সংগৃহীত ছবি
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গনে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২১ জুলাই পেশাজীবীদের সম্মেলনস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
ডা. জাহিদ বলেন, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, বিএনপি আশাবাদী যে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মিটফোর্ড এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে মাথা থেঁতলে হত্যার প্রসঙ্গ টেনে জাহিদ হোসেন বলেন, গতকাল জাতীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় মহাসচিব স্পষ্টভাবে লিখিতভাবে বলেছেন, ঘটনা-দুর্ঘটনা হোক- অন্যায় অন্যায়। কোনো অন্যায়কে ছোট করে দেখা, কোনো অন্যায়কে বড় করে দেখার যে প্রবণতা, কোনো অন্যায়কে একটি কর্নার থেকে কোনো একটি দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা- এটিকে রাজনীতিকরণ করা ঠিক না।
তিনি বলেন, আজকে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেবকে যে সমস্ত কথা কতিপয় লোক বলেছেন; আমরা বলতে চাই, আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক, আমরা খালেদা জিয়ার সৈনিক, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশে মানুষ গণতন্ত্রের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা কোনো ষড়যন্ত্রে পা দিতে চাই না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের রফিকুল আলম লাবু, নজরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শামসুল ইসলাম শামস, সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম কাগজী, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের জাকির হোসেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথমবারের মতো বড় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামী ১৯ জুলাই এ সমাবেশের ডাক দিয়েছে দলটি। ইতোমধ্যে জোরেশোরে চালানো হচ্ছে প্রচার। রাজধানীসহ সারাদেশের মহানগর, জেলা-উপজেলা, এমনকি পাড়া-মহল্লাতেও চলছে প্রচার-প্রচারণা। এই সমাবেশে কমপক্ষে ১০ লাখ লোক সমাগমের আশা করছে দলটি।জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানিয়েছেন, সমাবেশ সফল করতে এরই মধ্যে লঞ্চ ও ট্রেন বাদ দিয়ে শুধু ১০ হাজার বাস ভাড়া করা হয়েছে। তিনি আশা করছেন— ১০ লক্ষাধিক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটবে এবং এর জন্য শুধু ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক সার্বিক শৃঙ্খলা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকবে।জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পুলিশের সার্বিক সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে সোয়া ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সঙ্গে বৈঠক করেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠকে অংশ নেন।বৈঠক শেষে অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কয়েকদিন আগেও ডিএমপিতে এসেছিলাম। সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াতে ইসলামী। এই সমাবেশ সফল, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা পুলিশের কাছে সহযোগিতা ও পরামর্শ চেয়েছি। তখন ডিএমপির পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাভিত্তিক সমাবেশ করতে চাই। পুলিশের সঙ্গে আমাদের এ বিষয়ে গভীর সমন্বয় হয়েছে। এমনকি সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মোবাইল নম্বরও ডিএমপিকে সরবরাহ করা হয়েছে।অ্যাডভোকেট জুবায়ের বলেন, এটি হবে আমাদের দলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবেশ। ইতোমধ্যে দেশজুড়ে প্রচণ্ড সাড়া পাচ্ছি। লাখো নেতাকর্মী অংশ নেবেন বলে আশা করছি। ১০ হাজার বাস ছাড়াও ট্রেন ও লঞ্চে নেতাকর্মীরা ঢাকায় পৌঁছাবেন। আমরা শান্তিপূর্ণ, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও শক্তিশালী এক সমাবেশ উপহার দিতে প্রস্তুত।ডিএমপির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলে অন্যরা হলেন- কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো. দেলাওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী প্রচার সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমন।ডিএমপির পক্ষ থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইমস অ্যান্ড অপারেশন) নজরুল ইসলাম। এ ছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম কমিশনার (অপারেশ) মো. শহীদুল্লাহ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) গৌতম কুমার বিশ্বাস, রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলমসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।ভোরের আকাশ/জাআ
বিএনপি কোনোভাবেই সংখ্যানুপাতিক বা পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ) পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ ঐকমত্য কমিশনে তিনটি বিষয় ছিল, তার মধ্যে দুটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট নিয়ে। উচ্চকক্ষে এবং নিম্নকক্ষে কীভাবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন রকমের মতামত থাকার কারণে ঐকমত্যে পৌঁছায়নি। তবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট সৃষ্টির ক্ষেত্রে মোটামুটি অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত, কিন্তু তার গঠন প্রক্রিয়া কী হবে- এ বিষয়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে।তিনি বলেন, আমরা আমাদের আগের জায়গায়ই রয়েছি। ৩১ দফার ভিত্তিতেই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের জন্য প্রস্তাব করেছিলাম, যেখানে দেশের বিভিন্ন সেক্টরের বিশিষ্টজন এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিফলন থাকবে।বিএনপি মনে করে সেই উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসন বিশিষ্ট বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ব্যাপক আলাপ-আলোচনার পর অনেক দলই ঐকমত্যে আসেনি। এমনকি কিছু দল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রয়োজনীয়তা আছে বলেও মনে করে না বলে জানান তিনি।ভোরের আকাশ/জাআ
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গনে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২১ জুলাই পেশাজীবীদের সম্মেলনস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।ডা. জাহিদ বলেন, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, বিএনপি আশাবাদী যে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।মিটফোর্ড এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে মাথা থেঁতলে হত্যার প্রসঙ্গ টেনে জাহিদ হোসেন বলেন, গতকাল জাতীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় মহাসচিব স্পষ্টভাবে লিখিতভাবে বলেছেন, ঘটনা-দুর্ঘটনা হোক- অন্যায় অন্যায়। কোনো অন্যায়কে ছোট করে দেখা, কোনো অন্যায়কে বড় করে দেখার যে প্রবণতা, কোনো অন্যায়কে একটি কর্নার থেকে কোনো একটি দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা- এটিকে রাজনীতিকরণ করা ঠিক না।তিনি বলেন, আজকে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেবকে যে সমস্ত কথা কতিপয় লোক বলেছেন; আমরা বলতে চাই, আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক, আমরা খালেদা জিয়ার সৈনিক, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশে মানুষ গণতন্ত্রের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা কোনো ষড়যন্ত্রে পা দিতে চাই না।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের রফিকুল আলম লাবু, নজরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শামসুল ইসলাম শামস, সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম কাগজী, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের জাকির হোসেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশীয় ও আর্ন্তজাতিকসহ বহুমাতৃক চক্রান্তের কবলে এখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতি এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে জনবিরোধী দল হিসেবে উপস্থাপনের পাঁয়তারা চলছে। যা এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তাই চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসের মতো পরিকল্পিত বিভিন্ন অপবাদ চাপানোর কৌশলের শিকার হচ্ছে দলটি। দেশ-বিদেশে বিএনপির ইমেজ ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে কয়েকটি বিশেষ মহল।বিশিষ্ট রাজনীতিবিদের মতে, দেশ ও জনকল্যাণমুখী দল হিসেবে দেশ-বিদেশে বিএনপির যে সুনাম রয়েছে, সেই মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বিদেশি চক্রান্ত। পাশাপশি দেশীয় কয়েকটি দৈনিক পত্রিকাসহ বেশ কয়েকটি মিডিয়া ভুল তথ্য উপস্থাপন করে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে বলেও মনে করেন তারা।সাবেক মন্ত্রী ও বিএলডিপি-এর প্রেসিডেন্ট এ. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এক সময়ে যে সব রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে একযোগে আন্দোলন করেছে, এর মধ্যে কতিপয় রাজনৈতিক দল এখন ক্ষুদ্র স্বার্থে অস্বাভাবিক আচরণ করছে। দেশে কোনো ধরনের অপকর্ম হলে তারা সরকারকে দায়ী না করে বিএনপিকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর হীন চেষ্টা করছে।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর মো. শাহ আলম বলেন, জনগণের কাছে ভুল তথ্য উপস্থান করছে কিছু মহল। একইসঙ্গে দলীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়েও রয়েছে নানামুখী ষড়যন্ত্র। নির্বাচনের পিআর পদ্ধতি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করাও একটি নির্বাচনবিরোধী চক্রান্ত। এছাড়া, দেশে কোনো ঘটনা ঘটলেই কোন কোন স্বার্থন্বেষী রাজনৈতিক দল বিএনপির হাইকমাণ্ডের ওপর দায় চাপাচ্ছে দেশকে বিরাজনীতিকরণের নীল নক্সারই অংশ।তিনি বলেন, বিগত দিনের হাওয়া ভবনের কল্পকাহিনীসহ পুরাণ ঢাকার সোহাগ হত্যাকাণ্ডের মধ্যে এই ষড়যন্ত্র বা চক্রান্তের উপস্থিতি রয়েছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হওয়ায় দলটিকে অপপ্রচারের মাধ্যমে দাবিয়ে রাখার কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে।তিনি আরও বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়, এখন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সকল ষড়যন্ত্রেও বিরুদ্ধে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। নির্দিষ্ট কিছু সোশ্যাল মিডিয়া আইডি ও পেজ থেকেও বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি বিশেষ মহল।এদিকে, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান এখন বাংলাদেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করায় একটি গোষ্ঠী তার ইমেজ নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে। দেশের সমসাময়িক রাজনীতি, সংস্কার উদ্যোগ, অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের বিচার, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন বিষয়ে উল্লেখ করে গত শনিবার বিকালে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি উদযাপনের অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভাচুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশে ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি, ষড়যন্ত্র আরও শুরু হয়েছে, জোরেশোরে শুরু হয়েছে।একইসঙ্গে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ সকল দেশ প্রেমিক জনগণকে সোচ্চার ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন আমাদের সকলকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আমাদের যে যুদ্ধ ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সেই যুদ্ধ কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি।বিএনপির বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ ও জনপ্রিয় রাজনৈতক দল বিএনপি। এ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য দেশ-বিদেশে চক্রান্ত রয়েছে। যারা রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট এবং জাতীয় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও অনিশ্চিত করতে চান এবং প্রকারান্তরে ফ্যাসিবাদ উত্থানের পথ সৃষ্টি করতে চান, তারাই বিএনপি বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।তিনি জোর দিয়ে বলেন, গুটিকয়েক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারীর অপচেষ্টায় বাংলাদেশ ব্যর্থ হতে পারে না। তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করার যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার এবং প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সব গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের অঙ্গীকার করেন। পাশাপশি যারা বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য জনগণের মধ্য উপস্থাপন করছে তাদের চিহ্নিত করা ও প্রতিহত করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, পতিত স্বৈরাচার আর কাপুরুষ ষড়যন্ত্রকারীদের মিলিত অপচেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং আগামীর বাংলাদেশ গড়ার পথে যদি কোনো বাধা হয়ে আসে তবে সেটা ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক শক্তির মাধ্যমে প্রতিহত করা হবে।দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবনতির ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে দায়িত্বশীল সব রাজনৈতিক দল সচেতন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত এ জাতীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ বাধাগ্রস্ত হলে তার দায় সংশ্লিষ্টদেরই বহন করতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত অপপ্রচার ও চরিত্রহননের চেষ্টা চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আধিপত্যবাদী শক্তি কখনও পছন্দ করে না। তারা জানে, জাতীয়তাবাদী শক্তি স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে ছাড় দেবে না। গণতন্ত্রের প্রশ্ন ছাড় দেবে না, জনগণের অধিকারের প্রশ্নে ছাড় দিবে না।এ কারণেই আজকে একটার পর একটা সংঘাতমূলক ও সহিংস ঘটনা, রক্তপাতের ঘটনা তৈরি করা হচ্ছে। আধিপত্যবাদী শক্তি এবং তার দালালরা গভীর চক্রান্ত করছে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তাদের পাতানো ষড়যন্ত্রের জালে আমাদের নেতাকর্মী বা আমাদের পক্ষের যারা সমর্থক, পেশাজীবী সংগঠন কাউকে পা দেওয়া যাবে না।কোনো ইসলামী সংগঠন প্রোপাগান্ডা ও বিভিন্ন কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে ফেসবুকে ছড়াচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, বিএনপির নামে শুরু থেকে অপপ্রার চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ পিআর পদ্ধতিতে নিবার্চনের দাবি শুরু হলো, এটা ছাড়া আমরা নির্বাচন করবো না, নির্বাচনে যাবো না। এটার উদ্দেশ্যটা আমরা এখন বুঝতে পারি। বিএনপির এই নেতা মনে করেন, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সব অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র আমরা সামাল দিতে পারবো। কারণ জনগণ তো আমাদের সঙ্গে আছে। ওরা (অস্পষ্ট) ভয় পাচ্ছে, জনগণ যদি তাদের সঙ্গে থাকতো, তাহলে ওরা কোনোদিনই নির্বাচন পেছানোর কথা বলতো না। পিআরের কথা বলতো না। ধোঁয়াশা তৈরি করে পানি ঘোলা করে মাছ শিকারের প্রচেষ্টায় তারা কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, জনমনে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টের চেষ্টা করে বিএনপির কাঁধে দায় চাপানোর চেষ্টা একটি বিশেষ মহল।এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, মিটফোর্ডে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। এ ঘটনায় বিএনপি ও তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া স্লোগান প্রসঙ্গে অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, শব্দের ব্যবহারে আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। মিছিলে উচ্চারিত নানা স্লোগানে বিএনপিকে আক্রমণ করা হয়। বিশেষ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে টার্গেট করে স্লোগান দেওয়া হয়। কিছু অশ্লীল ও অশোভন ভাষার বাক্য উচ্চারণ করতেও দেখা যায়। স্লোগানের এমন ভাষা নিয়ে যেমন- একদিকে বিতর্ক এবং সমালোচনা চলছে; অন্যদিকে জুলাই গণঅভ্যূত্থান পরবর্তী ইতিবাচক ভাবমূর্তি নিয়ে আবির্ভূত তারেক রহমানকে রাজনৈতিকভাবে হেনস্তা করতেই এসব মিছিলের আয়োজন কি না, এমন প্রশ্নও উঠেছে। সর্বোপরি এসব মিছিল এবং মিছিলে দেওয়া স্লোগানের পেছনে রাজনৈতিক কোনো চক্রান্ত রয়েছে বলেও মন্তব্য করছেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ