ভারতের সরকারি দপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয়সহ হাজারো ওয়েবসাইট হ্যাকড
ভারতের সরকারি দপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয়, পুলিশসহ হাজারো ওয়েবসাইট হ্যাকড হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হ্যাকাররা দাবি করেছে, এটি বাংলাদেশের ওয়েবসাইট হ্যাকের প্রতিক্রিয়ায় এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।হ্যাকড ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে হরিয়ানা বিধানসভার সরকারি সাইটও রয়েছে। এসব সাইটে হ্যাকাররা ‘হ্যাকড বাই শেখ হাসিনা’ ব্যানার প্রদর্শন করেছে। এছাড়াও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পর ছাত্র-জনতার দেওয়া শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্নক স্লোগানও জুড়ে দিয়েছে হ্যাকাররা।হ্যাকড সাইটগুলিতে ভারতীয় হ্যাকারদের অবজ্ঞাসূচক মন্তব্যও রাখা হয়েছে। সতর্ক করে বলা হয়েছে, আর যদি কোনো বাংলাদেশি আইটি অবকাঠামো তাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়, তবে ভারতীয় সাইবার স্পেসকে নরক বানিয়ে দেওয়া হবে। হ্যাকাররা ভারতকে হুমকি দিয়ে বলেছে, ‘কোন দেশের ওয়েবসাইট সব চাইতে বেশি দুর্বল সেটা সবাই জানে।’গত কয়েক দিন ধরে ভারতীয় হ্যাকাররা বাংলাদেশের ওয়েবসাইটগুলোকে নিয়মিত আক্রমণ করছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এর প্রতিক্রিয়ায় প্রথমবারের মতো জবাব দিয়েছে বাংলাদেশের হ্যাকাররা।প্রমাণ হিসেবে হ্যাকাররা তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল ‘https://t.me/OpChaWala’-এ হ্যাকিংয়ের লিংকসহ পোস্ট দিয়েছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত লিংকগুলোতে হ্যাকের নোটিশ দেখা যাচ্ছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৩৪ এএম
হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার শেষ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ আজ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলার সর্বশেষ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে আজ রোববার।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ জবানবন্দির অংশবিশেষ ও জব্দকৃত ভিডিও প্রদর্শনী সরাসরি সম্পচার করা হবে।এদিন বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ৫৪তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করবেন এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।এর আগে, ঐতিহাসিক এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের পিতাসহ স্বজন হারা পরিবারের অনেকে। এছাড়া স্টার উইটনেস হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম শুনানি করছেন। সেই সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররা শুনানিতে উপস্থিত থাকেন।অন্যদিকে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। আর এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল। পরে এই মামলার রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫১ এএম
হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য, সরাসরি সম্প্রচার
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন।যেটি সরাসরি সম্প্রচার চলছে।এ মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তদন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক মো. জানে আলম খান। পরে তদন্ত করেন উপ-পরিচালক মো. আলমগীর (পিপিএম)। সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা। এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর গত ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে ৩১ মে সম্পূরক অভিযোগ দেওয়া হয়। ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়।গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে যে আবেদন করেছেন, তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৪৮ পিএম
দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা উচিত: নাহিদ ইসলাম
দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেলে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী মো. আমির হোসেন তার জেরার শেষের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।জেরার সময় নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন, যেহেতু শেখ হাসিনা দলের প্রধান, তাই তার রাজনৈতিক অপরাধের বিষয়ও আওয়ামী লীগের দলীয় অপরাধ হিসেবে ট্রাইব্যুনালে বিবেচনা করা উচিত।এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি পেশ করেছেন।শনিবার জেরা শুরু করেন এবং পরবর্তী জেরার দিন ধার্য করা হয় রোববার (২১ সেপ্টেম্বর)। জবানবন্দি শেষে নাহিদ ইসলামের জেরা সম্পন্ন হয়, যার মাধ্যমে মামলার প্রমাণ উপস্থাপন আরও দৃঢ় হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:০২ পিএম
শেখ হাসিনার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে ৪৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, যিনি প্রসিকিউশনের ৪৭তম সাক্ষী। বর্তমানে তাকে জেরা করছেন আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত কৌঁসুলি।আদালত সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ও জেরা চলবে। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেবেন এবং তার জেরা সম্পন্ন হলে মামলাটি যুক্তিতর্ক পর্যায়ে প্রবেশ করবে। এরপরই বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায়ের দিন ধার্য করবেন।সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের রায় ঘিরে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে উত্তাল হয়ে ওঠে শিক্ষাঙ্গন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সংগঠনগুলো সময় বেঁধে দেয় সরকারকে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সময়মতো কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের দাবিতে।পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালায়। এতে বহু প্রাণহানি, ২৫ হাজারের বেশি আহত এবং নির্বিচারে ধরপাকড় চালানো হয়।চূড়ান্ত গণআন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের মন্ত্রী, এমপি ও নেতারাও দেশ ছাড়েন। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু হয়।২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষে গত ১২ মে তিন জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।২০২৫ সালের ১০ জুলাই এ মামলায় বিচার শুরুর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ৩ আগস্ট। প্রথম সাক্ষী ছিলেন খোকন চন্দ্র বর্মন, যিনি ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন।আলোচিত এ মামলায় আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। ট্রাইব্যুনালে তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিকল্পনার অন্তর্গত তথ্য তুলে ধরেছেন বলে জানা গেছে।সাক্ষীরা ট্রাইব্যুনালে দাবি জানিয়েছেন, জুলাই গণআন্দোলনকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করা হোক।এ মামলার পরবর্তী ধাপ হলো যুক্তিতর্ক। এরপরই দেওয়া হবে বিচারিক রায়, যা হতে পারে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।ভোরের আকাশ/তা.কা
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:০৩ এএম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নাহিদ ইসলামের দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দিচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।এর আগে, গত বুধবার আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় আংশিক জবানবন্দি দিয়েছিলেন নাহিদ ইসলাম।জবানবন্দিতে নাহিদ বলেন, গত বছরের ১৪ জুলাই শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা এবং রাজাকারের নাতিপুতি অ্যাখ্যা দিয়ে কোটাপ্রথার পক্ষে অবস্থান নেন। মূলত এই বক্তব্যের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণের একটি বৈধতা দেয়া হয়। কারণ, তারা সবসময় দেখেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ন্যায্য আন্দোলন করা হলে তাদের রাজাকারের বাচ্চা আখ্যা দিয়ে আন্দোলনের ন্যায্যতা নস্যাৎ করা হতো।তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের রাজাকারের বাচ্চা এবং রাজাকারের নাতিপুতি আখ্যায়িত করায় সারাদেশের ছাত্রছাত্রীরা অপমানিত বোধ করেন। সেই রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদমুখর হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ বলেন, ১৫ জুলাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, আন্দোলন ঠেকাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট। এর পরদিন (১৬ জুলাই) আমরা দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেই। ওইদিন পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ শহীদ হন। এছাড়া চট্টগ্রামের ওয়াসিমসহ সারাদেশে ছয়জন শহীদ হন। ১৭ জুলাই ডিজিএফআই বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে সরকারের সঙ্গে সংলাপের জন্য আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে।তিনি আরও বলেন, ১৭ জুলাই রাতে দেশব্যাপী কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ জুলাই সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসেন। বিশেষত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা সেদিন রাজপথে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। আন্দোলনের নেতাদের জীবন হুমকির মুখে পড়ে এবং গ্রেফতার এড়াতে তারা আত্মগোপনে চলে যান। সেদিন সারা দেশে অনেক ছাত্র-জনতা আহত ও নিহত হন। সেদিন রাতে সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়। একইভাবে ১৯ জুলাই পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার গুলি চালায়। এদিনও অনেক ছাত্র-জনতা আহত ও নিহত হন।জবানবন্দিতে এনসিপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ১৯ জুলাই তারা বুঝতে পারি সরকার ইলেকট্রনিক মিডিয়া সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তাদের আন্দোলনের ও হতাহতদের কোনো খবর কোনো মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছিল না।এদিন দুপুরে মামলার ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জবানবন্দির জেরা শেষ করা হয়। গত সোমবার ও মঙ্গলবারও তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও অন্য দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সাক্ষ্যগ্রহণের সময় তিনি ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।জানা যায়, নাহিদ ইসলামের জবানবন্দির মাধ্যমে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সাক্ষী উপস্থাপন শেষ হবে। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। এর মধ্য দিয়ে মামলার শুনানি সমাপ্তির দিকে যাবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:০৪ পিএম
অগ্রণী ব্যাংকে থাকা শেখ হাসিনার দুই লকার জব্দ
অগ্রণী ব্যাংকে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকার জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গোপন খবরের ভিত্তিতে এই লকার জব্দ করা হয়।এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখার ৭৫১ ও ৭৫৩ নম্বর লকার দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এনবিআরের গোয়েন্দা সেলের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বৃহত্তর তদন্তের স্বার্থে শেখ হাসিনার লকার ও হিসাব জব্দ করা হয়েছে। লকারে স্বর্ণালংকারসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি থাকতে পারে। তবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই লকার জব্দ করা হয়েছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় থাকা আরেকটি লকার জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিশেষায়িত ইউনিট কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণ হবে আজ।জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণ হবে আজ।মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।এর আগে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে বিকাল পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। তবে শেষ না হওয়ায় অবশিষ্ট সাক্ষ্য ও জেরার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর এ মামলায় সাক্ষ্য দেবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর ১৪তম দিনের মতো এ মামলায় ছয়জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ রেকর্ড করেছেন ট্রাইব্যুনাল। ৮ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দেন তিনজন।গত ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন এ মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার জেরা শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালানো হয়েছে জানিয়ে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। একইসঙ্গে অজানা অনেক তথ্য ট্রাইব্যুনালের সামনে এনেছেন। ১ সেপ্টেম্বর দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। এদিন জবানবন্দি দিয়েছেন ছয়জন। এর মধ্যে চিকিৎসক-সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন।সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। আর এসবের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা।গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।ভোরের আকাশ/তা.কা
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:০০ এএম
মুজিব-হাসিনা দুজনেই সেনাবিদ্বেষী ছিলেন: মাহমুদুর রহমান
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারিবারিকভাবে সেনাবিদ্বেষী ছিলেন। তিনি ও তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান দুজনেই সেনাবিদ্বেষী ছিলেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।ট্রাইব্যুনালে তিনি বলেন, পিলখানায় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নির্মমভাবে হত্যার পর শেখ হাসিনা বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পদক্ষেপ নেন।এদিন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিচ্ছেন মাহমুদুর রহমান। তিনি এ মামলার ৪৬তম সাক্ষী।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিচ্ছেন সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান। এছাড়া আলোচিত এ মামলায় এদিন সাক্ষ্য দেবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) এ মামলায় ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল মাহমুদুর রহমান ও নাহিদ ইসলামের। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে তারা ওইদিন আসতে না পারায় ট্রাইব্যুনালের কাছে সময় চাওয়া হয়। পরে আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।এর আগে, ৯ সেপ্টেম্বর ১৪তম দিনের মতো এ মামলায় ছয়জন সাক্ষ্য দেন। এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল মোট ৪৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর তিনজন সাক্ষ্য দেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:৩৭ পিএম
পূবালী ব্যাংকে থাকা শেখ হাসিনার লকার জব্দ
অভ্যুত্থানের মুখে দেশত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি লকার জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে পূবালী ব্যাংক মতিঝিল শাখায় থাকা লকারটি জব্দ করা হয়।সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবীব এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে পূবালী ব্যাংকের সেনা কল্যাণ ভবনে অবস্থিত একটি লকারের সন্ধান পাওয়া গেছে (লকার নং-১২৮)। এই লকারের দুইটি চাবির মধ্যে একটি শেখ হাসিনার কাছে রয়েছে। সিআইসির একটি টিম লকারটি জব্দ করেছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।এনবিআর সূত্রে জানা যায়, লকারে স্বর্ণালংকারসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি থাকতে পারে। তবে এখনই বলা যাবে না। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই লকার জব্দ করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে লকার খোলা হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২৭ পিএম
শেখ হাসিনার পতন মানে মুক্তিযুদ্ধের পতন নয়: কাদের সিদ্দিকী
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, শেখ হাসিনার পতন মানে মুক্তিযুদ্ধের পতন নয়, বঙ্গবন্ধুর পতন নয় এবং স্বাধীনতার পতন নয়। কিন্তু এই বিষয়টি অনেকেই বুঝতে চাইছেন না।সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে পূর্ব ঘোষিত কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের জরুরি সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।তিনি বলেন, আমার বাড়ি ধ্বংস করে দিয়ে যদি দেশে শান্তি হয় আমি তাতেই রাজি। এখন আমার বয়স ৮০ বছর, আমি চলে যেতে পারলেও খুশি হবো।কাদের সিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, যারা ২৪ শে বিজয়ী হয়েছেন, তারা যদি ব্যর্থ হন, ভবিষ্যতে যদি কেউ স্বৈরাচার হয়ে ওঠে, সাধারণ মানুষ তখন আর রুখে দাঁড়াবে না- এটাই আমার ভয়।টাঙ্গাইলের বাসাইলে ১৪৪ ধারা জারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মিটিংয়েও বাধা দেওয়া হচ্ছে। অথচ এই দেশ মুক্তিযোদ্ধারাই পয়দা করেছেন। সরকারের উচিত ছিল দেশে সুন্দর স্মৃতি ফিরিয়ে আনা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা।তিনি আরও বলেন, আমার বাসায় আক্রমণ করা হয়েছে। যদি এটা সম্ভব হয়, তবে সবার বাসায় আক্রমণ করা সম্ভব। কারো নিরাপত্তা নেই। দেশ যদি পাকিস্তান হয়ে যেত, আমি পাকিস্তান ভেঙেছিলাম বলে আইন অনুযায়ী আমার ফাঁসি হতো। তাতেও আমার আপত্তি থাকত না। এখনো নেই। তাই বলছি দেশে আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই।ভোরের আকাশ/জাআ