এটিএম বুথে কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত সেই নিরাপত্তাকর্মী গ্রেপ্তার
গাজীপুরের শ্রীপুরে এটিএম বুথে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী মো. লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ জুন) রাতে শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক গ্রেপ্তারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতে ওঠানো হবে।
গ্রেপ্তার মো. লিটন ময়মনসিংহের পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়ায় থেকে লিটন ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছিলেন।
মামলা থেকে জানা গেছে, ওই কিশোরী স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় ছয় হাজার টাকা বেতনে চাকুরি করতেন। টাকা তোলার জন্য তিনি ওই এটিএম বুথে নিয়মিত যাতায়াতের এক পর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মী লিটনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। রোববার সকাল ৬টায় তালহা স্পিনিং মিলে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে মেয়েটিকে ডেকে নেন লিটন। কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসবেন বলে লিটন মেয়েটিকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে বসান।পরে মেয়েটির বাবা দুইবার চাকরির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে লিটন কোনো চিন্তা না করতে বলে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে সকাল ১০টার দিকে এটিএম বুথের ভেতরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন লিটন। পরে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে পথে বাবাকে ঘটনাটি জানান মেয়েটি।
ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলার পর থেকেই শ্রীপুর থানা পুলিশের একাধিক টিম লিটনকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন। লিটন বিভিন্ন সময় স্থান ত্যাগ করছিল। পরে সবশেষ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আনসার রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ফেনীতে বিজিবির ধাওয়ায় খেয়ে ১৫ কেজি গাঁজা ফেলে পালিয়ে গেছে মাদক কারবারী। ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে ফেনী সদর উপজেলায় মাদক কারবারীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধাওয়া করলে মাদক ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিজিবি ফেনী ব্যাটালিয়নের কর্তব্যরত গার্ড ফেলে যাওয়া ব্যাগ তল্লাশী করে ১৫ কেজি গাঁজা জব্দ করে।বিজিবি জানায়, এছাড়া ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি। এসময় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় বিস্কুট, হেয়ার অয়েল ও ভারতীয় গরু আটক করা হয়। এগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬০ টাকা। জব্দকৃত মালামাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ও স্থানীয় কাস্টমস্ এ জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।ফেনীস্থ ৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোশারফ হোসেন বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধসহ অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির আভিযানিক কর্মকান্ড ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিজিবির কঠোর নীতি অব্যাহত থাকবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
যশোরের বেনাপোল বন্দর থেকে ২০ টি বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ বেচারাম পরামানিক নামে ভারতীয় এক ট্রাক চালককে গ্রেফতার করেছে আনসার সদস্যরা।বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বন্দর কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল গেট থেকে পাসপোর্টসহ তাকে গ্রেফতার করে বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা। পাসপোর্টগুলো ভারত থেকে অবৈধ ভাবে দেশে ঢোকানোর চেষ্টা করছিল ট্রাক চালক। গত ২৪ জুনে সার্বিয়ার ভিসা লাগানো হয়েছিল সবগুলো পাসপোর্টে। ধারনা করা হচ্ছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত কোন দেশে ঢোকার জন্য তারা সার্বয়ার ভিসা লাগিয়েছিল।বন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা আনসার কমান্ডার হেলালউজ্জামান জানান, তাদের কাছে গোঁপন সংবাদ আসে ভারত থেকে অবৈধ পন্থায় বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। পরে তারা বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করে। এক পর্যায়ে সন্দেহভাজন ট্রাক চালক একটি ব্যাগ হাতে কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল থেকে বের হওয়ার সময় তার ব্যাগ তল্লাশী করা হয়। এসময় ব্যাগের মধ্যে থেকে ২০ টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত ট্রাক চালককে পাসপোর্টসহ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হবে।জব্দকৃত পাসপোর্টের মালিকরা হলেন, ঢাকার দানেশ আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম, গাজিপুরের আব্দুর রশিদের ছেলে আবুল হোসেন, মানিগঞ্জের আবুল কাশেমের ছেলে শরিফুল ইসলাম, নোয়াখালির আব্দুল মোতালেবের ছেলে আব্দুল কাদের, আলাউদ্দীনের ছেলে আব্দুল আজিজ, সাহেব উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহিম,অমল চন্দ্র দাসের ছেলে রুপম চন্দ্র দাস, সাতক্ষীরার রেজাউল ইসলামের ছেলে ত্নভির হাসান,নজরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেনের ছেলে পলাশ হোসেন, নুর মোহাম্মদ শেখের ছেলে জাকারিয়া, ইউনুচের ছেলে আবু সাঈদ, ফেনির মোরশেদ আলমের ছেলে আব্দুল করিম, নরসিংদীর বাতেন মিয়ার ছেলে ফাইম মিয়া, চাঁদপুরের মনোহরগাজীর ছেলে মোজাম্মেল হোসেন, নোয়াখালির রফিউল্লার ছেলে ইমরান হোসেন, কিশোরগঞ্জের রিপন মিয়ার ছেলে অপূর্ব মিয়া, ঢাকার আব্দুল মাজিদের ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ, ব্রাক্ষনবাড়িয়ার হাজি আব্দুল মান্নানের ছেলে ইসহাক ও সাতক্ষীরার খলিল গাজীর ছেলে হুমায়ন কবির।এদিকে পাসপোর্ট আটকের ঘটনা জানতে রাতে বন্দরে ভিড় জমায় বিএনপি নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তবে এসব পাসপোর্টধারীরা কোন রাজনৈতিক দলের নেতা,কর্মী বা অন্য কোন অপরাধী চক্র কিনা তা তদন্ত করছে পুলিশ।ভোরের আকাশ/আজাসা
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলায় যাত্রীবাহী বাস ও পাথরবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।শুক্রবার (৪ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের বনগ্রাম বাজারের পূর্বপাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন—পাবনার শান্তিপুর সোহানগরের মৃত হাশেম মোল্লার ছেলে আবেদ আলী (৩৮), আতাইকুলার কারিগর পাড়ার মৃত ইরাদ আলীর ছেলে মনছুর আলী (৪০)। নিহত আরেকজনের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনাগামী 'পাবনা এক্সপ্রেস' নামের একটি যাত্রীবাহী বাস ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বনগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সোনা মসজিদগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন প্রাণ হারান। আহত হন আরও অন্তত ১০ যাত্রী।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।খবর পেয়ে মাধপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, “নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। অপরজনের পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”ভোরের আকাশ//হ.র
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উল্টে কপিল উদ্দিন (৯০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলার ধামশ্রেণি ইউনিয়নের যাদুপোद्दার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কপিল উদ্দিন উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের বাসিন্দা।আহতরা হলেন—অটোরিকশা চালক আব্দুল সালাম (৩০), ইমরান আলী (৪) ও শাহানা বেগম (৩৫)। তারা সবাই সাতভিটা গ্রামের বাসিন্দা।পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে সাতভিটা গ্রাম থেকে আটজন যাত্রী একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে উপজেলার পাতিলাপুর গ্রামে দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে যাদুপোद्दার এলাকায় পৌঁছালে একটি বালুভর্তি ট্রাক্টরকে ওভারটেক করতে গিয়ে অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়।আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক কপিল উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রাশেদ পারভেজ জানান, বৃদ্ধ কপিল উদ্দিনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হবে।ভোরের আকাশ//হ.র