ছবি: ভোরের আকাশ
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিস্ফোরক, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ সাত মামলার আসামী বহিস্কৃত যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম পিন্টুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা অধ্যাপক ডা: রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে পিন্টুকে পুলিশে সোপর্দ করেন তিনি।
অভিযুক্ত যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু (৩৫) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগে তাকে যুবদল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যুবদলের নাম ব্যবহার করে বেপরোয়া হয়ে উঠে জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি অর্ধশত সন্ত্রাসী বাহীনি মাথায় লাল কাপড়, হাতে রাম দা নিয়ে মহড়া ও মাইকে প্রকাশ্যে চাঁদা চাওয়ার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরপরই যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি তাকে বহিষ্কার করে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক, চাঁদাদাবি, মাদকসহ সাতটি মামলা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক অধ্যাপক ডাঃ রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, বুধবার সকালে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বাড়ির পাশে মতবিনিময় করছিলাম। এসময় ওই পথ ধরে যাচ্ছিল সাত মামলা আসামী বহিস্কৃত যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু। নেতাকর্মীদের দেখে দৌড় দেয়। পরে তাকে ধরে এনে দৌড় দেয়ার কারণ জানতে চাইলে মামলাসহ বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।
গত মঙ্গলবারও একটি শিল্প কারখানায় দলীয় পরিচয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করাসহ দলীয় পদপদবী ব্যবহার করে নানা অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। বিষয়টি জানার পরপরই সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর আলম পিন্টুর অবস্থান পুলিশে জানানো হয়। পরে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এবিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, রাম দা নিয়ে মহড়া ও মাইকে প্রকাশ্যে চাঁদা চাওয়ার ঘটনায় মামলার পর থেকেই জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু আত্মগোপনে ছিল। সে পলাতক আসামী। বুধবার বিএনপি নেতা তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন। তার নামে শ্রীপুর থানায় বিস্ফোরক, অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ সাতটি মামলা রয়েছে। রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষের পর শহরে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক ও নিস্তব্ধতা। বিকেলের দিকে এনসিপির শীর্ষ নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সাঁজোয়া যানে নিরাপদে স্থান ত্যাগ করার পর পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে শহরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে থমথমে পরিবেশ।বিকেল থেকে শহরের রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। দোকানপাট দুপুরের আগেই বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যার পর পুরো শহর যেন নিস্তব্ধতায় ডুবে যায়। মানুষের চলাচল সীমিত হয়ে আসে। শহরের বেশির ভাগ স্থানে রিকশাও চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, খুবই সীমিত সংখ্যক রিকশা চোখে পড়ে। তবে ইজিবাইক কিংবা অন্য কোনো যানবাহনের দেখা মেলেনি।শহরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় দেখা যায় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া টায়ার, ভাঙা ইট, কাঠ ও বাঁশ পড়ে আছে—যা সংঘর্ষের সময়কার ব্যবহৃত সরঞ্জামের সাক্ষ্য দেয়। তবে রাত পর্যন্ত কোনো জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় উপস্থিতি চোখে পড়েনি।ভোরের আকাশ//হ.র
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র পদযাত্রায় হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে ফেরার পথে সৈয়দপুরে অবরোধের মুখে পড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের চার উপদেষ্টা।বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর সড়কে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে অংশ নেন এনসিপি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।এ সময় রংপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বিমানবন্দর সড়কে আটকে দেওয়া হয় পানিসম্পদ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা ড. রফিকুল আবরার এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমের গাড়িবহর।গাড়ি থেকে নামার পর উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান ও আসিফ নজরুলকে তোপের মুখে ফেলেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, “প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার সুযোগে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ গোপালগঞ্জে পদযাত্রায় হামলা চালিয়েছে। আমরা দোষীদের বিচার চাই।”পরে দুই উপদেষ্টা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে দোষীদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশ করেন।ভোরের আকাশ//হ.র
মাদারীপুর জেলার শিবচরের মুন্সি কাদিরপুর ইউনিয়নের ৯৬ নং সোনামিয়া মাদবরের কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ফারহানা আক্তার (৫) নামের এক শিশুকে অপহরণের চেষ্টার সময় এক নারীকে আটক করেছে এলাকাবাসী।বুধবার (১৬ জুলাই) এ ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অপহরণ চেষ্টাকারী ইতি আক্তার নামের ঐ মহিলাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়।বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক জানান, সকাল ৯টার দিকে ওই মহিলাকে বিদ্যালয়ের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয়।এ সময় মহিলাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তার মেয়ে ফারহানা আক্তার এই স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। পরে শিক্ষক জানান, প্রথম শ্রেণিতে ফারহানা নামে কোনো ছাত্রী নেই। এরপর মহিলাকে তাদের অফিসে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় লোকজনকে খবর দিলে তারা মহিলার হাতে বাচ্চাদের জুস ও অ্যান্টিবায়োটিকের প্যাকেট দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়।আটককৃত ইতি আক্তার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রাথমিক স্কুলগামী শিশুদের টার্গেট করে তাদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণ চুরি করতেন। আজ কাদিরপুরে এই কাজ করতে গিয়ে তিনি এলাকাবাসীর রোষানলে পড়েন। থানায় পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইতি আক্তার চুরির কথা স্বীকার করেন।তিনি জানান, তিনি শিশু অপহরণকারী নন, বরং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শিশুদের কান ও গলার স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়াই তার উদ্দেশ্য ছিল। এই ঘটনায় অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বিদ্যালয়ের চারপাশে সুরক্ষা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।এ বিষয়ে শিবচর থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজহার আলী (সুমন) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঐ নারী বিভিন্ন স্থানে গিয়ে শিশুদের স্বর্ণালংকার চুরির কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নড়াইলের লোহাগড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জাহাঙ্গীর শেখ (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার ছেলে নাহিদ শেখ (৩০) আহত হন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে নাহিদ শেখের মৃত্যু হয়।এর আগে সকাল সাড় ১১ টার দিকে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বাহিরপাড়া গ্রামের আইয়ুব মোল্যার ইট ভাটার পাশে এ হামলার ঘটনা ঘটে। লোহাগড়া থানার ওসি মোঃ শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাহিরপাড়া গ্রামের কাওছার শেখ ও জাহাঙ্গীর শেখের মধ্যে একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার দুই পক্ষ শালিস মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহত জাহাঙ্গীর শেখ ও তার ছেলে নাহিদ শেখ জমির আইল (জমির সীমানা নির্ধারণের জন্য বাঁধ) কাটছিলেন।এ সময় কাউসার শেখ পক্ষের কয়েকজন জাহাঙ্গীর ও নাহিদ শেখকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এতে জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত নাহিদ শেখকে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নড়াইল জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।লোহাগড়া থানার ওসি মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ