ই-নামজারিসহ নানা সেবা নিয়ে গোয়াইনঘাটে ভূমি মেলা শুরু
"নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান, ই-নামজারির আবেদন, কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই জমির খতিয়ান সরবরাহ করা, মৌজার ম্যাপ এবং অনলাইনে খতিয়ানের সার্টিফায়েড কপিসহ ভূমি সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধা জনগণের দোঁড়গোড়ায় পৌছে দেয়ার উদ্দেশ্যে সারা দেশের ন্যায় সিলেটের গোয়াইনঘাটেও শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলা।
রোববার (২৫ মে) সকালে গোয়াইনঘাট উপজেলার ভূমি অফিসের আয়োজনে এবং ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ড ও ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ ভূমি মেলার উদ্বোধন করেন গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গোয়াইনঘাটের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ ভৌমিক, মধ্য জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লোকমান হোসেন শিকদার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ইন্সট্রাক্টর আতাউর রহমান, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. করিম মাহমুদ লিমন, গোয়াইনঘাট উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমদ, গোয়াইনঘাট থানার এসআই মহরম আলী, গোয়াইনঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবুলসহ উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
মেলা গ্রামীণ ও দেশজ সাংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করে। গ্রামীণ মেলা দেশজ মেল-বন্ধনের এক অন্যতম নিদর্শন। বাঙালির প্রাণের অনুষ্ঠান ঈদ বা পূজা-পার্বনের মতই মেলাতেও সবাই উঠে মেতে। মেলা উপলক্ষ্যে সবার সাথে দেখা-সাক্ষাৎ এবং কুশল বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই এলাকায় ঈদের পরেই স্থানীয়রা এই গ্রামীণ সোনারা মেলাকে গুরুত্ব দেয়।বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের শাঁওইল গ্রামে সোনারা মেলা বসছে একশ বছরের বেশি সময় ধরে। প্রতি বছর বাংলা জৈষ্ঠ্য মাসের দ্বিতীয় রবিবার এই সোনারা মেলা চিরাচরিত নিয়মে পালিত হয়ে আসছে। মূলত এই মেলা চলে তিন দিন। তবে মূল মেলা চলে দুইদিন। মূল মেলার পরের দিন মহিলাদের জন্য মেলা চালু রাখা হয়।প্রতি বছরই এই মেলাকে ঘিরে আদমদীঘি, তিলকপুর, আক্কেলপুর, দুপচাঁচিয়া, ক্ষেতলাল, কালাই, কাহালু উপজেলাসহ আশেপাশের উপজেলার গ্রামে গ্রামে চলে উৎসবের আমেজ। আত্মীয়-স্বজনের সমাগম আর কেনাকাটায় সরগমর হয়ে উঠে এলাকাটি। ব্যস্ততা বেড়ে যায় প্রতিটি বাড়ীতে। মেলা উপলক্ষে জামাতা ও আত্মীয়স্বজনকে আমন্ত্রণ করে আপ্যায়ন করার রেওয়াজ বহুকাল আগের। বাড়িতে বাড়িতে বানানো হয়েছে খই, মুড়কি, নারকেল ও চালের আটার নাড়ু। মেলা থেকে বড় মাছ ও ফলমূল কিনে আনার দায়িত্ব পড়ে নতুন জামাইদের উপর।মেলায় বসেছে হরেক রকমের দোকানপাট। বড় বড় মাছ, রস গোল্লা, কাঠের সামগ্রী, নারীদের চুরি-ফিতা, গোশতের দোকান, ফলের দোকান, কাঁচা বাজার ও হরেক ধরনের আচারের দোকান। আগে এই মেলাতে চুন বেচাকেনা হতো। তবে এখন তেমন আর চোখে পড়ে না।ছাট ছেলেমেয়েদের জন্য মেলায় রয়েছে নাগরদোলা, চড়কি এবং নৌকা দোল। এছাড়াও প্রায় ৬০টিরও বেশি খেলনার দোকান রয়েছে।রোববার দুপুরে সরেজমিনে মেলায় গিয়ে দেখা গেল, পণ্যের পসরা নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। মিষ্টান্ন, খেলনা, চুড়ি, ফিতা, আলতা থেকে শুরু করে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত বিচিত্র জিনিসপত্র। এই মেলায় শুধু জিলাপি ভাজা হচ্ছে ৫০টির বেশি দোকানে। বিক্রিও হচ্ছে ভাল। সকাল থেকে একটানা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত বেচা-বিক্রি। ঝুড়ি ভাঁজা (হুরুম) এই মেলার ঐতিহ্য।মেলায় এসেছেন পাশবর্তী জেলার আক্কেলপুর উপজেলার গুডুম্বা এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম। তিনি জানান, একটানা কয়েক বছর এই মেলায় মিষ্টির দোকান নিয়ে আসি। এবারও বেচাকেনা ভাল হয়েছে। তবে বিকেলে সবচেয়ে বেশি বেচা-বিক্রি হয়। আশা করছি ভাল বেচাবিক্রি হবে।তিনি অভিযোগ করে জানান, গতবছর প্রতি দোকান থেকে ১ হাজার টাকা করে খাজনা উঠানো হয়েছিল। এতে আমরা লাভ করতে পারতাম না। তবে এবছর খাজনা উঠানো হবে না বলে মাইকিং করা হয়েছে। খাজনা না দিলে অনেক দোকানদার এই মেলায় পণ্য নিয়ে আসবে। ফলে মেলা হবে আরও জমজমাট। আর বিক্রিও বাড়বে।কোমারপুর চারমাথায় মিষ্টান্নের দোকান বসিয়েছে স্থানীয় জিনইর গ্রামের আহসান হাবীব। তিনি জানান, মেলায় মিষ্টি বিক্রি করে লাভবান হই। প্রতিবছরই এই মেলায় আমরা দোকান বসাই। প্রচুর লাভ করি। আবহাওয়া ভাল থাকলে এবছর প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মিষ্টি বিক্রি হবে।মেলায় দুপচাঁচিয়া উপজেলা থেকে এসেছেন তানভীর নামের এক যুবক। তিনি জানান, আমি স্থানীয়দের কাছে থেকে শুনে এই মেলা দেখতে এসেছি। মেলায় সবকিছুই আছে। তবে ইলেকট্রনিকস পণ্যের কোন দোকান দেখতে পাইনি। এছাড়া সবকিছুই ভাল লেগেছে।সোনারা মেলার নামকরন সম্পর্কে স্থানীয় এক প্রবীণ জানান, যেই পুকুর পাড়ে সোনারা মেলা বসে সেটি অনেক দিনের পুরাতন। আমরা আমার দাদা-দাদীদের কাছে শুনেছি-যে মেয়ের সোনার জন্য বিয়ে হতো না, সে যদি ওই পুকুরে ডুব দিত। তবে সে সোনার গয়না পেয়ে যেত। সেখান থেকেই এই মেলার নামকরণ করা হয়েছে সোনারা মেলা। ভোরের আকাশ/এসআই
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে যৌথ বাহিনীর পৃথক অভিযানে ৩ হ্যাকারসহ মোট ১১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।রবিবার (২৫ মে) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম।এর আগে, গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে ৭টি মোবাইল ফোন, মাদকদ্রব্য এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।থানা পুলিশ জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ২ জন। মাদক ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।এছাড়াও সাইবার অপরাধে জড়িত ৩ হ্যাকারকে ৭টি মোবাইল ফোনসহ আটক করা হয়েছে, যেগুলো বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হতো বলে ধারণা করছে পুলিশ।গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের আজ দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
নওগাঁর মান্দায় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অফিস সংলগ্ন এ অসম্পন্ন ভবন এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।রোববার (২৫ মে) সকালে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ আলম মিয়ার উপস্থিতিতে ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক এম.এ মতিন, মান্দা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও গণেশপুর ইউ’পি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী, মান্দা উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান মকে, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ইকরামুল বারী টিপু, কুসুম্বা ইউ’পি চেয়ারম্যান নওফেল আলী মন্ডল, প্রসাদপুর ইউ’পি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন মন্ডল, মান্দা উপজেলা শিক্ষক সমিতির উপদেষ্টা গোলাম সরোয়ার স্বপন,আহবায়ক সদেরুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব নাসির উদ্দিন প্রমূখ।ভোরের আকাশ/এসআই
বরিশালে ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের উদ্যাগে ইউনিসেফ এর সার্বিক সহযোগিতায় এ্যাডভোকেসী ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (২৫মে) সকাল ১১ টায় নগরীর সিএন্ডবি রোড সেইন্ট বাংলাদেশ এর কনফারেন্স কক্ষে এই আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক সমাজসেবা কার্যালয়ের এ কে এম আখতারুজ্জামান তালুকদার, মেহেরুন নাহার মুন্নি (উপ-পরিচালক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বরিশাল), প্রিন্স বাহউদ্দিন তালুকদার (উপ-পরিচালক অধিদপ্তর বরিশাল), আনোয়ার হোসাইন (চিফ ফিল্ড অফিসার ইউনিসেফ বরিশাল)।বক্তারা বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ইকো সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। ৪০৮ উপজেলা ৫৩ জেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বর্তমানে বরিশালে সদর উপজেলা সহ মুলাদি, মেহেন্দিগন্জ, ভোলাতে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।তারা বলেন, সমাজের ১৫-২৪ বছর বয়সী নারীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ এবং চাকরির ব্যবস্হা করা। এছাড়া স্হানীয় লোকজন ও সরকারি কর্মকর্তাদের মতামত এর ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে স্কুল থেকে ঝরে পড়া, বাল্যবিবাহ, ডিভোর্স প্রাপ্ত, এসব বিবেচনা করে নির্বাচন করা হয়।প্রান্তিক পর্যায়ে সুবিধা বঞ্চিত অসহায় এসব মানুষদের নিয়ে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়। স্কিল উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান, তাদেরকে উদ্যোগতা হিসেবে তৈরি করা, যাচাই বাচাই শেষে চাহিদা নিরূপন করা, দক্ষতা উন্নয়ন বৃদ্ধির ব্যবস্হা করা এবং ফলোআপ তৈরি করা।তারা আরও বলেন, বরিশাল সদরে ১২৬০ জন, মুলাদিতে ২২৫জন, মেহেন্দিগন্জে ৬০ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত সর্বমোট ৬১৫ জনের চাকরির ব্যবস্হা করা হয়েছে। সর্বশেষ চাকরির মেলার আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে ১১৭ জন চাকরির ব্যবস্থা হয়। ভোরের আকাশ/জাআ