শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ রোববার: চিফ প্রসিকিউটর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আগামীকাল রোববার দাখিল করা হবে।শনিবার (৩১ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে ‘গুমের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে বিচার কর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তাজুল ইসলাম এ কথা জানান।তাজুল ইসলাম বলেন, বিচারের কাজ পুরোদমে এগোচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ করতে যুক্তিসংগত সময় লাগবে।১০ থেকে ১৫টি উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জুন মাসের মধ্যে প্রতিবেদনগুলো পাওয়া যাবে।চিফ প্রসিকিউটর বলেন, অপরাধের কাঠামো এবং অপরাধী সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মোটাদাগে তথ্য চিহ্নিত করতে পেরেছে। তবে গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কিছুটা বাধা থেকে গেছে। গ্রেফতার নিশ্চিতের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। বিচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রক্ষা করা, মানবাধিকার রক্ষা করা, বিচারের নামে অবিচার যাতে না হয়, যেগুলো অতীতে হয়েছে, সেগুলো যেন না হয়, সে বিষয়ে তাঁরা সতর্ক রয়েছেন।এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারান এই আন্দোলনে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৩১ মে ২০২৫ ০৩:১০ পিএম
শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি
গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নোটিশ জারি করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আগামী ৩ জুন সকাল ১০টায় ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বলা হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) দুটি জাতীয় পত্রিকায় এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’- এমন একটি অডিও বক্তব্যের ফরেনসিক বিশ্লেষণে এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠ বলে প্রমাণ পায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থা।এর প্রেক্ষিতে ভারত থেকে বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করা এবং হুমকির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনে তারা। এই অভিযোগে গতকাল রোববার শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।উল্লেখ্য, ‘২২৭টি মামলা হয়েছে, ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’- শেখ হাসিনার দেওয়া এমন অডিও বক্তব্যের প্রমাণ পেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারীরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৭ মে ২০২৫ ০২:০৫ এএম
পদত্যাগ করাতে হাসিনার পা ধরেছিলেন রেহানা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করাতে পা জড়িয়ে ধরেছিলেন তারই ছোট বোন শেখ রেহানা। গণভবনে গিয়ে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন শেখ রেহানা। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা এক তদন্ত প্রতিবদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল ওই প্রতিবেদন পাঠ করেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।জুলাই অভ্যুত্থানের সময় গত বছর ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে গুলি করে ছয়জনকে হত্যার ঘটনার মামলায় বিচারের জন্য দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগের (ফরমাল চার্জ) স্বপক্ষে এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল রোববার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন-বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।এদিকে আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনা ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলকে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।গতকাল ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের সামনে চানখাঁরপুলে গুলি করে ছয়জনকে হত্যার ঘটনার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শেষ সময়েও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং আরও রক্তপাতের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার আগে ৪ আগস্ট সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের চাপ দিয়েছিলেন তিনি। তবে পরিস্থিতি যে একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে, সেটা তিনি কিছুতেই মানতে চাচ্ছিলেন না। ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, আছাদুজ্জামান খান কামাল তাকে পদত্যাগ করতে না করেছিলেন। শেখ হাসিনা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পরিবারের সদস্যরা তাকে বোঝানোর পর তিনি পদত্যাগে রাজি হন। এরপর দ্রুততম সময়ে পদত্যাগ করে শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে সামরিক হেলিকপ্টারে গোপনে দেশ ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা।’হাসিনার বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এখনও তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন। সেখান থেকে বিভিন্ন সময়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলছেন। আর সেই কথার অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে।এরকমই একটি রেকর্ডে একজনের সঙ্গে কথোপকথনের এক পর্যায়ে একটি নারীকণ্ঠকে বলতে শোনা যায়, সারা দেশে তার নামে ২২৬টি হত্যা মামলা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি ২২৬টি হত্যার লাইসেন্স পেয়েছেন। কারণ, একটি হত্যা মামলায় যে সাজা, দুইশ’র বেশি হত্যা মামলায়ও সেই সাজা। অভিযোগ ওঠে ওই বক্তব্য শেখ হাসিনার। এরপর তা ট্রাইব্যুনালে নজরে আনা হয়।ট্রাইব্যুনালে নির্দেশে অডিও রেকর্ডের বক্তব্যটি শেখ হাসিনাই তা সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত করা হয়। এর ভিত্তিতে গত ৩০ এপ্রিল শেখ হাসিনা এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উত্থাপন করে প্রসিকিউশনপক্ষ।বলা হয়, এই বক্তব্যের মাধ্যমে আসামি শেখ হাসিনা বিচারপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি ওই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে পুলিশ ও মামলার সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও শাকিলকে ১৫ মে’র মধ্যে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দেওয়ায় দুই আসামিকে ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। তবে তারা হাজির হননি। এমন পরিস্থিতিতে তাদের ৭ দিনের মধ্যে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি করতে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৩ জুন দিন ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল।গত বছর ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিন বাহিনীর প্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ডাকা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী কেন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না, সেটার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আন্দোলনকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁজোয়া যানে উঠে লাল রং দিয়ে দিচ্ছেন, সামরিক যানে পর্যন্ত উঠে পড়ছেন- এরপরও কেন তারা কঠোর হচ্ছে না, সেটা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা আইজিপিকে দেখিয়ে বলেন, তারা (পুলিশ) তো ভালো করছে। তখন আইজিপি বলেন, পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গেছে, তাতে পুলিশের পক্ষেও আর বেশি সময় এ রকম কঠোর অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব নয়। ওই সময়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, বলপ্রয়োগ করে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না।কিন্তু শেখ হাসিনা সেটা মানতে চাচ্ছিলেন না। তখন কর্মকর্তারা শেখ রেহানার সঙ্গে আরেক কক্ষে আলোচনা করেন। তাকে পরিস্থিতি জানিয়ে শেখ হাসিনাকে বোঝাতে অনুরোধ করেন। শেখ রেহানা এরপর বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন। পা জড়িয়ে ধরে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বলেন তিনি। কিন্তু তিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে অনড় থাকেন। একপর্যায়ে বিদেশে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।এরপর জয় তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। রাজি হয়ে যান পদত্যাগে। তিনি তখন একটা ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন জাতির উদ্দেশে প্রচারের জন্য। ততক্ষণে গোয়েন্দা তথ্য আসে যে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা শাহবাগ ও উত্তরা থেকে গণভবন অভিমুখে রওনা হয়েছে। দূরত্ব বিবেচনায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে শাহবাগ থেকে গণভবনে আন্দোলনকারীরা চলে আসতে পারে বলে অনুমান করা হয়।ভাষণ রেকর্ড করতে দিলে গণভবন থেকে বের হওয়ার সময় নাও পাওয়া যেতে পারে। এরপর ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে হেলিপ্যাডে আসেন শেখ হাসিনা। সেখানে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেলা আড়াইটার দিকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে ছোট বোনসহ ভারতের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেন শেখ হাসিনা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৬ মে ২০২৫ ০৭:৫৪ পিএম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমানকে এ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৮ মে) সংস্থাটির উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমানকে এ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।দুদক জানায়, সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জরিসহ শেখ হাসিনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব খতিয়ে দেখবে দুদকের অনুসন্ধানকারী দল। একইসঙ্গে আয়কর নথির সঙ্গে বাস্তবে তার সম্পদের হিসাব মিলিয়ে দেখা হবে।এর আগে, প্লট জালিয়াতি, বিদেশে অর্থ পাচার, প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের একাধিক অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরই মধ্যে পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতির মামলায় চর্জশিট দাখিল করা হয়েছে। ফলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।এ ছাড়া বিমানবন্দরে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে লুটপাটের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করতে যাচ্ছে দুদক।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৮ মে ২০২৫ ১১:১৫ পিএম
আ.লীগ সরকারের করা চুক্তিতে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হাসিনাকে: দুদক চেয়ারম্যান
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে করা চুক্তির মাধ্যমেই শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন। বুধবার (১৪ মে) সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেন, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছে; দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেবে দুদক।দুদক চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিক, দুইজনকেই দেশে ফেরাতে কমিশন কাজ করছে।শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়েছিল ২০১১ সালে। সে চুক্তির আওতায় তাকে ফেরত আনা সম্ভব। আমরা আদালতের আদেশ অনুযায়ী কাজ করব। ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সুবিধা গ্রহণের অভিযোগে টিউলিপকে এদিন সকাল ১০টায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক। তবে তিনি হাজির হননি।এ প্রসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক হাজির না হওয়ায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছেন।তিনি বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নিয়ম অনুযায়ী সবাই পেয়ে থাকেন। কেউ উপস্থিত না হলে আন্তর্জাতিকভাবে যেটি প্রযোজ্য, সেটি অনুসরণ করা হবে।তিনি আরও বলেন, যদি আমরা স্বাভাবিকভাবে তাকে না পাই, কিংবা তিনি যদি বিদেশি নাগরিক হন অথবা পলাতক থাকেন, তাহলে অবশ্যই তাকে ‘অ্যাবস্কন্ডিং’ [পলাতক] হিসেবে বিবেচনা করব। সেক্ষেত্রে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারকে জানানো হবে। এরপর পদ্ধতিগতভাবে তাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চালানো হবে, বলেন তিনি।এর আগে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভাগনি ব্রিটেনের সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছিল দুদক।প্রসঙ্গত, গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতি করে রাজউকের আবাসন প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করেছে দুদক।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৫ মে ২০২৫ ০৭:০৮ এএম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলার তদন্ত শেষ
গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে।রোববার (১১ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, তদন্ত সংস্থা আগামী সোমবার চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।প্রসঙ্গত, প্রথমে শুধুমাত্র শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলেও পরবর্তীতে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিকে। তদন্ত প্রতিবেদন জমার পর চিফ প্রসিকিউটরের পর্যালোচনার ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।এর আগে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গত শুক্রবার (৯ মে) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানান, তদন্ত প্রতিবেদন সোমবার দাখিল করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল এই মামলার তদন্ত শেষ করতে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। তবে সময়সীমা তিন দফা বাড়ানোর পর সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল আরও দুই মাস সময় বৃদ্ধি করে আগামী ২৪ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। একটি মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সাড়ে ১৫ বছরে সংঘটিত গুম ও খুনের ঘটনায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অপর মামলাটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে এটি ছিল প্রথম মামলা। ভোরের আকাশ/ হ.র
১২ মে ২০২৫ ১০:০৫ এএম
শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয়েছে। রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে পৃথক তিনটি ধাপে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। শনিবার (১৯ এপ্রিল) পুলিশ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।শেখ হাসিনা ছাড়া আরও যাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে, তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৪৬ পিএম
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: শেখ হাসিনা ও জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা পৃথক দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মামলার অভিযোগ পত্র আমলে গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।এর মধ্যে এক মামলায় ১২ জন ও অন্য মামলায় ১৭ জন আসামি। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএএ আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সদস্য (উন্নয়ন) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক কামরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, পরিচালক নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য শফি উল হক।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৩৯ পিএম
বন্দি বিনিময় চুক্তিতে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ভারতের সাথে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের যে ক্রিমিনাল হ্যান্ডওভার চুক্তি আছে, সেই চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া অস্ত্রগুলো উদ্ধার হলে পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হবে।দেশে মব নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেখানেই মব হচ্ছে সেখানেই এ্যাকশনে যাচ্ছি আমরা। যারা ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। ভবিষ্যতে যদি কেউ মব করতে চায় তাহলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।এ সময় সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক ড. ইলিয়াস মিয়া, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সমর কুমার পাল, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহা ও শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম আলীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১১ এপ্রিল ২০২৫ ০২:০৬ এএম
শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের দেওয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অপর ১৬ আসামি হলেন-জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপ-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচলে হাসিনা পরিবারের জন্য ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় এ মামলা করা হয়। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে গঠিত কমিশনের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা।মামলায় বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দ প্রদান ও গ্রহণ করেন। যা দুর্নীতি হিসেবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্লট বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় জড়িতদের বিরুদ্ধেও পর্যায়ক্রমে মামলা করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১০ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৫৮ পিএম
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ১৬ কোটি টাকা ফ্রিজের আদেশ
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন রেহানা সিদ্দিক এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ১৬ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।বুধবার (৯ এপ্রিল) তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন।আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানকালে দেখা যায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, তার ছোট বোন রেহানা সিদ্দিক ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বর্ণিত অ্যাকাউন্টের অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ওই অ্যাকাউন্টটি অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক। শুনানি শেষে বিচারক আবেদনটি মঞ্জুর করে ব্যাংক হিসাবটি ফ্রিজ করার আদেশ দেন।এর আগে, শেখ হাসিনা পরিবারের প্লটসহ বিভিন্ন সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত।ভোরের আকাশ/এসএইচ