“জুলাই ঘোষণাপত্র সংবিধানে যুক্ত করতেই হবে”—নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নতুন সংবিধানে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম লেখেন, “কেবল সংবিধানে যুক্ত করাই নয়, একাত্তর ও চব্বিশের আকাঙ্ক্ষাই হবে নতুন সংবিধানের আদর্শিক ভিত্তি। প্রথমে জুলাই ঘোষণাপত্রকে রাজনৈতিক ঐকমত্যের দলিল হিসেবে তৈরি করতে হবে। পরে একে সাংবিধানিক ও আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে।”
তিনি জানান, “জুলাই ঘোষণাপত্রে থাকবে—ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, শহীদ ও আহতদের মর্যাদা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি।”
এর আগে শুক্রবার সকালে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে এক স্থানীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর দেশে আবারও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। যুবসমাজকে ফের বিপথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এই জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করিনি, এই জন্য স্বৈরাচার পতন ঘটাইনি।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি ইনসাফের ভিত্তিতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের পক্ষে কথা বলবে। বিগত সরকার আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। জমি দখল, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া ও লুটপাটের ঘটনায় তাদের জন্য ন্যায্য বিচার হয়নি।”
নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “সাবেক সরকার নিজেদের নেতাকর্মীদের দুর্নীতি, লুটপাট ও অন্যায়ের সুযোগ দিয়েছে। দেশে গুটি কয়েকজন মানুষ সব সম্পদের মালিক হয়ে উঠেছে। একটি পরিবার—মুজিব পরিবার, স্বৈরশাসন কায়েম করে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এই জমিদারি প্রথা ভেঙেছি জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। এখন যদি আবার নতুন কোনো স্বৈরাচার, চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়, তাহলে আমাদের আবারও রুখে দাঁড়াতে হবে। এই সংগ্রাম শুরু করতে হবে আটোয়ারী থেকেই।”
সভায় তিনি উপস্থিত জনগণকে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নতুন সংবিধানে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।নাহিদ ইসলাম লেখেন, “কেবল সংবিধানে যুক্ত করাই নয়, একাত্তর ও চব্বিশের আকাঙ্ক্ষাই হবে নতুন সংবিধানের আদর্শিক ভিত্তি। প্রথমে জুলাই ঘোষণাপত্রকে রাজনৈতিক ঐকমত্যের দলিল হিসেবে তৈরি করতে হবে। পরে একে সাংবিধানিক ও আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে।”তিনি জানান, “জুলাই ঘোষণাপত্রে থাকবে—ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, শহীদ ও আহতদের মর্যাদা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি।”এর আগে শুক্রবার সকালে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে এক স্থানীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর দেশে আবারও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। যুবসমাজকে ফের বিপথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এই জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করিনি, এই জন্য স্বৈরাচার পতন ঘটাইনি।”তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি ইনসাফের ভিত্তিতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের পক্ষে কথা বলবে। বিগত সরকার আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। জমি দখল, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া ও লুটপাটের ঘটনায় তাদের জন্য ন্যায্য বিচার হয়নি।”নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “সাবেক সরকার নিজেদের নেতাকর্মীদের দুর্নীতি, লুটপাট ও অন্যায়ের সুযোগ দিয়েছে। দেশে গুটি কয়েকজন মানুষ সব সম্পদের মালিক হয়ে উঠেছে। একটি পরিবার—মুজিব পরিবার, স্বৈরশাসন কায়েম করে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।”তিনি আরও বলেন, “আমরা এই জমিদারি প্রথা ভেঙেছি জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। এখন যদি আবার নতুন কোনো স্বৈরাচার, চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়, তাহলে আমাদের আবারও রুখে দাঁড়াতে হবে। এই সংগ্রাম শুরু করতে হবে আটোয়ারী থেকেই।”সভায় তিনি উপস্থিত জনগণকে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ//হ.র
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কিছু মৌলিক সংস্কার অপরিহার্য। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, "আমরা সেই সংস্কারগুলো আদায় করেই ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ সুষ্ঠু নির্বাচনও আদায় করে ছাড়ব।"শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত জামায়াতের বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর মহানগর ও জেলা জামায়াত এই জনসভার আয়োজন করে।ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “যারা এখনও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছেন, আমরা মহান আল্লাহর সাহায্যে সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করব। প্রশাসনিক ক্যু বা মাস্তানতন্ত্র, কালো টাকার খেলা—এসব আর চলতে দেওয়া হবে না।”তিনি আরও বলেন, “আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নানা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অনেক ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর আলামতও বোঝা যাচ্ছে। তবে ইতিহাস বলে—যখন জনগণের জাগরণ হয়, তখন কোনো শক্তিই ফ্যাসিবাদকে রক্ষা করতে পারে না। অতীতে শেখ হাসিনার হাতে সব বাহিনী ও দোর্দণ্ড প্রতাপ থাকলেও, জনগণের জাগরণ তাকে রক্ষা করতে পারেনি। এবারও জনগণ আরেকটি ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে দেবে না।”জামায়াতের আমির আরও বলেন, “আমরা কথা দিচ্ছি, ফ্যাসিবাদের সামান্য চিহ্ন মুছে না যাওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। আমাদের কেউ থামাতে পারবে না।”তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ৫৪ বছরে জামায়াত জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছে। কেয়ারটেকার সরকারের প্রস্তাব প্রথম দিয়েছিল জামায়াতের তৎকালীন আমির অধ্যাপক গোলাম আযম। সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতেই ১৯৯১ সালে এবং পরে আরও কয়েকটি নির্বাচন হয়েছে। অথচ এখন সেই ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।”জনসভায় সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগও তোলেন তিনি। বলেন, “সাড়ে ১৫ বছরে আমাদের দুইজন আমির, দুইজন নায়েবে আমিরসহ ১১ জন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আজকের এই জনসভায় উপস্থিত শহীদ এটিএম আজহারুল ইসলাম জীবন্ত সাক্ষ্য বহন করছেন।”বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আবু সাঈদদের মতো যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগের পরও আমরা কেন ধৈর্য হারাচ্ছি? আজ দেশের প্রতিটি জায়গায়, প্রতিটি পত্রিকার পাতা, স্যাটেলাইট মিডিয়ায় অপশাসনের বিভৎস চিত্র উঠে আসছে। জনগণের জীবনের, ইজ্জতের, সম্পদের ওপর থাবা চলছে। এমনকি তারা এখন নিজেদের লোকজনকেও হত্যা করতে কুণ্ঠাবোধ করছে না।”নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, “সারা বাংলাদেশকে পাটগ্রাম বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের কল্পনাও করা যায় না।”জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।দীর্ঘ ১৭ বছর পর রংপুরে আয়োজিত এই জনসভা শুরু হয় জুমার নামাজের পরপরই। বিকেল ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, নামাজ শেষে মঞ্চে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকের উপস্থিতিতে রংপুর জিলা স্কুল মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। ভিড় উপচে পড়ে পাশের সড়কেও।এই জনসভা থেকে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে জামায়াতের প্রার্থীদের পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়।ভোরের আকাশ//হ.র
গণতন্ত্রের প্রশ্নে টানা ১৬ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলন করে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা যে গণতন্ত্র কবরস্থ করেছিলেন, তা পুনর্জাগরণে আন্দোলন চালিয়ে গেছে বিএনপি। নানাবিধ নির্যাতনের পরেও কখনো থেমে যায়নি।শুক্রবার (৪ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।রিজভী বলেন, গণতন্ত্র যখনই ধ্বংস কিংবা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে, তখনই বেগম খালেদা জিয়া বারবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছেন। পরমত সহিষ্ণুতাও গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।তিনি আরও বলেন, যেকোনো ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের কেউ যেন কারও সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে না পড়ে—এ জন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অপরাধ করলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান—জিরো টলারেন্স।এসময় এরইমধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সারাদেশে বেশ কয়েকজন নেতাকে দল থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।রিজভী বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিলেই বোঝা যাবে, বিএনপি কতটা জনপ্রিয়। দ্রুত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার দাবিও জানান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।ভোরের আকাশ/আজাসা
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এখন আনুপাতিক ভোটের (পিআর পদ্ধতি) কথা বলা হচ্ছে। এটা কেন, এটা কিসের জন্য? এটা হলে তো এলাকায় এলাকায় আর কেউ নেতা হতে পারবে না।বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে রংপুর নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ের দলীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।রুহুল কবির রিজভী বলেন, একজন মানুষ দীর্ঘদিন এলাকায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে করতে নেতা হন। অথচ আনুপাতিক ভোটে তাকে নয়, দলকে ভোট দিতে হবে। এরপর দল থেকে বাছাই করে এমপি ঘোষণা করা হবে। তাহলে তো আরও বেশি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে। স্থানীয় পর্যায়ে আর কোনো নেতৃত্ব থাকবে না, স্থানীয় পর্যায়ে আর কেউ নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে না।গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিকে সজাগ থাকতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের দ্বারা যেন কোনো সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। চাঁদাবাজি, দখলবাজির সঙ্গে বিএনপির কোনো অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের জড়ানো চলবে না। মানুষ যেন বিএনপির কাছ থেকে ন্যায়বিচার পায়, তারা যেন কোনো বিষয়ে ব্যথিত না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।দেশের তরুণরা ১৬ বছর ধরে শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, কখন কাকে ধরে নিয়ে যাবে, আর কার রক্তাক্ত লাশ তিস্তা, গঙ্গা কিংবা শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে পাওয়া যাবে, এটাই ছিল নিত্যদিনের চিত্র। এই ভয়াবহ সময় পার করতে হয়েছে আমাদের। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দমন-পীড়নের হাত থেকে কেউ রেহাই পায়নি। সেই রক্তপিপাসুরা যাতে আবার ফিরে না আসতে পারে, তার জন্য গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য প্রয়োজন।বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, গণতন্ত্র মানে হচ্ছে একে-অপরের বিরুদ্ধে মুক্তভাবে মতপ্রকাশ ও সমালোচনার সুযোগ থাকবে। কিন্তু দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা সবাই এক হতে পারি। গত ১৬ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অকল্পনীয় দমন-পীড়ন চালিয়েও দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা যায়নি। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও ‘বিজয়ের বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচির আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, রংপুর (ড্যাব)।ড্যাবের রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক ডা. নিখিলেন্দ্র শংকর গুহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম মিজু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক নুরুন্নবী চৌধুরী মিলন, রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, ড্যাবের রংপুর জেলা আহ্বায়ক ডা. খালেকুজ্জামান বাদল, রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদুল হক সরকার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. শরীফুল ইসলাম মন্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ