নিখিল মানখিন
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫ ০৯:২৬ এএম
মৌসুমি জ্বরের সঙ্গে ডেঙ্গু-করোনার আতঙ্ক
অব্যাহত রয়েছে ভাইরাসের নীরব সংক্রমণ। ডেঙ্গু আতঙ্কে দেশবাসী। চলছে মৌসুমি জ্বরের প্রাদুর্ভাব। বেশকিছু উপসর্গের মিল থাকায় এই তিন সমস্যা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, করোনা মানুষের রক্তে যে সমস্যা তৈরি করে, তেমনি রক্তে একই রকম সমস্যা তৈরি করে ডেঙ্গু। আর ডেঙ্গু ও করোনার প্রাথমিক উপসর্গে থাকে জ্বর। একই ব্যক্তি করোনা ও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে ওই রোগীর মৃত্যুঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। মৌসুমি জ্বর ভেবে বাসায় রেখে সময় পার করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন অনেক ডেঙ্গু রোগী।
রাজধানীর মগবাজার মধুবাগ এলাকার বাসিন্দা মো. হাতেম আলী (৪৯)। দেড় সপ্তাহ আগে তিনি সর্দি-কাশি জ্বরে আক্রান্ত হন। তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, আমি আক্রান্ত হওয়ার পর পরিবারের সব সদস্য একে একে জ্বরে আক্রান্ত হয়। দু’দিন বাসায় থাকার পর আমি ডাক্তার দেখিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করিয়েছি। কিন্তু নেগেটিভ আসে। তাই পরিবারের অন্য সদস্যদেরকে আর পরীক্ষা করানো হয়নি। বর্তমানে সবাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানান হাতেম আলী।
জ্বর নিয়ে তিন দিন বাসার কাটানোর পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন রাজধানীর ফার্মগেট তেজকুনীপাড়ার মো. সবুজ মিয়া (৪৩)। তিনি ভোরের আকাশকে জানান, আক্রান্তের দ্বিতীয় দিনে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর। মৌসুমি জ্বর ভেবে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেয়ে বাসায় অবস্থান করি। উঠানামা করতে থাকে জ্বর। তৃতীয় দিনের বিকালে আরো অবনতি ঘটে। বাসার লোকজন আমাকে নিয়ে যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষার পর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। আর একদিন বাসায় থাকলে আমার জীবনে দুর্ঘটনা নেমে আসতে পারত বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে এক সপ্তাহ চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হয়ে উঠেছি বলে জানান মো. সবুজ মিয়া।
গত ১০ মে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে রাজধানীর মগবাজার দিলুরোডের বাসিন্দা মো. লিয়াকত আলীর শরীরে। তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, জ্বর নিয়ে কয়েকদিন বাসায় ছিলাম। ভাবলাম দু’ একদিন পর চলে যাবে। দু’দিন অব্যাহত থাকার পর ভেবেছিলাম ডেঙ্গু পজিটিভ হওয়ার। মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিলেন চিকিৎসকরা। পরীক্ষায় এলো করোনা পজিটিভ বলে জানান মো. লিয়াকত আলী। এভাবে মৌসুমি জ্বর, করোনা ও ডেঙ্গু নিয়ে বিপাকে পড়ছেন জ¦রে আক্রান্ত অনেক রোগী। আতঙ্কে ডেঙ্গু ও করোনা-উভয় পরীক্ষা করাচ্ছেন রোগীরা। আর মৌসুমি জ্বর ভেবে বাসায় অবস্থান করে অবনতি ঘটছে অনেক ডেঙ্গু রোগীর।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। তবে চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ডেঙ্গুতে ২৪ মে পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২৮৫ জন এবং এ মাসে এখনও পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ জন। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়। সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩৩২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ১০৪ জন, বাকি ২২৮ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন এবং এপ্রিলে ৭০১ ডেঙ্গু জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং এপ্রিলে ৭ জন মারা গেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সরকারি পরিসংখ্যানের দ্বিগুণ হবে বেসরকারি চিত্র। অনেক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ‘ডেঙ্গু তথ্য’ প্রেরণ করে না। আর উপসর্গ থাকার পরও পরীক্ষা ও চিকিৎসাসেবা গ্রহণে উদাসীন অনেক রোগী। ফলে ডেঙ্গু পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র ফুটে ওঠে না।
করোনা পরিস্থিতি
দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ কর্মসূচি অনেকটা সংকুচিত হয়ে গেছে। রাজধানীর কিছু সংখ্যক হাসপাতাল ছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি উপসর্গ থাকার পরও রোগীরাও নমুনা পরীক্ষা করানোর ব্যাপারে উদাসীন। ফলে করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকার ও সাধারণ মানুষ এখন ভাবে না বললেই চলে। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৬০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬০ শতাংশ।
এদিকে, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক উপদেষ্টা ডা. মুস্তাক হোসেন ভোরের আকাশকে বলেন, যতদিন সংক্রমণ থাকবে ততদিন করোনা নিয়ে অবহেলা করা যাবে না। করোনা ভাইরাস শনাক্তরণ ও হাসপাতালে যাওয়ার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেশের করোনা পরিস্থিতিতে ভূমিকা রাখবে। নীরবে করোনার সংক্রমণ ঘটছে। টেস্ট করাতে না যাওয়ার কারণে শনাক্তের বাইরে রয়ে যাচ্ছে অনেক করোনা রোগী। করোনার সংক্রমণ সর্বত্র বিস্তার ঘটতে খুব বেশি সময় লাগে না। একসঙ্গে ডেঙ্গু, করোনা ও মৌসুমি জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মুস্তাক হোসেন।
করোনা ও ডেঙ্গু : বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ ভোরের আকাশকে বলেন, ডেঙ্গু ও করোনা দুটিতেই আক্রান্ত হওয়ার রোগী পাওয়া যাচ্ছে। জ্বর হলেই প্রথমে করোনা ও পরে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে উদাসীনতা ও ঘামখেয়ালিপনা করলে মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা ও ডেঙ্গু- এ দুটির উপসর্গ প্রায় একই। তবে কিছু কিছু পার্থক্য আছে। করোনার উপসর্গ হলো জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, শরীরে ব্যথা ও ঘ্রাণ না পাওয়া। আর ডেঙ্গুর লক্ষণ হলো, ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রি শরীর কাপানো জ্বর, চোখের পাতার পেছনে ব্যথা ও ব্যাপক পেইন এবং গিড়ায় গিড়ায় ব্যথা। শরীরে র্যাশও উঠতে পারে।
কোনো কোনো ডেঙ্গু রোগী আক্রান্ত হওয়ার চার দিন পর প্লাটিলেট কমে গিয়ে নাক, দাঁত, পায়খানা ও বমির মাধ্যমে রক্তক্ষরণ হতে পারে। করোনা রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ওষুধ চিকিৎসা সেবায় প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু ডেঙ্গু রোগীর শুধু প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে হবে, এসপিরিন জাতীয় ওষুধসহ কোনো ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা যাবে না। তবে সেকেন্ডারি ইনফেকশন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হতে পারে।
এছাড়া ডেঙ্গু রোগীর বেশি করে ওরস্যালাইন, ডাব ও অতিরিক্ত পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ আরো বলেন, এডিস মশার কারণে ডেঙ্গুজ্বর হয়। এডিস মশা দিনে কামড়ায়। গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ গত কয়েক বছর ধরে সারা বছরই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর বলেন, ডেঙ্গু ও করোনার উপসর্গ প্রায় একই। তবে কিছু পার্থক্য আছে। দুটির ক্ষেত্রেই জ্বর, গলাব্যথা, সর্দি, কাশি এবং স্বাদ না থাকা হতে পারে। করোনার ক্ষেত্রে এসব লক্ষণের সঙ্গে নাকে ঘ্রাণ পায় না এবং কারো কারো পাতলা পায়খানা হয়। এছাড়া করোনার ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হতে পারে, যেটি ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে হয় না। ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চার-পাঁচ দিন পরে শরীরে লাল অ্যালার্জির মতো র্যাশ হতে পারে। তখন রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা কমে যেতে পারে।
তিনি বলেন, একজন রোগীর ডেঙ্গু ও করোনা এক সঙ্গে হচ্ছে। তাই জ্বর হলেই করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুর পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। নিজের জীবন রক্ষার স্বার্থে দুটি পরীক্ষা করাতে হবে।
ভাইরোলজিস্ট ডা. নজরুল ইসলাম বলছেন, যদি একইসঙ্গে ডেঙ্গুর কারণে রক্তে প্লাটিলেট স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি কমে যায় এবং কোভিডের কারণে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও ৯০ এর নিচে নেমে যায়, তাহলে বিষয়টি বিপজ্জনক। তখন একইসঙ্গে প্লাটিলেট দিতে হবে, অক্সিজেন দিতে হবে। চিকিৎসকরা এর সিদ্ধান্ত নেবেন। আবার করোনার কারণে যদি ফুসফুস বেশি আক্রান্ত হয়, হৃদযন্ত্রের আর্টারি আক্রান্ত হয়, তখন খুবই দুশ্চিন্তার বিষয়। এমন রোগীদের ফেরানো মুশকিল।
মৌসুমি জ্বর
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ ভোরের আকাশকে বলেন, জ্বর কোনো রোগ না। এটি রোগের লক্ষণ মাত্র।
তবে তিনি বলেন, ‘জ্বরকে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। এ সময় জ্বর এলে উপসর্গ বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আর যদি এক সপ্তাহ পরও জ্বর না ভালো হয় এবং এর সঙ্গে অন্য কোনো উপসর্গ যদি থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জ্বরের সঙ্গে যদি বমি, খাবারে অনীহা, শরীর ব্যথা, খিঁচুনি হওয়ার মতো লক্ষণ থাকে তাহলে শিগগির চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ায় সবার এক পরামর্শ, জ্বর এলে আগে ডেঙ্গু টেস্ট করতে হবে। যাতে করে অন্তত এ বিষয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যায়। কেউ যদি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তাহলে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে চিকিৎসা নিলে জটিলতা এড়ানো যায়। এটি আসলে মৃত্যু এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেই সঙ্গে শিশু, বয়স্ক ও ক্রনিক কোনো রোগ বা আগে থেকেই যাদের স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তাদের এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া উচিত বলে মনে করেন অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ।
ডেঙ্গু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ যদি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন এবং তা প্রথম দিকেই শনাক্ত করা যায় তবে সহজে বিপদ এড়ানো যায়। কারণ শরীরের যে কোনো জায়গা থেকে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হেমারেজিক ডেঙ্গুর লক্ষণ। এ অবস্থায় মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা থাকতে পারে। তাই শুরুতেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করা আবশ্যক। ডেঙ্গু ছাড়াও আরও কিছু জ্বর রয়েছে যা বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। এর মধ্যে ইয়োলো ফিভার, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড উল্লেখযোগ্য। তাই ডেঙ্গুর পাশাপাশি এসব নাম মাথায় রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পর জ্বর না ভালো হলে হতে হবে চিকিৎসকের দ্বারস্থ।
এবিএম আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ডেঙ্গু ও করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি বর্তমান ঘরে ঘরে মৌসুমি জ্বরের হিড়িক পড়েছে। পরিবারের একজন সদস্য আক্রান্ত হলে অন্য সদসরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। ডেঙ্গু ও করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না। আমি আগেই বলেছি, জ¦র হলো রোগের লক্ষ্যণ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ