সংগৃহীত ছবি
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভাইজ।
বুধবার (৯ই জুলাই) বিকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা জানান, গণমাধ্যম সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যা নিরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কারে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া, সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রণয়নের কাজ চলছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ জারি করা হবে। গণমাধ্যম-বিষয়ক আরও কিছু সংস্কার কার্যক্রম আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই। সংবাদপ্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীন। সাক্ষাতে উপদেষ্টা আরও জানান, গণমাধ্যমপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয় আচরণবিধি প্রণয়নেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক কনসালটেন্ট লিনা ফক্স উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় প্রতীক ‘শাপলা’কে আর কোনো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় নীতিগতভাবে এই প্রতীক তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।বুধবার (৯ জুলাই) রাতে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘নতুন প্রস্তাবিত প্রতীক তালিকায় শাপলা রাখা হচ্ছে না। নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে আমাদের সিডিউলভুক্ত হচ্ছে না। আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’জানা গেছে, নাগরিক ঐক্য তাদের পুরনো প্রতীক ‘কেটলি’ পরিবর্তে ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়ে আবেদন করে। একইভাবে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-ও দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ দাবি করে নিবন্ধনের সময়। এই দ্বিমুখী দাবির মধ্যেই শাপলা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক হওয়ায় নির্বাচন কমিশন মনে করে, এটি কোনো রাজনৈতিক দলকে দেওয়া উচিত নয়। কমিশনার মাছউদ বলেন, ‘সংবিধানে জাতীয় প্রতীক ও জাতীয় পতাকার কথা বলা হয়েছে। এ দুটোর মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য আইন ও বিধিমালা আছে। সেগুলো মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”আগামী ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসি এবার প্রতীকের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। আগের ৬৯টি থেকে এবার কমপক্ষে ১১৫টি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার চিন্তা করছে কমিশন। এ লক্ষ্যে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিল সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে ভেটিংয়ের জন্য।কমিশনের সূত্র জানায়, তফসিলে ‘শাপলা’ থাকবে না—এই সিদ্ধান্ত এখন চূড়ান্ত। কারণ এটি জাতীয় প্রতীক এবং সেটিকে রাজনৈতিক প্রতীকে পরিণত করা সংবিধানের ভাবনার পরিপন্থী।ভোরের আকাশ/জাআ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংস্কারসহ সব প্রস্তুতি শেষ হলে রোজার আগেই জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ জন্য তিনি আগামী মাসগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও কঠোর হতে বলেছেন।প্রেস সচিব আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৮ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্যকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
জুলাই আন্দোলন স্মরণে সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে আগামী ১৮ জুলাই গ্রাহকদের বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।বুধবার (৯ জুলাই) অপারেটরদের এই নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।এতে বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস পালন, জন আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং জনস্বার্থে ১৮ জুলাই ফ্রি ইন্টারনেট ডে ঘোষণা উপলক্ষ্যে গ্রাহকদের ফ্রি ইন্টারনেট দেওয়ার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নির্দেশনা এবং গত ৮ জুলাই কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মোবাইল অপারেটরা আগামী ১৮ জুলাই গ্রাহকদের ৫ দিন মেয়াদি ১ জিবি ফ্রি ডাটা দেবে। এ ছাড়া অপারেটরগুলো গ্রাহকদের ফ্রি ডাটা দেওয়ার বিষয়টি এসএমএসের মাধ্যমে আগেই অবহিত করবে।এসএমএসটি সম্পর্কে বিটিআরসি জানায়, কেউ কেড়ে নেবে না ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা। জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ১৮ জুলাই পাচ্ছেন ১ জিবি ডাটা ফ্রি। মেয়াদ ৫ দিন।বিটিআরসি অপারেটরদের এই পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এবং দিবসটি পালনে সহায়তা করতে অনুরোধ করেছে।ভোরের আকাশ/জাআ
বিনামূল্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুরুতর আহতদের জন্য ঢাকায় ফ্ল্যাট দিতে প্রকল্প হাতে নিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। আহতদের জন্য ১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা টাকা ব্যয়ে দেড় হাজারের বেশি ফ্ল্যাট তৈরি করা হবে। জানা গেছে, মিরপুর ৯ নম্বরে সরকারি জমিতে এসব ফ্ল্যাট তৈরি করবে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে ফ্ল্যাটের নকশাও তৈরি করেছে সংস্থাটি। সরকারের কোষাগার থেকে ফ্ল্যাট নির্মাণের টাকা দেওয়া হবে।নকশায় দেখা যাচ্ছে, এসব ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ১ হাজার ২৫০ বর্গফুট। প্রতিটি ফ্ল্যাটে দুটি শয়নকক্ষ (বেডরুম), একটি ড্রয়িংরুম (বসার ঘর), একটি লিভিং রুম (বিশ্রাম ঘর), একটি খাবার কক্ষ, রান্নাঘর ও তিনটি শৌচাগার বা টয়লেট থাকবে। একটি কক্ষ থাকবে শুধু আহত ব্যক্তির জন্য, যিনি পঙ্গু বা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। ওই কক্ষে তাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে।এ বিষয়ে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নুরুল বাসির বুধবার (৯ জুলাই) গণমাধ্যমকে জানান, ভবন নির্মাণে সব মিলিয়ে চার বছর সময় লাগবে। ফ্ল্যাট কারা পাবেন সেটি পরে নির্ধারিত হবে। এখন অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে অবকাঠামো নির্মাণে। জুলাই অধিদপ্তর, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বসে এ তালিকা ঠিক করবে। আহত ব্যক্তিদের ভয়াবহতা অনুসারে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে।গত ৭ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনে ‘ঢাকার মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কর্মক্ষমতা হারানো জুলাই যোদ্ধা পরিবারের স্থায়ী বাসস্থান প্রদানে এক হাজার ৫৬০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ শিরোনামে প্রকল্পের ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়। গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা আশা করছেন, চলতি মাসেই জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের জন্য আলাদা দুটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পাবে। এ দুটি প্রকল্পই ২০২৯ সালে শেষ হবে।ভোরের আকাশ/জাআ