প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে যমুনায় বিএনপি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক শুরু হয়েছে।
শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে দলটির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় প্রবেশ করেছে।
প্রতিনিধিদলে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
সৎ ও দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করার অঙ্গীকার করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।শুক্রবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাতে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে এনসিপি আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, "আগের আমলে গুটি কয়েক ব্যবসায়ী মাফিয়ায় পরিণত হয়েছিল। আজকে সেই মাফিয়াদেরকে একটি রাজনৈতিক দল আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। অথচ খেটে-খাওয়া, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজদের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।"নাহিদ ইসলাম বলেন, “শহীদরা তাদের প্রাণ দিয়েছিলেন একটি সন্ত্রাসমুক্ত, ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে। তারা কখনোই চাঁদাবাজি সংস্কৃতি বা লুটপাটের স্বাধীনতার জন্য জীবন দেননি। আমরা বলেছিলাম, আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি—কিন্তু কেউ কেউ ভেবেছে, তারা লুটপাটের স্বাধীনতা পেয়েছে। তারা ভুল ভাবছে।”তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থান এখনো অসমাপ্ত। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ছিল নতুন বাংলাদেশের সূচনা। আমরা সেই আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে মাঠে আছি, থাকব। কেউ ষড়যন্ত্র করে আমাদের সরাতে পারবে না।”খুলনাবাসীকে উদ্দেশ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, “আপনারা প্রস্তুত থাকুন। ৩ আগস্ট ঢাকায় এসে সবকিছুর জবাব দেবো। দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে, শহীদরা সেই দায়িত্ব আমাদের দিয়ে গেছেন।”তিনি বলেন, “আজ খুলনায় এবং ঢাকায় আমরা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কথা বলছি, অথচ দেখতে হচ্ছে বিভৎস সব ঘটনা। রাজনৈতিক সহিংসতা ও নৃশংসতা গণঅভ্যুত্থানের পরেও থামেনি। লগি-বৈঠার তাণ্ডব আমরা শৈশবে দেখেছিলাম, আজও দেখতে হচ্ছে। এটা দুঃখজনক।”সুন্দরবন রক্ষার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করে ভারতের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে, কিন্তু সুন্দরবন ধ্বংসের মুখে পড়েছে। এই বন আমাদের অস্তিত্বের রক্ষাকবচ, একে রক্ষা করতে হবে।”খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিসি-শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। খুলনার মানুষ এমন পরিস্থিতি মেনে নেবে না।”সরকারি নীতিকে একহাত নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, “যে ব্যবস্থা মাফিয়া তৈরি করে, সেই ব্যবস্থা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। সেই ব্যবস্থাকে ভেঙে নতুন গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে হবে।”সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। এ সময় এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ//হ.র
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় বিএনপির ওপর দায় চাপানোকে ‘নোংরা ও অপরাজনীতি’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপরও বিএনপিকে দায়ী করার চেষ্টা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।তিনি বলেন, “ঘটনার পরপরই বিএনপি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আওতায় কাজ করেছে। বিচ্ছিন্ন কোনো অপরাধের দায় বিএনপির নয়। আমাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন কখনো অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না।”সালাহউদ্দিন আহমদ আরও জানান, ইতোমধ্যে দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। “তবুও বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে দায় চাপানো রাজনৈতিক অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছু নয়,” বলেন তিনি।এদিকে, যুবদল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহজলভ্য বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকিকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন কোনো শৈথিল্য না দেখায় এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।”তারা আরও জানায়, বহিষ্কৃতদের কোনো কার্যক্রম বা অপকর্মের দায় সংগঠন নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।এছাড়া, স্বেচ্ছাসেবক দলও একই ঘটনায় তাদের সংগঠনের দুইজন নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বলে জানা গেছে।ভোরের আকাশ//হ.র
রাজধানীর পুরান ঢাকায় চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ২ যুবদল নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে যুবদলের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, গত ৯ জুলাই রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল ফটকে জনসমক্ষে মোহাম্মদ সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ী যুবককে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার আসামি যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকিকে প্রাথমিক সদস্যপদ সহ দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।এ ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এরইমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া করা হলো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ওই বিষয়ে কোনরূপ শৈথিল্য না দেখিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে যুবদল।ভোরের আকাশ/জাআ
‘শাপলা’কে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে বিধিমালার তফসিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (৯ জুলাই) নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নির্বাচন কমিশনার মাছউদ বলেন, নাগরিক ঐক্য ‘কেটলি’ প্রতীকের পরিবর্তে ‘শাপলা’ চেয়েছিল। একইভাবে সদ্য গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)– যারা গণঅভ্যুত্থান থেকে উঠে এসেছে– তারাও ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু সংবিধানে শাপলাকে জাতীয় প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, সে কারণে এটি নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ব্যবহার উপযোগী নয় বলে কমিশনের অভিমত।তিনি বলেন, সংবিধানে জাতীয় প্রতীক ও জাতীয় পতাকা সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ায় নির্বাচন কমিশন আগেই নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে, এটি প্রতীক তালিকায় থাকবে না। আজ আমরা সেই সিদ্ধান্তই পুনর্ব্যক্ত করেছি।তিনি আরও জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রতীকের সংখ্যা ৬৯ থেকে বাড়িয়ে অন্তত ১১৫ করার পরিকল্পনা করছে ইসি। সম্প্রসারিত প্রতীকের তালিকা শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ