সংগৃহীত ছবি
‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট, বেজিস্ট ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার এ কে রাতুল মারা গেছেন। ব্যান্ডের গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
সিয়াম ইবনে আলম জানান, উত্তরার একটি জিমে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন রাতুল। পরে তাঁকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে লুবানা হাসপাতালে নেয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর একটি জিমে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সেখান থেকে তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
সংগীতশিল্পীর এমন অকালমৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারকারা।
উল্লেখ্য, এ কে রাতুল ছিলেন বাংলাদেশের আন্ডারগ্রাউন্ড রক সংগীতজগতের এক উজ্জ্বল নাম। ২০১৪ সালে ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘1’ ও ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘2’ মুক্তি পায়। দুই অ্যালবামই শ্রোতাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়, বিশেষ করে রতুলের কণ্ঠশক্তির জন্য।
শুধু গায়ক হিসেবেই নয়, এ কে রতুল ছিলেন এক অসাধারণ প্রযোজকও। দেশের রক সংগীতের নানা ব্যান্ডের জন্য তিনি তৈরি করেছেন একাধিক হিট অ্যালবাম। তার আকস্মিক মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রসঙ্গত, নায়ক জসিমের তিন ছেলের একজন এ কে রাতুল। বাবার পথ ধরে অভিনয়ে নাম লেখাননি তারা, কাজ করেছেন সংগীতজগতে। তিনজনই যুক্ত ব্যান্ডের সঙ্গে।
এর মধ্যে রাহুল ‘ট্রেনরেক’ ব্যান্ডের গিটারিস্ট ও ‘পরাহো’ ব্যান্ডের ড্রামার, রাতুল ও সামী যুক্ত ছিলেন ‘ওইনড’ ব্যান্ডের সঙ্গে। রাতুল ওইনডের ভোকালিস্ট ও বেজিস্ট, সামী ড্রামার।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট, বেজিস্ট ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার এ কে রাতুল মারা গেছেন। ব্যান্ডের গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম খবরটি নিশ্চিত করেছেন।সিয়াম ইবনে আলম জানান, উত্তরার একটি জিমে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন রাতুল। পরে তাঁকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে লুবানা হাসপাতালে নেয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর একটি জিমে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সেখান থেকে তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।সংগীতশিল্পীর এমন অকালমৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারকারা।উল্লেখ্য, এ কে রাতুল ছিলেন বাংলাদেশের আন্ডারগ্রাউন্ড রক সংগীতজগতের এক উজ্জ্বল নাম। ২০১৪ সালে ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘1’ ও ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘2’ মুক্তি পায়। দুই অ্যালবামই শ্রোতাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়, বিশেষ করে রতুলের কণ্ঠশক্তির জন্য।শুধু গায়ক হিসেবেই নয়, এ কে রতুল ছিলেন এক অসাধারণ প্রযোজকও। দেশের রক সংগীতের নানা ব্যান্ডের জন্য তিনি তৈরি করেছেন একাধিক হিট অ্যালবাম। তার আকস্মিক মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।প্রসঙ্গত, নায়ক জসিমের তিন ছেলের একজন এ কে রাতুল। বাবার পথ ধরে অভিনয়ে নাম লেখাননি তারা, কাজ করেছেন সংগীতজগতে। তিনজনই যুক্ত ব্যান্ডের সঙ্গে।এর মধ্যে রাহুল ‘ট্রেনরেক’ ব্যান্ডের গিটারিস্ট ও ‘পরাহো’ ব্যান্ডের ড্রামার, রাতুল ও সামী যুক্ত ছিলেন ‘ওইনড’ ব্যান্ডের সঙ্গে। রাতুল ওইনডের ভোকালিস্ট ও বেজিস্ট, সামী ড্রামার।ভোরের আকাশ/জাআ
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৩ বছরের প্রেমকে পরিণয়ে রূপ দেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও পরিচালক আদনান আল রাজীব। বিয়ের পাঁচ মাস পার হলেও তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এখনো মধুর ও সুখে ভরা। দেশের বাইরে বিভিন্ন সফরে বহুবার দেখা গেছে তাঁদের, তবে এসব ছিলো কাজ কিংবা ভ্রমণ ভিত্তিক, হানিমুন নিয়ে অনেক ভক্তের মধ্যে ছিলো সন্দেহ।অবশেষে মেহজাবীন নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করলেন, ইতালি হল তাদের হানিমুনের গন্তব্য। শনিবার ফেসবুকে লেইক কমোর নীল জলরাশির পাশে তোলা রোম্যান্টিক মুহূর্তের ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “লেইক কমো বিশ্বের সবচেয়ে রোম্যান্টিক জায়গাগুলোর একটি, বিশেষ করে কাপলদের জন্য। এখানে কয়েকটি দিন কাটানো যেন এক স্বপ্ন। শান্ত, সুন্দর এবং ছোট ছোট মুহূর্তে ভরপুর, যা কখনো ভুলবো না।”ছবিতে দেখা যায়, নীলচে পোশাকে মেহজাবীন লেইক কমোর পাড়ে একা দাঁড়িয়ে আছেন, আবার এক অন্য ছবিতে রাজীবের কাঁধে মাথা রেখেছেন প্রেমময় দৃশ্যে। এই পোস্টে ভক্তরা তাদের জন্য ভালোবাসা ও শুভকামনার বন্যা বইয়ে দিয়েছেন।মেহজাবীন ছোট পর্দায় সফল ক্যারিয়ারের পর বড় পর্দাতেও নিজের অবস্থান মজবুত করছেন। ‘প্রিয় মালতী’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমার জন্য পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার। এখন ব্যক্তিজীবনে সুখী সময় কাটানো এই তারকা দম্পতির হানিমুন নিয়ে ভক্তদের আগ্রহ আরও বেড়ে গেছে।ভোরের আকাশ//হ.র
দেশের বিনোদন অঙ্গনের প্রিয় তিন তারকা মোশাররফ করিম, শামীম জামান ও আ খ ম হাসান আবারও একসঙ্গে আসছেন টিভি পর্দায়। তারা হাজির হচ্ছেন নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘শাদি মোবারক’-এ, যা আগামী ৩ আগস্ট থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার শুরু হবে।নাটকটি রচনা করেছেন আহাম্মেদ শাহাবুদ্দিন এবং পরিচালনা করেছেন শামীম জামান নিজেই। নাটকের গল্পে তিনজনই অভিনয় করেছেন তিন ভাইয়ের চরিত্রে। বড় ভাইয়ের বিয়ে আটকে থাকার কারণে মেজো ও ছোট ভাইয়ের বিয়ের পরিকল্পনা পিছিয়ে যায়, আর এ নিয়েই ঘটে একের পর এক হাস্যকর ঘটনা।গত বছরের নভেম্বরেই শুটিং শেষ হওয়া এই নাটকে আরও অভিনয় করেছেন মিম চৌধুরী, রোবেনা রেজা জুঁই, জয়রাজসহ আরও অনেকে।তিন এই জনপ্রিয় তারকার জুটিকে আবার একসঙ্গে দেখার অপেক্ষায় রয়েছে দর্শকরা, এবং তাদের অভিনয়ে হাসির নতুন ঝড় ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে ‘শাদি মোবারক’-এ।ভোরের আকাশ//হ.র
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক উজ্জ্বল ও শক্তিমান নাম ডলি জহুর। যুগের পর যুগ নাটক, সিনেমা ও মঞ্চে তার সহজাত অভিনয় দিয়ে দর্শকের মনে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হলেও, আজকাল তাকে অভিনয়ে খুব একটা দেখা যায় না। বর্তমান পর্বে তার কাজের সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছে। ডলি জহুরের জীবন, অনুভূতি এবং শিল্পের প্রতি তার দর্শন নিয়ে গভীর আলোকপাত থাকল এই আলোচনায়।অভিনয় থেকে সরে আসার কারণ: ডলি জহুর স্পষ্ট বলেন, বর্তমান নাটক ও সিনেমার গল্প-চরিত্রগুলোতে নতুনত্বের ঘাটতি রয়েছে। একই ধরনের গল্প আর ঘুরেফিরে আসা চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে একঘেয়েমি কাজ করে তার মধ্যে। বিশেষ করে সিনেমায় প্রায়ই মা চরিত্রে তাকে ডাকলেও, এগুলোর গুরুত্ব কম থাকে যে কারণে তিনি আর আগ্রহ পান না। অভিনয়শিল্পী হিসেবে সেই চরিত্র চান, যেখানে নিজের প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ থাকে।একঘেয়ে ও গুরুত্বহীন চরিত্রে আর কাজ করতে ইচ্ছা করে না। নাটক এখনো করি, যদি কিছু ভিন্নতা পাই। দর্শকের ভালোবাসা ও নিজের অর্জনকে মূল্যবান মনে করে ডলি জহুর। তাই তিনি চান, জীবনটা আতিশয্য ছাড়াই শান্তিতে কাটাতে।কাজ বন্ধের কষ্ট ও শিল্পীর তৃষ্ণা: কাজ কমিয়ে দেওয়াতে মামুলি কোনো আফসোস নেই তার, তবে শিল্পীর মনের যে অস্থিরতা ও অভিনয়ের ক্ষুধা, সেটির তৃপ্তি নেই বলেই কষ্ট হয় বলে জানান ডলি জহুর। পেশাদার অভিনেত্রী হিসেবে সারাজীবন চেষ্টা করেছি চরিত্রর সত্যতা ধরে রাখতে। সম্মানি নয়, আমি অভিনয়কে ভালোবেসে করেছি; মানুষের ভালোবাসার জন্যই সবকিছু।তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলেন, ‘ভালোবাসা’-ই শিল্পীপনার মূল অনুপ্রেরণা। বর্তমানে সেই সত্যিকারের ভালোবাসার খরা দেখেন তিনি; তার মতে, মানুষের আবেগ ও আন্তরিকতার জায়গায় কৃত্রিমতা ঢুকে পড়েছে। সবাই আজ আত্মকেন্দ্রিক শিল্প কিংবা সমাজ নিয়ে ভাবনার সুযোগই নেই।সমকালীন শিল্প-ইন্ডাস্ট্রি ও মানুষের মনস্তত্ত্ব: ডলি জহুর মনে করেন, আজকের ইন্ডাস্ট্রিতে নিখাদ ভালোবাসা ও পারস্পরিক নির্ভরতা আগের মতো নেই। সমাজ ও সম্পর্ক নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ: মানুষ এখন আর আপনজনকে নিজের মনে করতে পারে না। সবাই যেন শুধু ব্যক্তিগত উন্নতি ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতেই ব্যস্ত। এই সময়ের শিল্প-পরিমণ্ডল ও পরিবর্তিত সভ্যতায় নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জায়গা সংকুচিত হয়ে এসেছে বলেই তিনি ভাবেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়ে তার অনুভূতি আরও গভীর হয়েছে।পরিবার, দেশ, ও পরিচিতির আকর্ষণ: অস্ট্রেলিয়ায় থাকা একমাত্র সন্তানের কাছে চলে যেতে সুযোগ থাকলেও, তিনি নিজেকে সে গণ্ডির মধ্যে আটকে রাখতে চান না।ডলির অনুভূতি: দেশের মাটি, খোলা আকাশ, চেনা মানুষ, পরিবেশ এসবই আমার জীবনের আনন্দ। বিদেশে গেলেই মনে হয় বন্দিত্ব, যে স্বাধীনতা এখানে পাই সেখানেই শান্তি। দেশের মানুষের কষ্ট দেখলে, নিজেকে অন্তত তাদের পাশে দেখতে চান।পুরস্কার ও প্রকৃত কৃতজ্ঞতা: জীবনের সব অর্জন, পুরস্কার ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির চেয়েও ডলি জহুরের কাছে সবচেয়ে বড় পাওনা দর্শকের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্মান। মানুষের ভালোবাসা, এটাই হয়েছে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ, তবে দর্শকের ভালোবাসাই একজন শিল্পীর মূল চালিকাশক্তি। তিনি মনে করেন, শিল্পীর এগিয়ে চলার প্রেরণা ও মুকুট দর্শকের এই ভালোবাসা, যা তাকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছে।ডলি জহুরের দর্শনে শিল্প ও মানবতার মিশেল: বাংলাদেশের সংস্কৃতি-ইতিহাসের এক অনুসরণযোগ্য পর্বজ বিশিষ্ট শিল্পী ডলি জহুরের জীবন ও অনুভূতি সচেতন দর্শক, মেধাবী সহকর্মী ও নবীন শিল্পীদের জন্য অন্যতম শিক্ষা। উপলব্ধি, আবেগ আর আদর্শিক আন্তরিকতায় তিনি জানান দেন শিল্প, দেশ, মানুষ ও ভালোবাসার টানেই এগিয়ে চলে একটি শিল্পীর যাত্রা; পুরস্কার, অর্থ কিংবা খ্যাতির উর্ধ্বে মানবিকতা ও আত্মপ্রত্যয়ই তার আসল পরিচয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ