নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫ ১২:২৪ এএম
চেয়ারে শহীদ পরিবার, মেঝেতে উপদেষ্টা, নারায়ণগঞ্জে ব্যতিক্রমী শ্রদ্ধা
জুলাই শহীদদের স্মরণে দেশের প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেখা গেছে ব্যতিক্রমী এক দৃশ্য। মঞ্চের কেন্দ্রে বসেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা, আর তাঁদের পায়ের পাশে মেঝেতে বসেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এমন অনন্য উদাহরণ স্থাপন করা হয়।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ এলাকায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করা হয়। এতে শহীদদের আত্মত্যাগ ও পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, “জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অগ্রগতির পথে রয়েছে। এ সরকারের শাসনামলেই এ হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হবে।”
তিনি আরও বলেন, “শহীদ পরিবারগুলো দীর্ঘদিন ধরে যে বেদনা বয়ে চলেছে, তা আমরা উপলব্ধি করি। ভয়াবহ, নির্মম সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার হবেই।”
শিল্প ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “দেশব্যাপী শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ চলছে। গণভবনকে একটি ফ্যাসিবাদবিরোধী জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তুতিও চলছে। আগামী ৫ আগস্টের মধ্যেই এটি উদ্বোধন করা হবে।”
তিনি জানান, শহীদদের কবর সংরক্ষণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। “সংগ্রামের ধারা আমরা শেষ করব না, সেটি শহীদ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করব,” বলেন তিনি।
পরিবেশ ও পানিসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ স্বৈরাচারবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নিয়ে এ দেশকে মুক্ত করেছে। এই ইতিহাস আমাদের ধরে রাখতে হবে।”
তিনি আরও জানান, নারায়ণগঞ্জে জুলাই আন্দোলনে ৫৬ জন শহীদ হন, যাদের মধ্যে ২১ জন এই জেলার সন্তান।
অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদারসহ জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
ভোরের আকাশ//হ.র