখে দেব।এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষক–শিক্ষার্থী এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। তবে সেটি সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছেন রইস উদ্দিন।ঘোষণা অনুযায়ী, জুমার নামাজের পর থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে গণ–অনশনে বসবেন। আর সেই সমাবেশে যোগ দিতে পর্যায়ক্রমে বাসে আসছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।এর আগে গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার অভিমুখে লংমার্চ নিয়ে যাওয়ার সময় কাকরাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ