ঝিনাইদহে তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন
“নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে তিন দিনব্যাপী ভূমি উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (২৫ মে) সকাল ৯টায় ঝিনাইদহের ডিসি অফিস চত্তরে এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল।
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী প্রমুখ।
এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি র্যালী বের করা হয়। র্যালিটি ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এর পর বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়। তিন দিনব্যাপী এ ভূমি উন্নয়ন মেলায় চলবে আগামী ২৭ তারিখ পর্যন্ত। মেলায় ৮টি স্টল স্থান পেয়েছে।যেখানে ভূমি সংক্রান্ত সকল তথ্য ও সেবা পাওয়া যাবে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
নওগাঁর মান্দায় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অফিস সংলগ্ন এ অসম্পন্ন ভবন এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।রোববার (২৫ মে) সকালে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ আলম মিয়ার উপস্থিতিতে ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক এম.এ মতিন, মান্দা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও গণেশপুর ইউ’পি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী, মান্দা উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান মকে, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ইকরামুল বারী টিপু, কুসুম্বা ইউ’পি চেয়ারম্যান নওফেল আলী মন্ডল, প্রসাদপুর ইউ’পি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন মন্ডল, মান্দা উপজেলা শিক্ষক সমিতির উপদেষ্টা গোলাম সরোয়ার স্বপন,আহবায়ক সদেরুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব নাসির উদ্দিন প্রমূখ।ভোরের আকাশ/এসআই
বরিশালে ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের উদ্যাগে ইউনিসেফ এর সার্বিক সহযোগিতায় এ্যাডভোকেসী ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (২৫মে) সকাল ১১ টায় নগরীর সিএন্ডবি রোড সেইন্ট বাংলাদেশ এর কনফারেন্স কক্ষে এই আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক সমাজসেবা কার্যালয়ের এ কে এম আখতারুজ্জামান তালুকদার, মেহেরুন নাহার মুন্নি (উপ-পরিচালক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বরিশাল), প্রিন্স বাহউদ্দিন তালুকদার (উপ-পরিচালক অধিদপ্তর বরিশাল), আনোয়ার হোসাইন (চিফ ফিল্ড অফিসার ইউনিসেফ বরিশাল)।বক্তারা বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ইকো সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। ৪০৮ উপজেলা ৫৩ জেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বর্তমানে বরিশালে সদর উপজেলা সহ মুলাদি, মেহেন্দিগন্জ, ভোলাতে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।তারা বলেন, সমাজের ১৫-২৪ বছর বয়সী নারীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ এবং চাকরির ব্যবস্হা করা। এছাড়া স্হানীয় লোকজন ও সরকারি কর্মকর্তাদের মতামত এর ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে স্কুল থেকে ঝরে পড়া, বাল্যবিবাহ, ডিভোর্স প্রাপ্ত, এসব বিবেচনা করে নির্বাচন করা হয়।প্রান্তিক পর্যায়ে সুবিধা বঞ্চিত অসহায় এসব মানুষদের নিয়ে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়। স্কিল উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান, তাদেরকে উদ্যোগতা হিসেবে তৈরি করা, যাচাই বাচাই শেষে চাহিদা নিরূপন করা, দক্ষতা উন্নয়ন বৃদ্ধির ব্যবস্হা করা এবং ফলোআপ তৈরি করা।তারা আরও বলেন, বরিশাল সদরে ১২৬০ জন, মুলাদিতে ২২৫জন, মেহেন্দিগন্জে ৬০ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত সর্বমোট ৬১৫ জনের চাকরির ব্যবস্হা করা হয়েছে। সর্বশেষ চাকরির মেলার আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে ১১৭ জন চাকরির ব্যবস্থা হয়। ভোরের আকাশ/জাআ
যশোরের কেশবপুরে প্রভাবশালী মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীরা সরকারি রাস্তা ঘেরের পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ করে ভেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহার করে গড়ে তুলেছেন মাছের ঘের। এতে একদিকে যেমন জলাবদ্ধতার কারণে বিলে কোনো ফসল আবাদ হচ্ছে না, অন্যদিকে শত শত হতদরিদ্র মৎস্যজীবী পরিবার বিলে মাছ শিকার করতে ব্যর্থ হয়ে মানবেতর জীবনযাপণ করছেন। অপরিকল্পিতভাবে সাড়ে ৪ হাজার মাছের ঘের ঘেরের ভেড়ি করার কারণে হুমকিতে পড়েছে শতাধিক গ্রামীণ সড়ক। যুগ যুগ ধরে ঘের ব্যবসায়ীরা রাস্তাকে ঘেরের ভেড়ীবাঁধ হিসেবে ব্যবহার করে চললেও প্রশাসন রয়েছে নীরব।জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি পেতে ২০০০ সালের দিকে এসব বিলের ওপর নির্ভরশীল হাজার হাজার কৃষক ঘের মালিকদের কাছ থেকে বিল উদ্ধারে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছেন। যা আজও অব্যাহত আছে। কিন্তু ঘের মালিকরা ধনাঢ্য হওয়ায় প্রশাসন ও পুলিশকে ম্যানেজ করে কৃষকদের দাবিয়ে রাখা হয়।কেশবপুর পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৬৫৮টি মাছে ঘের রয়েছে। এর মধ্যে বলদালি, টেপুর বিল, বিল গরালিয়া, পদ্মবিল, ঘোচমারার বিল, কাদার বিল, হাজোয়ার বিল, বিল খুকশিয়া, বিষ্ণুপুর বিল, বাগমারার বিল, কালিচরণপুর বিল, নারায়নপুর, কাকবাধাল, ময়নাপুর বিল উল্লেখযোগ্য। আশির দশকে এসব বিলে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করত এলাকার হাজারও জেলে সম্প্রদায়।এ ছাড়া বিলের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকায় ধান, পাট, কলাই, মসুরি, শাকসবজিসহ বিলে বিভিন্ন ধরনের ফসল আবাদ হতো। নব্বইয়ের দশকে এসব বিল, খাল, নদ-নদী অববাহিকার জমি দখল করে সমাজের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি মাছ চাষ শুরু করেন। ঘের ব্যবসায়ীরা গ্রামীণ প্রধান সড়কগুলো ঘেরের বাঁধ হিসেবে ব্যবহার করে মাছ চাষ শুরু করেন। ফলে বিলের ওপর নির্ভরশীল হাজারও জেলে সম্প্রদায় ও হতদরিদ্র মানুষ মাছ শিকার করতে ব্যর্থ হয়ে বাধ্য হয় অন্যপথ বেছে নিতে।ঘের মালিকরা সরকারি খালের পানি নিষ্কাশন পথে ব্যক্তিগতভাবে পাকা কালর্ভাট নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ করার পাশাপাশি খালের মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ড পোল্ডার নির্মাণ করায় উপজেলা ব্যাপী দেখা দেয় স্থায়ী জলাবদ্ধতা। বন্ধ হয়ে যায় বিলে কৃষকের স্বপ্নের ফসল আবাদ।ঘের মালিকরা সরকারি খাল, পাকা সড়ক, গ্রামীণ শত শত পাকা ও ইটের সোলিং সড়ক ঘেরের ভেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহার করায় হুমকির মুখে পড়েছে এসব সড়ক। এরমধ্যে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক, কেশবপুর-পাঁজিয়া সড়ক, কেশবপুর ভেরচি সড়ক, কেশবপুর ভান্ডারখোলা সড়ক, কলাগাছি-চুকনগর সড়ক, মঙ্গলকোট- হিজলডাঙ্গা সড়ক, ভান্ডারখোলা ভায়া আঠারো মাইল সড়ক, পরচক্রা সড়কসহ হাজারও গ্রামীণ ইটের সোলিং সড়ক ঘেরে ধসে বিলীন হয়ে গেছে। এসব সড়ক দিয়ে সাধারণ মানুষ, হাটুরেসহ ছোট-বড় যানবাহন চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া, ঘের মালিকরা সরকারি খালের পানি নিষ্কাশন পথে ব্যক্তিগতভাবে পাকা কালর্ভাট দিয়ে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ করায় উপজেলার বাগডাঙ্গা, মনোহরনগর, কালিচরণপুর গ্রামসহ ৮ থেকে ৯ টি গ্রামের শত শত পরিবার বছরের অধিকাংশ সময় পানিবন্ধী জীবনযাপণ করে থাকে। কলাগাছি-চুকনগর সড়কের পাশে সরকারি রাস্তা মাছের ঘেরের ভেড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে দেখা যায়। উপজেলা প্রকৌশলী নাজিমুল হক বলেন, ঘের মালিকরা সড়ক অবৈধভাবে ভেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহার করে মাছ চাষ করার ফলে সড়কের পাশের ঢাল, সোল্ডারসহ পিচের রাস্তা ভেঙে গেছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী সড়ক থেকে ৬ ফুট দূরত্বে পৃথক ভেড়িবাঁধ নির্মাণ করে মাছ চাষের বিধান রয়েছে। ঘের মালিকরা তা অমান্য করে সড়কের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে চলেছে। এসব সড়কের দু’পাশে ঢাল না থাকায় ঠিকাদারও কাজ করতে চায় না। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ বিশ্বাস বলেন, এ উপজেলায় ৪ হাজার ৬৫৮টি মাছে ঘের রয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জলাকার রয়েছে। এরমধ্যে ১৫’শ ঘের ১২ মাসের রয়েছে। ঘের মালিকরা ২১টি সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষ করছেন। অপরিকল্পিত ঘেরের জন্যে একদিকে যেমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি স্রোত সৃষ্টির অভাবে নদীগুলো মরে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন বলেন, ইতিমধ্যে, সরকারি রাস্তা ঘেরের ভেড়ি হিসেবে ব্যবহার করার অপরাধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যহত থাকবে।ভোরের আকাশ/এসআই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ৩ দিনব্যাপী ভূমি মেলা শুরু হয়েছে। ‘নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী ভূমি মেলা।রোববার (২৫ মে) সকালে উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়সল উদ্দিন। এর আগে ভূমি অফিস চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। মেলায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য কর্মকর্তা রৌনক জাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, পৌর বিএনপির সভাপতি সেলিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আখতার খান, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আশফাকুর রহমান, আশতোষ ভৌমিক, সাদ ইবনে আলম, আব্দুর রহমান, নাজির আশীষ দাস ও আব্দুল আহাদ প্রমুখ।আয়োজকরা জানান, মেলার মূল উদ্দেশ্য হলো ভূমি-সম্পর্কিত সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। মেলায় এসে নাগরিকরা সহজেই খতিয়ান উত্তোলন, নামজারি, জমা খারিজ, অনলাইনে ভূমি কর পরিশোধসহ নানা সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। এতে ভোগান্তি কমবে এবং ভূমি প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।ভোরের আকাশ/জাআ