ময়মনসিংহে ৭ হাজার ৩৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগীয় গোয়েন্দা শাখার অভিযানে ৭ হাজার ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আন্তঃজেলা মাদক কারবারি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ১টি মোটরসাইকেল ও ২ টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
সোমবার (১৯ মে) সকালে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় টাঙ্গাইলের মধুপুরের হরিণধরা এলাকা থেকে এই আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী মামুন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মামুন মিয়া শেরপুরের মুন্সীরচর হরিণধরা এলাকার মৃত আঃ কুদ্দুছের ছেলে।
ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভাগীয় অফিস সুত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের মধুপুরের হরিণধরা এলাকায় আন্তঃজেলা মাদক কারবারি চক্র বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ক্রয়বিক্রয় করছে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ৭ হাজার ৩৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এ সময় ইয়াবা কারবারিচক্রের সদস্য মামুন মিয়াকে ইয়াবা বহনকারী মোটরসাইকেল ও ইয়াবা ক্রয়বিক্রয়ে ব্যবহার করা মোবাইল জব্দ করে। এ ব্যাপারে মধুপুর থানায় মামলা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
বরগুনার বেতাগীতে দুর্নীতি প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টি ও সততা চর্চায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির (দুপ্রক)‘র আয়োজনে সোমবার (১৯ মে) সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত 'পারিবারিক মূল্যেবোধের অবক্ষয়ই দুর্নীতি বিস্তারের মুল কারণ’ বিষয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চান্দখালী ইসাহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে দুপ্রক সভাপতি শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ রফিকুল আমিনের সভাপতিত্বে চান্দখালী ইসাহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুর রহমান এর উদ্বোধন করেন।দুপ্রক সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দুপ্রক ‘র সিনিয়র সদস্য সাইদুল ইসলাম মন্টু, কাজির হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশারেফ হোসেন, সুবর্ণা ইসলাম ও এডাস্ট ডিবেটিং সোসাইটি সদস্য মো খাইরুল ইসলাম মুন্নাসহ অন্যান্যরা। উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির (দুপ্রক) জানায়, দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রতিযোগিতায় চান্দখালী ইসাহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাজির হাঁট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কাউনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় অংশ গ্রহণ করে। এর মধ্যে কাজির হাঁট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চান্দখালী ইসাহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিজয় লাভ করে। ভোরের আকাশ/জাআ
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ডোবার পানিতে ডুবে মোস্তাফিজুর রহমান (৯) নামের ৩য় শ্রেণির এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।সোমবার (১৯ মে) দুপুরে উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের রামনাথেরভিটা বালুচর গ্রামে এঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদিয়াখালী ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জান্নাতুল আম্বিয়া।নিহত শিশু মোস্তাফিজুর ওই এলাকার জিয়াউর রহমানের ছেলে। সে বাদিয়াখালী ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী।স্বজন স্থানীয়রা জানান, শিশু মোস্তাফিজুর প্রতিদিনের ন্যায় প্রাইভেট পড়তে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী এক শিক্ষিকার কাছে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল ১০টার দিকে ওই শিক্ষিকার কাছে যাওয়া আগেই পথিমধ্যে পা পিছলে ডোবার পানিতে পড়ে যায়।যথাসময়ে সে বাড়ীতে ফিরে না আসায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে ডোবা থেকে লাশ ভেসে থাকতে দেখতে পায় তারা। পরে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ভোরের আকাশ/জাআ
কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদলের পদবঞ্চিত ৫ জনের নাম উল্লেখ কওে অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।রোববার (১৭ মে) রাতে কুমিল্লা কোতওয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু।সোমবার (১৯ মে) রাতে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউসুফ মোল্লা টিপু।মামলার আসামীরা হলেন- কুমিল্লা নগরীর পশ্চিম ধর্মসাগর পাড় এলাকার রশিদ মিয়ার ছেলে মো. মহসিন (৩২), সদর দক্ষিণের আশ্রাফপুর ইয়াসিন মার্কেট এলাকার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ছেলে সালাহ উদ্দিন ওরফে রকি (৩০), শাসনগাছা দফাদার বাড়ি এলাকার অজ্ঞাত পিতার ছেলে মো. সোহাগ হোসেন (৩০), কালিয়াজুড়ি এলাকার সাইফুল ইসলাম (২৫), এবং পাঁচথুবী ইউনিয়নের শ্রীপুর এলাকার মারুফ আহমেদ (২৪) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জন।কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউসুফ মোল্লা টিপু মামলার লিখিত অভিযোগে দাবি করেছেন, শহরের কান্দিরপাড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। এতে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত দাবি করা কিছু সন্ত্রাসী জড়িত রয়েছে যারা বিএনপি’র গায়ে দাগ লাগাতে চায়।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৭ মে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ রোডে অবস্থিত বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দলবদ্ধভাবে হামলা চালায় অভিযুক্তরা। তারা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, লোহার রড, লাঠি, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কার্যালয়ের সামনে এসে উত্তেজনাকর ও উসকানিমূলক স্লোগান দেয়। এরপর একপর্যায়ে তারা দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালায়।হামলাকারীরা দলীয় অফিসের দেয়ালে ঝুলানো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি নামিয়ে এনে মাটিতে ফেলে দেয়। তারা অফিসের চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালা ভেঙে ফেলে এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলে দেয়। অভিযোগে বলা হয়, তারা কার্যালয়ের আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।এ সময় তারা ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে এবং সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে। হামলাকারীরা পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুরো ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।ইউসুফ মোল্লা জানান, ১৫ মে কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এই কমিটি বাতিলের দাবিতে অপতৎপরতা চালিয়ে আসছিল। অভিযুক্তরা নিজেদের পুরোনো ত্যাগী ও পদবঞ্চিত কর্মী দাবি করে শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। তিনি অভিযোগ করেন, এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং দলের অভ্যন্তরে বিভ্রান্তি তৈরির গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই তিনি কার্যালয়ে ছুটে যান এবং উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন। পাশের দোকানগুলোর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলাকারীদের শনাক্ত করেন। এরপর দলীয় ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের পরামর্শে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ রানার মাধ্যমে থানায় জমা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু মুঠোফোনে বলেন, দলের ভিতরে কোন্দল সৃষ্টি করার জন্য যারা এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছে তারা আমাদের দলের কেউ না। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম বলেন, আমরা মামলাটি গ্রহণ করেছি। এবং ইতিমধ্যেই আসামিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছি। আশা করছি অতি দ্রুতই আসামিরা।ভোরের আকাশ/এসআই
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ রোকন মোল্লা (৩৬) নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব তেনাপচা গ্রামের মোহন মোল্লার ছেলে।সোমবার (১৯ মে) দুপুর ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল উপজেলার কাউজানি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মো. মফিজুল ইসলাম সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আটক রোকনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে তাকে গোয়ালন্দঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/জাআ