ফাইল ছবি
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৪০৬ জন নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৫২ জন মারা গেছেন।
বুধবার (৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বরিশাল বিভাগে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগজুড়ে ৯৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৮ জন ছাড়াও ঢাকা বিভাগে ৬৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৬ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩১ জন, রংপুর বিভাগে ৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। পাশাপাশি এই সময়ে ডেঙ্গুতে বরিশাল বিভাগে ১৪ জন ছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পাঁচজন, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে চারজন করে ৮ জন, রাজশাহী বিভাগে দুজন এবং ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগে একজন করে মোট দুজন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
স্বতন্ত্র ইউনানি-আয়ুর্বেদিক কাউন্সিল গঠনের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে করেছেন সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেবা ভবন ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। সকাল ১০টা থেকেই অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।আন্দোলনে নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও যুক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।শিক্ষার্থী মো. শহীদুজ্জামান সুমন বলেন, তিন দিনেও সরকারের পক্ষ থেকে কেউ এসে কথা বলেননি। এটি কেবল রেজিস্ট্রেশনের নয়, বরং সম্মান ও ভবিষ্যতের প্রশ্ন। আনিকা তাবাসসুম বলেন, ক্লাস, পরীক্ষা ও ভবিষ্যতের ঝুঁকি নিয়েও তারা রাজপথে রয়েছেন, এটি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়-বরং তাদের পেশাগত অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন।আন্দোলনের পটভূমিতে রয়েছে গত ৩০ জুন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-২ শাখা থেকে পাঠানো একটি অফিস আদেশ, যা শিক্ষার্থীদের মতে, একতরফা, পক্ষপাতদুষ্ট এবং নীতিবিরোধী। এতে ইউনানি-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতির রেজিস্ট্রেশন, উচ্চশিক্ষা ও চাকরির সুযোগ হুমকির মুখে পড়বে বলে দাবি করা হচ্ছে।গত ৭ জুলাই থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাওয়ের মাধ্যমে শুরু হয় আন্দোলন। ৮ জুলাই প্রধান ফটক অবরোধ করা হয়, আর বুধবার সরাসরি ‘সেবা ভবন’ ঘেরাওয়ের মাধ্যমে চাপ বাড়ান আন্দোলনকারীরা।তারা জানিয়েছেন, দাবি মানা না হলে আন্দোলন চলবে, প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৪০৬ জন নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৫২ জন মারা গেছেন।বুধবার (৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বরিশাল বিভাগে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগজুড়ে ৯৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৮ জন ছাড়াও ঢাকা বিভাগে ৬৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৬ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩১ জন, রংপুর বিভাগে ৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। পাশাপাশি এই সময়ে ডেঙ্গুতে বরিশাল বিভাগে ১৪ জন ছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পাঁচজন, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে চারজন করে ৮ জন, রাজশাহী বিভাগে দুজন এবং ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগে একজন করে মোট দুজন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন।২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফুসফুস শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা শ্বাসপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে দেয়। দূষণ, ধূমপান, ভাইরাস বা সংক্রমণজনিত কারণে এই অঙ্গটি সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে কোভিড-পরবর্তী সময়ে ফুসফুসের যত্ন নেওয়া হয়ে উঠেছে আরও গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত যত্ন ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস ফুসফুসকে রাখবে পরিষ্কার ও কার্যকর।ফুসফুস সুস্থ রাখতে যেসব প্রাকৃতিক উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে:১. মধু সেবন করুনমধুতে প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক ও প্রদাহনাশক উপাদান রয়েছে, যা ফুসফুস পরিষ্কার করতে সহায়ক। প্রতিদিন সকালে এক চা চামচ মধু খাওয়া উপকারে আসবে।২. ভিটামিন সি গ্রহণ বাড়ানভিটামিন সি শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি ফুসফুসে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ায় এবং জীবাণু প্রতিরোধ করে। পেয়ারা, আমলকি, কমলা, লেবু, আপেল ইত্যাদি ফল খেতে পারেন নিয়মিত।৩. সূর্য থেকে ভিটামিন ডি নিনভিটামিন ডি-এর অভাবে শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বাড়ে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। প্রতিদিন কিছুটা সময় রোদে থাকলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়া ডিম, দুধ, মাছ ও দইতেও এই ভিটামিন পাওয়া যায়।৪. ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খানআখরোট, কাজু, পেস্তা ও সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৩। এগুলো ফুসফুসে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় ও প্রদাহ কমায়।৫. তুলসী পাতা ব্যবহার করুনতুলসী পাতায় রয়েছে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা বাতাসের দূষণজনিত ক্ষতি থেকে ফুসফুসকে সুরক্ষা দেয়। তুলসীর রস পান করা বা পানিতে ফুটিয়ে খাওয়া উপকারী।৬. রসুনের গুণাগুণ ব্যবহার করুনরসুনে থাকা সেলেনিয়াম ও অ্যালিসিন উপাদান ফুসফুসের সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করে। নিয়মিত রসুন খাওয়া শ্বাসপ্রশ্বাসের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।৭. কালোজিরার মিশ্রণ খানকালোজিরার গুঁড়ো ও মধু একসঙ্গে খেলে ফুসফুসে জমে থাকা শ্লেষ্মা দূর হয় এবং প্রদাহ কমে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।৮. নিয়মিত ব্যায়াম করুনশরীরচর্চা শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখে। এরোবিক্স, ইয়োগা ও কার্ডিও ধরনের ব্যায়াম ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।৯. গ্রিন টি পান করুনসবুজ চায়ে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্ল্যাভিনয়েড ফুসফুসকে টক্সিন মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক বা দুই কাপ গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে।১০. সামুদ্রিক মাছ রাখুন খাদ্যতালিকায়সামুদ্রিক মাছ যেমন টুনা বা সালমনে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে সহায়ক।১১. হলুদের ব্যবহার বাড়ানহলুদের কারকিউমিন নামক উপাদান দেহের কোষগুলোকে দূষণ থেকে রক্ষা করে। কাঁচা হলুদের রস মাখন বা ঘির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায় বিশেষ করে সর্দি-কাশিতে।উপসংহার:ফুসফুসের যত্নে কোনো একক উপায় যথেষ্ট নয়। তাই খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও দূষণমুক্ত জীবনযাপন মিলিয়েই গড়ে তুলুন আপনার শ্বাসপ্রশ্বাসের সুরক্ষা। নিয়মিত এসব চর্চা করলে দীর্ঘমেয়াদে উপকার মিলবেই। ভোরের আকাশ/হ.র
রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। প্রতিদিন বাড়ছে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৯২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার (৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৫৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৬৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে (ডিএনসিসি) ৩৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে (ডিএসসিসি) ৫৩ জন, খুলনা বিভাগে ৫৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬১ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট বিভাগে একজন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।এদিকে, গত একদিনে সারাদেশে ৪১১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ১১ হাজার ৪০৯ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১২ হাজার ৭৬৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় ও পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ