ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫ ০১:০৭ এএম
ছবি: সংগৃহীত
দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোগত সেবাদাতা সংস্থা ইডটকো বাংলাদেশ সম্প্রতি পরিচ্ছন্ন যানবাহন ও জ্বালানি উদ্ভাবনের পথিকৃৎ টাইগার নিউ এনার্জি লিমিটেডের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে সারাদেশে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা এবং সকলের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই অংশীদারিত্ব টেলিকম অবকাঠামোতে প্রচলিত জ্বালানির পরিবর্তে একীভূত নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা করছে। এটি শুধু নিরবচ্ছিন্ন টেলিকম পরিষেবা নিশ্চিত করবে না, বরং কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে এবং সবার জন্য জ্বালানির সমান সুবিধা নিশ্চিত করে দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও ভূমিকা রাখবে।
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, উভয় প্রতিষ্ঠান একসাথে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন উদ্ভাবনী পরিষেবা চালু করবে। যেমন- ব্যাটারি ব্যাকআপ সিস্টেম, সোয়াপিং স্টেশন এবং চার্জিং স্টেশন সিস্টেম। এসব উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানো এবং বৃহত্তর জনগণের জন্য জ্বালানি ব্যবস্থার সুযোগ বাড়ানো। এটি ইডটকোর টেকসই উপায়ে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক সংযোগ নিশ্চিতকরণ এবং সকলকে ক্ষমতায়নের অঙ্গীকারের অংশ।
চুক্তির আওতায় নেওয়া উল্লেখযোগ্য উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাটারি-এজ-আ-সার্ভিস (বিএএএস), এটি হলো সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক ব্যাটারি ব্যাকআপ সিস্টেম, যা গ্রিডে বিদ্যুৎ না থাকলেও টেলিকম টাওয়ারে নিরবচ্ছিন্নবিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করবে। ফলে নেটওয়ার্ক সংযোগ সবসময় একইরকম থাকবে।
আরও রয়েছে ব্যাটারি সোয়াপিং স্টেশন (বিএসএস)। এর মাধ্যমে ইডটকোর টাওয়ার সাইটগুলোতে স্থাপিত সোয়াপ পয়েন্ট, যা বৈদ্যুতিক যানবাহন, বিশেষ করে দুই ও তিন চাকার বাহনের চলাচলকে সহজতর করবে, চার্জিংয়ের সময় কমাবে এবং শেয়ারযোগ্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবস্থার সহায়ক হবে।
এছাড়াও রয়েছে ব্যাটারি চার্জিং স্টেশন সিস্টেম (বিসিএসএস)। সহজে ব্যবহারযোগ্য চার্জিং পয়েন্ট, যা রিকশা ও ইজিবাইকের মতো বাহনগুলোকে বিদ্যুৎ চার্জ দেওয়ার সুযোগ দেবে, যা সকলের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানিকে সহজলভ্য করে তুলবে।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নেওয়া এই ধরনের উদ্যোগ ইডটকোর টেকসই টেলিকম অবকাঠামোর নেতৃত্বকে আরও জোরদার করছে। অবকাঠামোকে পরিবেশগত দায়িত্বের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের জন্য একটি সহনশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং জলবায়ু-সচেতননেটওয়ার্ক সংযোগ যুগের সূচনা করছে।
ভোরের আকাশ/জাআ