ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫ ১১:১১ পিএম
সংগৃহীত ছবি
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিদ্যমান ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখার পক্ষে আমরা। যেহেতু আসন্ন নির্বাচনের আগে সংবিধান সংশোধিত হচ্ছে না সংসদ ছাড়া। তাই আগামী নির্বাচন মৌখিকভাবে ৩০০ আসনের ভিত্তিতে ৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৫টি আসনে রাজনীতিক দলগুলো নারীদের সরাসরি নির্বাচনের মনোনয়ন দেবে।
রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ১৯তম দিনের আলোচনার বিরতিতে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধান যখন সংশোধন হবে, তার ভিত্তিতে নির্বাচন ৩০০ আসনের ভিত্তিতে আরও ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৩০টি আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচনের মনোনয়ন দেওয়ার কথা প্রস্তাব করেছি। বিদ্যমান সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনসহ সরাসরি ৩০টি নিয়ে মোট ৮০টি হবে। এভাবে যদি নারী সমাজের অগ্রগতি লক্ষ করা যায় এবং জাতীয় ভিত্তিতে যদি জনমত আসে তখনকার বিবেচনায় তার পরবর্তী পার্লামেন্ট হয়তো এই সরাসরি নির্বাচন বিধানটা আরও সম্প্রসারিত করতে পারে। এই প্রস্তাব রেখেছি আমরা।
পুলিশ সংস্কারে তিনি বলেন, পুলিশ সংস্কার কমিশনের বিষয়ে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। যাতে রাষ্ট্রে পুলিশ বিভাগের কর্মকাণ্ড একটা জবাবদিহিতার আওতায় আসে এবং জনগণের সেবা যাতে নিশ্চিত করা হয়। প্রকৃত অর্থে পুলিশ যেন মানে জনগণের বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেটার প্রয়োজন আছে।
পঞ্চম সংশোধনীতে গৃহীত সব মূলনীতির সঙ্গে একমত হয়ে বিএনপি নেতা বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির ক্ষেত্রে কমিশনের প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি। রাষ্ট্র পরিচালনা মূলনীতির ক্ষেত্রে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত বিষয়গুলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক, ন্যায়বিচারের সঙ্গে গণতন্ত্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি—এই বিষয়গুলো যুক্ত করার কথা বলেছি। আমরা পঞ্চম সংশোধনীতে গৃহীত সব মূলনীতি সেটার সঙ্গে একমত। সেখানে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা এবং বিশ্বাস আছে। সেখানে গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ আছে। মহান আল্লাহর ওপর আস্থা এবং বিশ্বাস এই কথাগুলো পঞ্চম সংশোধনের পরবর্তীতে গৃহীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, রাষ্ট্রে সাংবিধানিকভাবে সংসদীয়ভাবে বা যেকোনোভাবে স্বৈরতন্ত্রের উদ্ভব যাতে না হয়, ফ্যাসিবাদের উৎপাদন যাতে না হয়, সেটা বন্ধ করার জন্য এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছরের বেশি বহাল থাকবে না। এটি বিবেচিত হিসেবে একমত হয়েছি।
এছাড়া নির্বাচন কমিশনের গঠন নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের গঠনটা সাংবিধানিকভাবে করতে একমত হয়েছি। আমরা কোনোভাবেই আর মনে করি না রাষ্ট্রে কোনোভাবেই স্বৈরতন্ত্র, ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র বা ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি হবে।
ভোরের আকাশ/জাআ