ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন জমা দিতে যাচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল রোববার দলের পক্ষ থেকে আবেদন জমা দেওয়া হতে পারে। নিবন্ধন পেতে দলের পক্ষ থেকে ইসি নির্ধারিত বেশকিছু শর্ত ইতোমধ্যে পূরণ করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ইসিতে নিবন্ধনের জন্য কোনো দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, কেন্দ্রসহ অনূর্ধ্ব এক-তৃতীয়াংশ জেলা ও ন্যূনতম ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন থানায় অফিস থাকতে হয়। এছাড়া দলের গঠনতন্ত্রে কিছু বিষয় উল্লেখ থাকতে হয়। এনসিপি ইতোমধ্যে দেশের ৩৩টি জেলা ও ১২৭টি উপজেলায় সমন্বয় কমিটি গঠনে সক্ষম হয়েছে। তবে দলের গঠনতন্ত্র এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, আমরা রোববারের মধ্যেই নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা দেব। তোমধ্যে খসড়া গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত হয়েছে। অনুমোদনের জন্য এটি শুক্রবারের সাধারণ সভায় উপস্থাপন করা হবে।
এনসিপির প্রস্তাবিত খসড়া গঠনতন্ত্রে দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে কাউকে তিন মেয়াদের বেশি না রাখা, তিন বছর পরপর কাউন্সিল আয়োজনসহ বেশকিছু বিষয় রাখা হয়েছে। নতুন দলের ক্ষেত্রে ইসির নিবন্ধনের শর্ত হল, দলটির একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকতে হবে। কার্যকর কমিটি থাকতে হবে কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায়। সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি উপজেলা কিংবা মেট্রোপলিটন থানার কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থনের নথিও দেখাতে হবে।
দলীয় প্যাডে দরখাস্তের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনি ইশতেহার (যদি থাকে), দলের বিধিমালা (যদি থাকে), দলের লোগো ও দলীয় পতাকার ছবি, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্যের নামের তালিকা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সর্বশেষ স্থিতি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন আবেদন করার সময় শেষ হচ্ছে রোববার। এ পর্যন্ত শ’খানেক দল আবেদন করেছে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধন পেতে আগ্রহী রাজনৈতিক দলগুলোকে আবেদন করার জন্য গত ১০ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি। আবেদনের সময়সীমা ছিল ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু এনসিপিসহ কয়েকটি দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় দুই মাস বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপে মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাব উঠলেই বিএনপি ও কয়েকটি রাজনৈতিক দল সেগুলোতে বাধা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সংলাপের দ্বিতীয় ধাপের ১৪তম দিনের আলোচনা শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, "বিএনপি ঐকমত্যের পথকে বারবার ব্যাহত করছে। তারা এমন পরিবেশ তৈরি করছে, যাতে মৌলিক সংস্কারের বিষয়গুলো কমিশনের চূড়ান্ত প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত না হয়।"তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা মৌলিক সংস্কার চাই। প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের মাধ্যমেই এসব দাবি বাস্তবায়নে কাজ করব।”আখতার হোসেন আরও জানান, এনসিপি সংবিধানের প্রস্তাবনা ও অনুচ্ছেদ ৪৮, ৫৬, ১৪২ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ক ৫৮(খ), ৫৮(গ), ৫৮(ঘ) অনুচ্ছেদগুলো নিয়ে গণভোটের মাধ্যমে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শুধু সংসদীয় সমর্থন নয়, গণমানুষের মতামত জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।তিনি বলেন, “সংবিধান সংশোধনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাশাপাশি কিছু অনুচ্ছেদে গণভোট বাধ্যতামূলক করার দাবি আমরা তুলেছি।”উচ্চকক্ষে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি চালুর দাবি জানিয়ে আখতার বলেন, “এক শতাংশ ভোট পেলেও যেন কোনো দল উচ্চকক্ষে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পায়। এতে গণতন্ত্রে ভারসাম্য ও চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স নিশ্চিত হবে।” তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিএনপি এবং কয়েকটি দল উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছে, এমনকি এই প্রস্তাবটিকে আলোচনার ক্ষেত্র থেকেও বাদ দিতে চাইছে।সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলো ছোটখাটো সংস্কার মেনে নিলেও মূল বা মৌলিক সংস্কারের জায়গায় এসে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এনসিপি নেতা। “সংখ্যাতাত্ত্বিক হিসাবের মধ্য দিয়ে সংস্কারের গুরুত্বকে খাটো করা হচ্ছে। ২০টি প্রস্তাবের মধ্যে ১২টি মানা হয়েছে, বাকি ৮টি কেন মানতে হবে— এই যুক্তি দিয়ে মৌলিক বিষয়গুলো পাশ কাটানো হচ্ছে,” বলেন তিনি।সংবিধান ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে সমন্বিত নিয়োগ বোর্ড গঠনের প্রস্তাবও এনসিপি মৌলিক সংস্কারের অংশ হিসেবে উপস্থাপন করেছে।আখতার হোসেন বলেন, “ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, নির্বাহী ক্ষমতা নির্ধারণ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির নিয়োগ পদ্ধতি, উচ্চকক্ষের গঠন, ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ— এসবই আমাদের মৌলিক সংস্কারের অংশ।”তিনি আরও জানান, এনসিপি নির্বাচন কমিশনে দলের নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও গঠনতন্ত্র ইতোমধ্যে জমা দিয়েছে। কমিশনের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে দ্রুত সংশোধিত কাগজপত্রও দাখিল করা হবে।ভোরের আকাশ//হ.র
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথমবারের মতো বড় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামী ১৯ জুলাই এ সমাবেশের ডাক দিয়েছে দলটি। ইতোমধ্যে জোরেশোরে চালানো হচ্ছে প্রচার। রাজধানীসহ সারাদেশের মহানগর, জেলা-উপজেলা, এমনকি পাড়া-মহল্লাতেও চলছে প্রচার-প্রচারণা। এই সমাবেশে কমপক্ষে ১০ লাখ লোক সমাগমের আশা করছে দলটি।জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানিয়েছেন, সমাবেশ সফল করতে এরই মধ্যে লঞ্চ ও ট্রেন বাদ দিয়ে শুধু ১০ হাজার বাস ভাড়া করা হয়েছে। তিনি আশা করছেন— ১০ লক্ষাধিক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটবে এবং এর জন্য শুধু ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক সার্বিক শৃঙ্খলা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকবে।জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পুলিশের সার্বিক সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে সোয়া ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সঙ্গে বৈঠক করেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠকে অংশ নেন।বৈঠক শেষে অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কয়েকদিন আগেও ডিএমপিতে এসেছিলাম। সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াতে ইসলামী। এই সমাবেশ সফল, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা পুলিশের কাছে সহযোগিতা ও পরামর্শ চেয়েছি। তখন ডিএমপির পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাভিত্তিক সমাবেশ করতে চাই। পুলিশের সঙ্গে আমাদের এ বিষয়ে গভীর সমন্বয় হয়েছে। এমনকি সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মোবাইল নম্বরও ডিএমপিকে সরবরাহ করা হয়েছে।অ্যাডভোকেট জুবায়ের বলেন, এটি হবে আমাদের দলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবেশ। ইতোমধ্যে দেশজুড়ে প্রচণ্ড সাড়া পাচ্ছি। লাখো নেতাকর্মী অংশ নেবেন বলে আশা করছি। ১০ হাজার বাস ছাড়াও ট্রেন ও লঞ্চে নেতাকর্মীরা ঢাকায় পৌঁছাবেন। আমরা শান্তিপূর্ণ, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও শক্তিশালী এক সমাবেশ উপহার দিতে প্রস্তুত।ডিএমপির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলে অন্যরা হলেন- কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো. দেলাওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী প্রচার সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমন।ডিএমপির পক্ষ থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইমস অ্যান্ড অপারেশন) নজরুল ইসলাম। এ ছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম কমিশনার (অপারেশ) মো. শহীদুল্লাহ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) গৌতম কুমার বিশ্বাস, রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলমসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।ভোরের আকাশ/জাআ
বিএনপি কোনোভাবেই সংখ্যানুপাতিক বা পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ) পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ ঐকমত্য কমিশনে তিনটি বিষয় ছিল, তার মধ্যে দুটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট নিয়ে। উচ্চকক্ষে এবং নিম্নকক্ষে কীভাবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন রকমের মতামত থাকার কারণে ঐকমত্যে পৌঁছায়নি। তবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট সৃষ্টির ক্ষেত্রে মোটামুটি অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত, কিন্তু তার গঠন প্রক্রিয়া কী হবে- এ বিষয়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে।তিনি বলেন, আমরা আমাদের আগের জায়গায়ই রয়েছি। ৩১ দফার ভিত্তিতেই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের জন্য প্রস্তাব করেছিলাম, যেখানে দেশের বিভিন্ন সেক্টরের বিশিষ্টজন এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিফলন থাকবে।বিএনপি মনে করে সেই উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসন বিশিষ্ট বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ব্যাপক আলাপ-আলোচনার পর অনেক দলই ঐকমত্যে আসেনি। এমনকি কিছু দল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রয়োজনীয়তা আছে বলেও মনে করে না বলে জানান তিনি।ভোরের আকাশ/জাআ
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গনে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২১ জুলাই পেশাজীবীদের সম্মেলনস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।ডা. জাহিদ বলেন, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, বিএনপি আশাবাদী যে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।মিটফোর্ড এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে মাথা থেঁতলে হত্যার প্রসঙ্গ টেনে জাহিদ হোসেন বলেন, গতকাল জাতীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় মহাসচিব স্পষ্টভাবে লিখিতভাবে বলেছেন, ঘটনা-দুর্ঘটনা হোক- অন্যায় অন্যায়। কোনো অন্যায়কে ছোট করে দেখা, কোনো অন্যায়কে বড় করে দেখার যে প্রবণতা, কোনো অন্যায়কে একটি কর্নার থেকে কোনো একটি দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা- এটিকে রাজনীতিকরণ করা ঠিক না।তিনি বলেন, আজকে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেবকে যে সমস্ত কথা কতিপয় লোক বলেছেন; আমরা বলতে চাই, আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক, আমরা খালেদা জিয়ার সৈনিক, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশে মানুষ গণতন্ত্রের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা কোনো ষড়যন্ত্রে পা দিতে চাই না।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের রফিকুল আলম লাবু, নজরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শামসুল ইসলাম শামস, সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম কাগজী, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের জাকির হোসেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ