হাসিনা ও তার দোসরদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে যুবদলের বিক্ষোভ
স্বৈরাচার খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে ফাঁসির রায় কার্যকর অনতিবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবীতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২৪ মে) বিকালে বিক্ষোভ মিছিলটি আরামবাগ থেকে শুরু করে ফকিরাপুল, নয়াপল্টন হয়ে কাকরাইল মোড় ঘুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক মামুন, আসিফুর রহমান বিপ্লব, মো. জিন্নাহ, জাকির হোসেন বাবু, আতাউর রহমান, সাবেক সদস্য ইমরান খান ইমন, গোলাম কিবরিয়া শাহীন, সাজ্জাদ হোসেন রতন, সালাহউদ্দিন শামীম, সাইফুল ইসলাম, আরমান হোসেন, এম এ কালাম, মেহেদী হাসান নয়ন সহ বিভিন্ন থানার নেতৃবৃন্দ।
এতে সাবেক যুগ্ন আহবায়ক আসিফুর রহমান বিপ্লব বলেন, আমরা আন্দোলনের অগ্রভাগের সৈনিক। কিন্তু আজ আমরা পদবিহীন। আমরা পদের জন্য লালায়িত নই। আমরা শহীদ জিয়ার সৈনিক, তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের সৈনিক, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সৈনিক। আমরা খুনী হাসিনার বিচার চাই। অবিলম্বে ১৮ কোটি জনগণের প্রত্যাশা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আর যারা এখনও বিএনপি এবং দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন তাদেরকে জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করতে হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার সংক্রান্ত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে উপস্থাপন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।শনিবার রাতে যমুনা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এ তথ্য জানান।সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিসংবলিত জুলাই ঘোষণাপত্র সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তা প্রকাশের দাবি জানিয়েছি। জুলাই মাসেই এটি আসতে পারে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।”তিনি জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদানে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন খুব ধীরগতিতে চলছে। অনেকে এখনো সঞ্চয়পত্র বা ভাতা পাননি। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।নাহিদ বলেন, “শেখ হাসিনার আমলে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছি। সেই সঙ্গে একটি নতুন কমিশনের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের প্রস্তাবও দিয়েছি।”তিনি আরও বলেন, “জুলাই গণহত্যার বিচার, সংস্কার, জুলাই সনদ এবং গণপরিষদ ও আইনসভা নির্বাচনের সমন্বয়ে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছি।”ছাত্র উপদেষ্টাদের প্রসঙ্গে এনসিপির অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি বলেন, “তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নয়। তাঁদের পদত্যাগের দাবিকে আমরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে করি এবং এর নিন্দা জানাই।”এর আগে একইদিন সন্ধ্যায় জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান এবং নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।বৈঠক শেষে জামায়াত আমির বলেন, “মানুষ গত ১৫ বছরে তিনটি নির্বাচনে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এবার তারা নিজেরাই সেই অধিকার প্রয়োগ করতে চায়। নির্বাচনের রোডম্যাপ ও সংস্কার ঘোষণা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”তিনি আরও বলেন, জামায়াত কারও পদত্যাগ দাবি করেনি। প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে যথাসময়ে জানানো হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আলোচনার মাধ্যমেই চলমান অস্থিরতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।এর আগে বিএনপির প্রতিনিধি দলও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে নিজ নিজ মতামত তুলে ধরে।ভোরের আকাশ//হ.র
নির্বাচন ও পূর্ববর্তী সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।রাত সাড়ে ৯টার দিকে যমুনা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনের সামনে জামায়াত আমির বলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, দুইটি বিষয় স্পষ্ট করা দরকার। প্রথমত, নির্বাচন কবে হবে—তা নিয়ে একটি পরিষ্কার সময়সীমা দরকার, যাতে জনগণ যেন কষ্ট না পায়। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনের আগে সংস্কার ও বিচারের কিছু দৃশ্যমান অগ্রগতি জনগণের সামনে আসা প্রয়োজন।”তিনি আরও বলেন, “সংস্কার ছাড়া যদি নির্বাচন হয়, তাহলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। তবে সব সংস্কার এখনই সম্ভব নয়। মাত্র পাঁচটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে—এগুলোর নিষ্পত্তি সন্তোষজনকভাবে করা জরুরি।”বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, “গত কিছুদিন ধরে দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি পদত্যাগের কথা না বললেও তার বক্তব্যে কিছুটা হতাশা ও বিরক্তি প্রকাশ পেয়েছিল। সেটিই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সমাজে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।”তিনি বলেন, “দেশটা আমাদের সবার। আমরা বিশ্বাস করি, দেশ ভালো থাকলে আমরা সবাই ভালো থাকব।”জামায়াতের প্রতিনিধি দলে আমির ডা. শফিকুর রহমান ছাড়াও ছিলেন নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। দলটি রাত ৮টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করে। এর আগে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বিএনপির প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।ভোরের আকাশ//হ.ন
সরকারের নিরপেক্ষতা রক্ষার স্বার্থে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ এবং উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শনিবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দলটির শীর্ষ নেতারা এই দাবি লিখিতভাবে তুলে ধরেন।বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং দুই ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলমের কারণে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা আগেও বলেছি, আজকেও লিখিতভাবে জানিয়েছি।”বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায় না, বরং শুরু থেকেই সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছে। তবে একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন জরুরি বলে দলটির দাবি।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, বৈঠকে সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন—এই তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, “সংস্কার নিয়ে সরকারের সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে। বিচার হবে স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে। এমনকি ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব—এই সম্ভাবনাও আলোচনায় এসেছে।”অন্যদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, “দেশে যে বিশৃঙ্খলা চলছে, একটি সুনির্দিষ্ট নির্বাচনের ঘোষণায় তা দ্রুত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।”বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, “নির্বাচন বিলম্বিত হলে স্বৈরাচারের ফিরে আসার ঝুঁকি রয়েছে। এ জন্য সরকারকে দায় নিতে হবে। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য রোডম্যাপ চাই।”শনিবার সন্ধ্যায় সাড়ে সাতটার দিকে বিএনপির চার নেতা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।ভোরের আকাশ//হ.র
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল।শনিবার (২৪ মে) রাত ৮টায় তারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্য হলেন নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।এর আগে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন।জামায়াতের পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ