ছবি: সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর নামে উত্তরা ও গোপালগঞ্জের জমি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তার নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের ১০ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজির আহমেদ।
এসব জমি জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত। জব্দ হওয়া জমির মধ্যে গোপালগঞ্জে ৪ শতাংশ ডোবা জমি, ১০ শতাংশ নাল জমি ও ঢাকার উত্তরায় রাজউকের বরাদ্দ পাওয়া ৩ কাঠা জমি রয়েছে। এ ছাড়া তার দুই হিসাবে রয়েছে ৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ও সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ৫৫ লাখ ৩২ হাজার ৮৮০ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন লিকু। এসব সম্পদ বর্তমানে তার নিজ দখলে রয়েছে। নিজের মালিকানাধীন সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন তিনি। তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাৎক্ষণিকভাবে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর নামে উত্তরা ও গোপালগঞ্জের জমি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তার নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের ১০ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করতে বলা হয়েছে।সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজির আহমেদ।এসব জমি জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত। জব্দ হওয়া জমির মধ্যে গোপালগঞ্জে ৪ শতাংশ ডোবা জমি, ১০ শতাংশ নাল জমি ও ঢাকার উত্তরায় রাজউকের বরাদ্দ পাওয়া ৩ কাঠা জমি রয়েছে। এ ছাড়া তার দুই হিসাবে রয়েছে ৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ও সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা।দুদকের আবেদনে বলা হয়, দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ৫৫ লাখ ৩২ হাজার ৮৮০ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন লিকু। এসব সম্পদ বর্তমানে তার নিজ দখলে রয়েছে। নিজের মালিকানাধীন সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন তিনি। তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাৎক্ষণিকভাবে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক ও ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্টের সাবেক জিওসি মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) হামিদুল হকের ৪টি ব্যাংক হিসেবে থাকা ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক নওশাদ আলী।দুদকের আবেদনে বলা হয়, হামিদুল হক ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টরা এসব টাকা উত্তোলন, হস্তান্তর ও স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।এর আগে, ২১ এপ্রিল হামিদুল হক ও তার স্ত্রী নূছরাত জাহান মুক্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন একই আদালত।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আদেশের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।সোমবার (৭ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী শুনানি করেন। এছাড়া এ মামলায় গ্রেফতার একমাত্র আসামি সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।এর আগে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।গত ১৬ জুন শেখ হাসিনা ও খান আসাদুজ্জামান খান কামালকে এক সপ্তাহের মধ্যে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল এবং ২৪ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।পরদিন ১৭ জুন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পত্রিকায় এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলবে।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। মামলার আরেক আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।গত ১ জুন শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। মামলার অপর দুই আসামি হলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী মামুন। একইসঙ্গে এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দায়েরকৃত ছয়টি দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।গত ৩ জুলাই ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব স্বাক্ষরিত গেজেটটি বিজি প্রেস থেকে প্রকাশ করা হয়।গেজেটে বলা হয়, তফসিলভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালতের ধারণা, তারা বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন এবং নিকট ভবিষ্যতে তাদের গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা নেই। তাই ক্রিমিনাল ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৫৮-এর ৬(১৩) ধারা অনুসারে আগামী ধার্য তারিখে (২০ জুলাই) আসামিদের আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম চলবে।এর আগে গত ১ জুলাই আদালত গেজেট প্রকাশের আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম। তিনি জানান, দুর্নীতির ছয়টি মামলায় গেজেট প্রকাশের নির্দেশ অনুযায়ী বিজি প্রেস থেকে তা প্রকাশিত হয়েছে।মামলাগুলোর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে ২০ জুলাই। নির্ধারিত তারিখে আসামিরা আদালতে উপস্থিত না হলে অনুপস্থিতিতেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান প্রসিকিউটর।২০২৪ সালের ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং এস এম রাশেদুল হাসান বাদী হয়ে পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করেন।এর মধ্যে ১৪ জানুয়ারি উপপরিচালক সালাহউদ্দিন শেখ হাসিনাসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও ৪ জনকে যুক্ত করে ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।একই দিনে এস এম রাশেদুল হাসান শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে আরও দুইজনকে যুক্ত করে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭ জন।১৩ জানুয়ারি সালাহউদ্দিন শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ১৭ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেন কেয়া।আফনান জান্নাত কেয়া ১৩ জানুয়ারি আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। তদন্তে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে আসামির সংখ্যা হয় ১৮।একই দিনে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে ১৮ জনের নামে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।সবশেষে ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ও শেখ পুতুলসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন কেয়া। তদন্তে আরও দুজন যুক্ত হয়ে মোট ১৮ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেওয়া হয়। মামলাটিতে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে ১৬ জনকে।দুদক বলছে, পূর্বাচল প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়া এবং সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।আসামিদের অনুপস্থিতির কারণে বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ায় গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত না হলে আইন অনুযায়ী অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে। ভোরের আকাশ//হ.র