ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতেই অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের আয়োজন করবে বলে আশাবাদী বিএনপি। নির্বাচনের মাধ্যমেই সঠিক পথে দেশ এগিয়ে যাবে।
সোমবার (৭ জুলাই) সকালে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব যুক্তরাজ্য বিএনপি'র সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালিকের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া মাহফিলে যোগদান করবেন।
এছাড়া দুপুরে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের শিকার সিলেট জেলার সকল শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে একটি ফ্লাইটে সিলেটে পৌঁছান। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই তিনি হযরত শাহজালাল (র.)-এর মাজার জিয়ারতে যান। পরে হযরত শাহপরান (র.) মাজার জিয়ারত করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতেই অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের আয়োজন করবে বলে আশাবাদী বিএনপি। নির্বাচনের মাধ্যমেই সঠিক পথে দেশ এগিয়ে যাবে।সোমবার (৭ জুলাই) সকালে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।বিএনপি মহাসচিব যুক্তরাজ্য বিএনপি'র সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালিকের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া মাহফিলে যোগদান করবেন।এছাড়া দুপুরে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের শিকার সিলেট জেলার সকল শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে একটি ফ্লাইটে সিলেটে পৌঁছান। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই তিনি হযরত শাহজালাল (র.)-এর মাজার জিয়ারতে যান। পরে হযরত শাহপরান (র.) মাজার জিয়ারত করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপিকে ‘সংস্কারবিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য একটি মহল পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।রবিবার (৬ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, “মিডিয়ার একটি অংশ এবং কিছু ব্যক্তি বিএনপির সংস্কার বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন, যেগুলো সত্য নয়। বিএনপি সবসময় সংস্কারে বিশ্বাস করে। ২০১৬ সালে খালেদা জিয়ার ‘ভিশন-২০৩০’, ২০২২ সালে ঘোষিত ২৭ দফা এবং ২০২৩ সালে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি তারই প্রমাণ।”তিনি আরও বলেন, “এই ৩১ দফা নিয়ে আমরা দেশজুড়ে অসংখ্য কর্মসূচি পালন করেছি, জনগণের কাছে গিয়েছি, সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অথচ একটি মহল এখন পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী হিসেবে চিত্রিত করতে চায়।”১৫ বছরের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির আন্দোলন ও কর্মসূচির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিএনপি যে গণতন্ত্রের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে, তা বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের সমাবেশ, কর্মসূচি, পুলিশের দমন-পীড়ন—সবই আপনারা দেখেছেন, কভার করেছেন। এরপরও এ ধরনের প্রশ্ন তোলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”তিনি অভিযোগ করেন, “একটি চক্র বিএনপিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই প্রচারণায় জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। দেশের মানুষ বিএনপিকে চেনে এবং বিএনপির শাসনামলে যেসব ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, তা তারা মনে রেখেছে।”মির্জা ফখরুল বলেন, “বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, মুক্তবাজার অর্থনীতি—এসবই বিএনপির হাত ধরেই বাস্তবায়িত হয়েছে। এসব ছিল সংস্কারেরই অংশ। সুতরাং, বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী বলার কোনো সুযোগ নেই।”সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে যারা চায়, তারা গণতন্ত্রের শক্তি হতে পারে না। তারা ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের’ ধারকও নয়।”জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, দেশে যেন কোনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিজম পুনরায় জন্ম না নেয়। এজন্য আমরা প্রস্তাব করেছি, কোনো ব্যক্তি যেন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে না পারে। আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটির এ সিদ্ধান্তই তা প্রমাণ করে।”তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্র পরিচালনার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদের কার্যকারিতা যেন ব্যাহত না হয়, সে কারণে আমরা এনসিসির মতো কোনো অতিরিক্ত ‘বডি’ গঠনের ধারণার সঙ্গে একমত হইনি। এটাই আমাদের অবস্থান।”সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, এ বিষয়ে আলোচনা চলছে এবং তারা আশাবাদী যে শিগগিরই সাংবিধানিক বিষয়গুলোতে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।ভোরের আকাশ//হ.র
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নতুন সংবিধানে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।নাহিদ ইসলাম লেখেন, “কেবল সংবিধানে যুক্ত করাই নয়, একাত্তর ও চব্বিশের আকাঙ্ক্ষাই হবে নতুন সংবিধানের আদর্শিক ভিত্তি। প্রথমে জুলাই ঘোষণাপত্রকে রাজনৈতিক ঐকমত্যের দলিল হিসেবে তৈরি করতে হবে। পরে একে সাংবিধানিক ও আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে।”তিনি জানান, “জুলাই ঘোষণাপত্রে থাকবে—ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, শহীদ ও আহতদের মর্যাদা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি।”এর আগে শুক্রবার সকালে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে এক স্থানীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর দেশে আবারও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। যুবসমাজকে ফের বিপথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এই জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করিনি, এই জন্য স্বৈরাচার পতন ঘটাইনি।”তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি ইনসাফের ভিত্তিতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের পক্ষে কথা বলবে। বিগত সরকার আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। জমি দখল, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া ও লুটপাটের ঘটনায় তাদের জন্য ন্যায্য বিচার হয়নি।”নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “সাবেক সরকার নিজেদের নেতাকর্মীদের দুর্নীতি, লুটপাট ও অন্যায়ের সুযোগ দিয়েছে। দেশে গুটি কয়েকজন মানুষ সব সম্পদের মালিক হয়ে উঠেছে। একটি পরিবার—মুজিব পরিবার, স্বৈরশাসন কায়েম করে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।”তিনি আরও বলেন, “আমরা এই জমিদারি প্রথা ভেঙেছি জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। এখন যদি আবার নতুন কোনো স্বৈরাচার, চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়, তাহলে আমাদের আবারও রুখে দাঁড়াতে হবে। এই সংগ্রাম শুরু করতে হবে আটোয়ারী থেকেই।”সভায় তিনি উপস্থিত জনগণকে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ//হ.র
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কিছু মৌলিক সংস্কার অপরিহার্য। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, "আমরা সেই সংস্কারগুলো আদায় করেই ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ সুষ্ঠু নির্বাচনও আদায় করে ছাড়ব।"শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত জামায়াতের বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর মহানগর ও জেলা জামায়াত এই জনসভার আয়োজন করে।ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “যারা এখনও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছেন, আমরা মহান আল্লাহর সাহায্যে সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করব। প্রশাসনিক ক্যু বা মাস্তানতন্ত্র, কালো টাকার খেলা—এসব আর চলতে দেওয়া হবে না।”তিনি আরও বলেন, “আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নানা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অনেক ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর আলামতও বোঝা যাচ্ছে। তবে ইতিহাস বলে—যখন জনগণের জাগরণ হয়, তখন কোনো শক্তিই ফ্যাসিবাদকে রক্ষা করতে পারে না। অতীতে শেখ হাসিনার হাতে সব বাহিনী ও দোর্দণ্ড প্রতাপ থাকলেও, জনগণের জাগরণ তাকে রক্ষা করতে পারেনি। এবারও জনগণ আরেকটি ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে দেবে না।”জামায়াতের আমির আরও বলেন, “আমরা কথা দিচ্ছি, ফ্যাসিবাদের সামান্য চিহ্ন মুছে না যাওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। আমাদের কেউ থামাতে পারবে না।”তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ৫৪ বছরে জামায়াত জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছে। কেয়ারটেকার সরকারের প্রস্তাব প্রথম দিয়েছিল জামায়াতের তৎকালীন আমির অধ্যাপক গোলাম আযম। সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতেই ১৯৯১ সালে এবং পরে আরও কয়েকটি নির্বাচন হয়েছে। অথচ এখন সেই ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।”জনসভায় সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগও তোলেন তিনি। বলেন, “সাড়ে ১৫ বছরে আমাদের দুইজন আমির, দুইজন নায়েবে আমিরসহ ১১ জন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আজকের এই জনসভায় উপস্থিত শহীদ এটিএম আজহারুল ইসলাম জীবন্ত সাক্ষ্য বহন করছেন।”বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আবু সাঈদদের মতো যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগের পরও আমরা কেন ধৈর্য হারাচ্ছি? আজ দেশের প্রতিটি জায়গায়, প্রতিটি পত্রিকার পাতা, স্যাটেলাইট মিডিয়ায় অপশাসনের বিভৎস চিত্র উঠে আসছে। জনগণের জীবনের, ইজ্জতের, সম্পদের ওপর থাবা চলছে। এমনকি তারা এখন নিজেদের লোকজনকেও হত্যা করতে কুণ্ঠাবোধ করছে না।”নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, “সারা বাংলাদেশকে পাটগ্রাম বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের কল্পনাও করা যায় না।”জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।দীর্ঘ ১৭ বছর পর রংপুরে আয়োজিত এই জনসভা শুরু হয় জুমার নামাজের পরপরই। বিকেল ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, নামাজ শেষে মঞ্চে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকের উপস্থিতিতে রংপুর জিলা স্কুল মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। ভিড় উপচে পড়ে পাশের সড়কেও।এই জনসভা থেকে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে জামায়াতের প্রার্থীদের পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়।ভোরের আকাশ//হ.র