জাল টাকায় প্রতারিত সেই গরু বিক্রেতাকে ওমরাহ পালনে পাঠালেন অপু বিশ্বাস
রাজধানীর দিয়াবাড়ির কোরবানির পশুর হাটে জাল টাকায় প্রতারিত হওয়া নাটোরের গরু বিক্রেতা রইস উদ্দিন এখন পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরবের পথে। চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের আর্থিক সহায়তায় ও আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার (২৫ জুলাই) ভোর ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেন।
গত কোরবানির ঈদের আগে উত্তরার দিয়াবাড়ি গরুর হাটে নিজের লালন-পালন করা গরুটি বিক্রি করতে গিয়ে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকার মধ্যে ১ লাখ ২১ হাজার টাকাই জাল পান রইস উদ্দিন। হতভম্ব ও বিমর্ষ রইস উদ্দিনের কান্না ছুঁয়ে যায় সারা দেশের মানুষকে। সেই মর্মস্পর্শী ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে।
পরবর্তীতে তার পাশে দাঁড়ায় আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন। প্রথম ধাপে তাকে দেওয়া হয় নগদ ৫০ হাজার টাকা। এরপর বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন থেকেও আসে সহায়তা। এ সময়েই মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস।
ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে রইস উদ্দিনের ওমরাহ পালনের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার গ্রহণ করেন অপু বিশ্বাস। ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয় যাবতীয় প্রক্রিয়া।
রওনা হওয়ার আগে রইস উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, “অপু বিশ্বাস আমাকে কথা দিয়েছিলেন, কথা রেখেছেন। আমি ওমরাহ পালন করতে যাচ্ছি—এই অনুভূতি ভাষায় বোঝাতে পারব না।”
অপু বিশ্বাস বলেন, “তিনি আমার বাবার বয়সী। যদি আমি তার মেয়ে হতাম, এমন কিছুই করতাম। তিনি যেন আমার সন্তান ও পরিবারের জন্য দোয়া করেন—এটাই আমার চাওয়া। তাকে ওমরাহ পালনে পাঠাতে পারা আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।”
এ ঘটনাটি প্রমাণ করে, মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও সহযোগিতা এখনও বেঁচে আছে সমাজে। জাল নোটের হতাশা থেকে পবিত্র ভূমিতে যাত্রা—রইস উদ্দিনের জীবনে এই নাটকীয় মোড় যেন অশ্রুর বদলে এক শ্রেষ্ঠ উপহার।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
রাজধানীর দিয়াবাড়ির কোরবানির পশুর হাটে জাল টাকায় প্রতারিত হওয়া নাটোরের গরু বিক্রেতা রইস উদ্দিন এখন পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরবের পথে। চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের আর্থিক সহায়তায় ও আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার (২৫ জুলাই) ভোর ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেন।গত কোরবানির ঈদের আগে উত্তরার দিয়াবাড়ি গরুর হাটে নিজের লালন-পালন করা গরুটি বিক্রি করতে গিয়ে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকার মধ্যে ১ লাখ ২১ হাজার টাকাই জাল পান রইস উদ্দিন। হতভম্ব ও বিমর্ষ রইস উদ্দিনের কান্না ছুঁয়ে যায় সারা দেশের মানুষকে। সেই মর্মস্পর্শী ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে।পরবর্তীতে তার পাশে দাঁড়ায় আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন। প্রথম ধাপে তাকে দেওয়া হয় নগদ ৫০ হাজার টাকা। এরপর বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন থেকেও আসে সহায়তা। এ সময়েই মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস।ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে রইস উদ্দিনের ওমরাহ পালনের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার গ্রহণ করেন অপু বিশ্বাস। ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয় যাবতীয় প্রক্রিয়া।রওনা হওয়ার আগে রইস উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, “অপু বিশ্বাস আমাকে কথা দিয়েছিলেন, কথা রেখেছেন। আমি ওমরাহ পালন করতে যাচ্ছি—এই অনুভূতি ভাষায় বোঝাতে পারব না।”অপু বিশ্বাস বলেন, “তিনি আমার বাবার বয়সী। যদি আমি তার মেয়ে হতাম, এমন কিছুই করতাম। তিনি যেন আমার সন্তান ও পরিবারের জন্য দোয়া করেন—এটাই আমার চাওয়া। তাকে ওমরাহ পালনে পাঠাতে পারা আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।”এ ঘটনাটি প্রমাণ করে, মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও সহযোগিতা এখনও বেঁচে আছে সমাজে। জাল নোটের হতাশা থেকে পবিত্র ভূমিতে যাত্রা—রইস উদ্দিনের জীবনে এই নাটকীয় মোড় যেন অশ্রুর বদলে এক শ্রেষ্ঠ উপহার।ভোরের আকাশ//হ.র
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূরকে নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৈরি হয় বিভ্রান্তি। তার নামে একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ চালু হয়, যেটি আদতে ভুয়া বলে দাবি করেছেন স্বয়ং অভিনেত্রী। অবশেষে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক আইডি ভেরিফায়েড করে বিতর্কের অবসান ঘটালেন তিনি।শনিবার (২৬ জুলাই) অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে দুপুর ২টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে শাবনূর বলেন, “আমার একটি মাত্র ফেসবুক আইডি আছে, বাকিগুলো ভুয়া। কে বা কারা এমন কাজ করছে জানি না। আমি সবাইকে মন থেকে ভালোবাসি, কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু কিছু মানুষ কেন এমন করছে, তা বুঝে উঠতে পারছি না।”তিনি জানান, ওই ভুয়া পেজটি তার নাম, ছবি, এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের তথ্য ব্যবহার করে ভেরিফায়েড করানো হয়েছে। শাবনূরের ভাষায়, “এই পেজের উদ্দেশ্য মোটেও সৎ নয়। এটি স্পষ্টতই প্রতারণা।”লাইভে তিনি বলেন, “অনেকেই আমাকে আগে থেকেই ভেরিফায়েড আইডির পরামর্শ দিয়েছিলেন। তখন গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, এটা খুবই দরকার ছিল।”ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার আইডি ভেরিফায়েড করে দেয়। বিকেল ৪টার দিকে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “আলহামদুলিল্লাহ, আমার ফেসবুক আইডি ভেরিফাইড হয়ে গেছে। সবার অনুরোধে এটা সত্যায়িত (ভেরিফায়েড) করে নিলাম। আশা করি এখন থেকে আমার অফিসিয়াল আইডি চিনতে কারও অসুবিধা হবে না।”তিনি আরও জানান, প্রতারণার অভিযোগে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করছেন এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিটেও অভিযোগ করবেন। শাবনূরের ধারণা, ভুয়া পেজটির পেছনে বাংলাদেশভিত্তিক একটি সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত, যারা তার পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে।উল্লেখ্য, অতীতেও শাবনূরের নামে একাধিক ফেক আইডি খোলা হয়েছিল এবং এমনকি তার মৃত্যুর গুজবও ছড়ানো হয়েছিল। তিনি বারবার ভক্তদের এসব বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন।প্রসঙ্গত, কাজী শারমীন নাহিদ নূপুর, যার পর্দানাম শাবনূর, নব্বই দশকে ‘চাঁদনী রাতে’ চলচ্চিত্র দিয়ে ঢালিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। সালমান শাহ-শাবনূর জুটি আজও বাংলা সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় জুটি হিসেবে বিবেচিত। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন, যেখানে তার একমাত্র ছেলে আইজান নিহান পড়াশোনা করছে।ভোরের আকাশ//হ.র
‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট, বেজিস্ট ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার এ কে রাতুল মারা গেছেন। ব্যান্ডের গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম খবরটি নিশ্চিত করেছেন।সিয়াম ইবনে আলম জানান, উত্তরার একটি জিমে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন রাতুল। পরে তাঁকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে লুবানা হাসপাতালে নেয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর একটি জিমে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সেখান থেকে তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।সংগীতশিল্পীর এমন অকালমৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারকারা।উল্লেখ্য, এ কে রাতুল ছিলেন বাংলাদেশের আন্ডারগ্রাউন্ড রক সংগীতজগতের এক উজ্জ্বল নাম। ২০১৪ সালে ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘1’ ও ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘2’ মুক্তি পায়। দুই অ্যালবামই শ্রোতাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়, বিশেষ করে রতুলের কণ্ঠশক্তির জন্য।শুধু গায়ক হিসেবেই নয়, এ কে রতুল ছিলেন এক অসাধারণ প্রযোজকও। দেশের রক সংগীতের নানা ব্যান্ডের জন্য তিনি তৈরি করেছেন একাধিক হিট অ্যালবাম। তার আকস্মিক মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।প্রসঙ্গত, নায়ক জসিমের তিন ছেলের একজন এ কে রাতুল। বাবার পথ ধরে অভিনয়ে নাম লেখাননি তারা, কাজ করেছেন সংগীতজগতে। তিনজনই যুক্ত ব্যান্ডের সঙ্গে।এর মধ্যে রাহুল ‘ট্রেনরেক’ ব্যান্ডের গিটারিস্ট ও ‘পরাহো’ ব্যান্ডের ড্রামার, রাতুল ও সামী যুক্ত ছিলেন ‘ওইনড’ ব্যান্ডের সঙ্গে। রাতুল ওইনডের ভোকালিস্ট ও বেজিস্ট, সামী ড্রামার।ভোরের আকাশ/জাআ
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৩ বছরের প্রেমকে পরিণয়ে রূপ দেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও পরিচালক আদনান আল রাজীব। বিয়ের পাঁচ মাস পার হলেও তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এখনো মধুর ও সুখে ভরা। দেশের বাইরে বিভিন্ন সফরে বহুবার দেখা গেছে তাঁদের, তবে এসব ছিলো কাজ কিংবা ভ্রমণ ভিত্তিক, হানিমুন নিয়ে অনেক ভক্তের মধ্যে ছিলো সন্দেহ।অবশেষে মেহজাবীন নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করলেন, ইতালি হল তাদের হানিমুনের গন্তব্য। শনিবার ফেসবুকে লেইক কমোর নীল জলরাশির পাশে তোলা রোম্যান্টিক মুহূর্তের ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “লেইক কমো বিশ্বের সবচেয়ে রোম্যান্টিক জায়গাগুলোর একটি, বিশেষ করে কাপলদের জন্য। এখানে কয়েকটি দিন কাটানো যেন এক স্বপ্ন। শান্ত, সুন্দর এবং ছোট ছোট মুহূর্তে ভরপুর, যা কখনো ভুলবো না।”ছবিতে দেখা যায়, নীলচে পোশাকে মেহজাবীন লেইক কমোর পাড়ে একা দাঁড়িয়ে আছেন, আবার এক অন্য ছবিতে রাজীবের কাঁধে মাথা রেখেছেন প্রেমময় দৃশ্যে। এই পোস্টে ভক্তরা তাদের জন্য ভালোবাসা ও শুভকামনার বন্যা বইয়ে দিয়েছেন।মেহজাবীন ছোট পর্দায় সফল ক্যারিয়ারের পর বড় পর্দাতেও নিজের অবস্থান মজবুত করছেন। ‘প্রিয় মালতী’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমার জন্য পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার। এখন ব্যক্তিজীবনে সুখী সময় কাটানো এই তারকা দম্পতির হানিমুন নিয়ে ভক্তদের আগ্রহ আরও বেড়ে গেছে।ভোরের আকাশ//হ.র