বাংলাদেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুত আছে: খাদ্য উপদেষ্টা
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার খোজিন। পরে তিনি জানান, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুত আছে।
বুধবার (১৪ মে) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তাসহ রাশিয়া থেকে গম আমদানির বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে খাদ্যশস্য- বিশেষ করে গম ও সারের বড় একটি অংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। তবে এ মুহূর্তে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। দেশে বর্তমানে গমের চাহিদা প্রায় ৭০ লাখ মেট্রিক টন। দেশে উৎপাদন হয় মাত্র ১০ লাখ মেট্রিক টন এবং বাকি ৬০ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করতে হয়।
খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের বিষয় উল্লেখ করে তিনি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে সহায়তা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান এবং ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাসের কাউন্সেলর ভ্লাদিমির মোচালভ উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে সরকার। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠনের ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, টেলিগ্রাম, এক্সের (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি মঙ্গলবার (১৩ মে) বিটিআরসিকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।এর আগে গত সোমবার (১২ মে) আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এসব সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।এ নির্দেশনার আলোকে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধনও স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।ভোরের আকাশ/আজাসা
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার খোজিন। পরে তিনি জানান, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুত আছে।বুধবার (১৪ মে) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তাসহ রাশিয়া থেকে গম আমদানির বিষয়ে আলোচনা হয়।বৈঠকে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে খাদ্যশস্য- বিশেষ করে গম ও সারের বড় একটি অংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। তবে এ মুহূর্তে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। দেশে বর্তমানে গমের চাহিদা প্রায় ৭০ লাখ মেট্রিক টন। দেশে উৎপাদন হয় মাত্র ১০ লাখ মেট্রিক টন এবং বাকি ৬০ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করতে হয়।খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের বিষয় উল্লেখ করে তিনি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে সহায়তা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।বৈঠকে খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান এবং ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাসের কাউন্সেলর ভ্লাদিমির মোচালভ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন আরএফকে সেন্টারের প্রধান কেরি কেনেডি আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন। বুধবার (১৪ মে) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানান।এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ মে) আয়নাঘর পরিদর্শন করেন কেরি কেনেডি।এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাশেম আরমান, যিনি নিজেই আট বছর ধরে এই আয়নাঘরে বন্দি ছিলেন।ফেসবুক পোস্টে শফিকুল আলম লেখেন, কেরি কেনেডি মীর আহমদ বিন কাশেমের সঙ্গে একটি আয়নাঘরে দেখা করেন, যেখানে মীর আহমদ আট বছর বন্দিদশা ও অন্ধকারে কাটিয়েছিলেন। মীর আহমদ হাউসে তার বেদনাদায়ক দিনগুলোর বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবেগপ্রবণ কেরি তাকে সান্ত্বনা দেন।পোস্টে বলা হয়, হাসিনার ১৫ বছরের দুর্নীতিগ্রস্ত ও নৃশংস শাসনামলে বাংলাদেশে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরার জন্য কেরি কেনেডি বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।তার সক্রিয়তা ছিল যুক্তরাজ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাশেমকে আয়নাঘরে জীবিত রাখার অন্যতম কারণ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চট্টগ্রাম বন্দরকে বাদ দিয়ে দেশের অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।বুধবার (১৪ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।উপদেষ্টা বলেন, বন্দরের পরিবর্তন নিয়ে আগে লেখালেখি করলেও এবার সুযোগ পেয়েছি। এটাকে সত্যিকারের বন্দর হিসেবে তৈরি করতে প্রথম দিন থেকে কাজ শুরু করেছি।চট্টগ্রাম বন্দরকে দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন পথ খোলা সম্ভব না। এসময় চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিদেশিদের সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।এর আগে, সকাল সোয়া ৯টার দিকে চট্টগ্রাম পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফরে যান তিনি। একদিনের এ সফরে যোগ দেবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে। এ ছাড়া কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনেরও কথা রয়েছে তার।ভোরের আকাশ/এসএইচ