এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, বিক্ষোভে উত্তাল বাংলামোটর
রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২ জুলাই) রাতে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারের সামনে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির। তিনি জানান, “ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার জুলাই মাসের পদযাত্রার চিত্র প্রদর্শনী বহনকারী গাড়িতে ককটেল হামলা চালানো হয়েছে, এতে গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এনসিপির নেতাকর্মীরা। তারা দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, এটি পূর্ব পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা এবং এর মাধ্যমে দলীয় কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২৩ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে একই এলাকায় এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সে সময় দলীয় নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়, যাতে চারজন আহত হন।
আহতরা হলেন—
পুনরায় একই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এনসিপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একের পর এক হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দলটির নেতারা দাবি করেছেন, এ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২ জুলাই) রাতে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারের সামনে এই বিস্ফোরণ ঘটে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির। তিনি জানান, “ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার জুলাই মাসের পদযাত্রার চিত্র প্রদর্শনী বহনকারী গাড়িতে ককটেল হামলা চালানো হয়েছে, এতে গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এনসিপির নেতাকর্মীরা। তারা দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, এটি পূর্ব পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা এবং এর মাধ্যমে দলীয় কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।উল্লেখ্য, এর আগে ২৩ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে একই এলাকায় এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সে সময় দলীয় নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়, যাতে চারজন আহত হন।আহতরা হলেন—এনসিপি শ্রমিক উইংয়ের শফিকুল ইসলামযুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুর রবহাজারীবাগ থানার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব সুমন হোসেনঢাকা মহানগর এনসিপির সদস্য আসিফ উদ্দিন সম্রাট।পুনরায় একই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এনসিপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একের পর এক হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দলটির নেতারা দাবি করেছেন, এ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।ভোরের আকাশ//হ.র
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল ১৫নং কাবিলপুর ইউনিয়ন শাখার কর্মী সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (২ জুলাই) রংপুর পীরগঞ্জ লালদীঘি মেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কর্মী সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা সদস্য ও পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. মাহমুদুননবী চৌধুরী পলাশ।বিশেষ বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য মাওলানা মো. ইনামুল হক মাজেদী এবং জেলার সদস্য সচিব মাওলানা মো. নুরুন্নবী মিয়াজী।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ও একই উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রংপুর জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পীরগঞ্জ উপজেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা মো. শাহজালাল সরকার। রংপুর জেলা ওলামা দলের সদস্য ও পীরগঞ্জ উপজেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা মো. সেলিম মন্ডল এর সঞ্চালনায় ওলামা দল সহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রংপুর জেলা ওলামা দলের সদস্য ও পীরগঞ্জ উপজেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা মো. সেলিম মন্ডল।এসময় ওলামা দল সহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ‘রূপরেখা’ দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি। দলটি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো মিলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার সমাধান চায় তারা।বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের অষ্টম দিনের সংলাপ শেষে ক্ষমতা হস্তান্তরের রূপরেখা দেওয়ার কথা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরে এনসিপি।এ বিষয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, ‘বাংলাদেশে যখনই ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় হয়, তখন সরকারি দল, বিরোধী দল ও অন্যান্য দলের মধ্যে একটা সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ কারণে আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এবং ঐকমত্য কমিশনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের সুস্পষ্ট রূপরেখা দিয়েছি।’রূপরেখা তুলে ধরে দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য জাবেদ রাসিম বলেন, ‘ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল, সেখানে বিচারালয়কে টেনে এনে বিচারালয়কে রাজনীতিকরণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, আমরা এটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। আমরা বলেছি, রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমেই এই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার প্রশ্নের সমাধান করতে হবে।’এনসিপির রূপরেখা তুলে ধরে তিনি বলেন, সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ নিয়ে একটি ১১ সদস্যের সংসদীয় সর্বদলীয় কমিটি গঠন হবে। এই কমিটি সরকারি দল, বিরোধী দল ও অন্য সংসদ সদস্যদের তিনজন করে নাম প্রস্তাব করতে বলবে, যারা প্রধান উপদেষ্টা হতে পারেন।প্রস্তাবিত মোট নয়জনের নাম জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। সর্বদলীয় কমিটির ১১ জন সদস্য এই নয়জনের মধ্য থেকে প্রধান উপদেষ্টা বেছে নিতে ভোট দেবেন। আট/তিন ভোটে যিনি পাস করবেন তিনিই প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত হবেন।জাবেদ রাসিম বলেন, এই পদ্ধতিতে প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত করা সম্ভব না হলে আনুপাতিক ভোট পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠিত হলে ‘র্যাংক চয়েজ’ ভোট পদ্ধতিতে সেই নয়জন প্রার্থীর মধ্য থেকে একজনকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেব বেছে নেওয়া যাবে।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘মৌলিক’ সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা একটা পদ্ধতি দাঁড় করাতে চাই, শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের একটা প্রক্রিয়া আমরা ঠিক করতে চাই। ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় যে যুদ্ধাবস্থা, গৃহযুদ্ধের মত অবস্থা সৃষ্টি হয়, সেই অবস্থা যেন বিরাজ না করে সেই প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। তারা (ঐকমত্য কমিশন) বিবেচনা করবে বলেছেন।’সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের জন্য নিজেদের প্রস্তাব তুলে ধরে এনসিপি নেতা আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, ‘সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি স্বাধীন সীমানা পুনঃর্নিধারণ কমিশনের বিষয়ে প্রস্তাব রেখেছি। তারপরেও রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি বিশেষায়িত কমিটি হবে। যেটি সংবিধানের ১১৯ (১) গ এর অনুচ্ছেদে যুক্ত করা হবে। সে বিষয়টা ঐকমত্যের স্বার্থে পুনর্বিবেচনা করবো। সকল দলই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে একমত হয়েছে।’দুই দিন বিরতি দিয়ে গতকাল বুধবার আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসে ঐকমত্য কমিশন।এদিনের বৈঠকে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমার নিয়মে পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়।বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে কমিশনের সহসভাপতি জুলাই সনদ নিয়ে আশার পাশাপাশি হতাশা থাকলেও জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে ‘একটা সনদের জায়গায়’ পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের গড়া নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতোমধ্যে জুলাই সনদ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘প্রতিশ্রুতি’ রক্ষা করতে না পারার অভিযোগ এনেছে।দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, কোনো একটি পক্ষ যদি দলীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে তাহলে সরকারের উচিত ভয় না করে অন্য সকল পক্ষ ও সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে এ ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করা।’ভোরের আকাশ/জাআ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে দল হিসেবে বিএনপি যেকোনো বিষয়ে ছাড় দিতে প্রস্তুত। বিএনপি বড় একটি রাজনৈতিক দল। তাই গণতন্ত্রের ভিত্তিকে মজবুত করতে হলে আমাদেরও বড় দায়িত্ব নিতে হবে।বুধবার পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিলে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির সব শক্তির উৎস হলো জনগণ। আমাদের নীতি ও আদর্শকে সামনে রেখে জনগণের কাছে যেতে হবে। আমি দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি- জনগণের সঙ্গে থাকুন, তাদের পাশে থাকুন। কারণ জনগণই বিএনপির মূলশক্তি।’বর্তমান সরকারের গৃহীত সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘সরকার এখন সংস্কার নিয়ে কথা বলছে। অথচ এই যৌক্তিক সংস্কারের প্রথম প্রস্তাব বিএনপিই দিয়েছিল। বিএনপি যদি উদারতা না দেখাতো, তাহলে আজ যারা সংস্কারের কথা বলছে, তারা এতটা আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে পারত না।’তিনি আরও বলেন, ‘যখনই বাংলাদেশ কোনো সংকটে পড়েছে, বিএনপি তখনই শক্ত অবস্থান নিয়েছে। অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সরকারের অনুপস্থিতিতে দেশের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে বিএনপি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।’গণতন্ত্রের চর্চা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা শুধু রাষ্ট্রে নয়, দলের মধ্যেও গণতন্ত্র চর্চা করি। আমরা ভিন্নমতের প্রতি সম্মান দেখাই, শুনি এবং যৌক্তিক সমাধানের পথ খুঁজি। কারণ আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।’তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, ‘দলের সুনাম ও মর্যাদা রক্ষার বিষয়টি আমাদের সবার অগ্রাধিকার হতে হবে। যদি কেউ দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তাহলে কোনো ছাড় বা প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে কেউ যেন কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করতে না পারে, সেদিকে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার ও অধিকার রক্ষার প্রশ্নে বিএনপি সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।’ভোরের আকাশ/জাআ