বিএনপির ভূমিকা জনগণের কাছে প্রশংসিত: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জাতীয় সনদ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য, যার মাধ্যমে স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরি করতে পারি। তিনি আরও বলেন, বিএনপি সুনির্দিষ্ট মতামত দিয়েছে, ভিন্ন মত নিয়ে আলোচনা করতে চাই। গণতান্ত্রিক সংগ্রামে বিএনপির ভূমিকা দেশের মানুষ অবগত। তাদের ভূমিকা জনগণের কাছে প্রশংসনীয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বারবার আমরা দেখছি- এদেশে গণতন্ত্র হোঁচট খেয়েছে, ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এ দেশে। সেগুলো যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেজন্য গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো সংগ্রাম করেছে। এক্ষেত্রে বিএনপি অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফররাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ। আরো আছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল জবিউল্লাহ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের হাল ধরা অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দুই ধাপে ১১টি কমিশন গঠন করে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির বক্তব্যকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দিল্লি সফরে আছেন বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাবের সদস্যরা। সফরের অংশ হিসেবে গত ৬ অক্টোবর দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে কথা বলেন তারা। উঠে আসে বাংলাদেশে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের টানাপোড়েনের বিষয়টিও।দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে যে সরকার আসবে, তাদের সঙ্গে কাজ করতে ভারত প্রস্তুত।পররাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বলেন, এটি তাদের (ভারত) বিষয় নয়, এটি সম্পূর্ণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এই ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত।এ সময় বিভিন্ন দেশের ভিসা না দেওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভিসা নিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।বাংলাদেশের রেপুটেশনের প্রশ্নে ভিসা জটিল হয়ে গেছে, আমাদের ঘর গোছাতে হবে। উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের যাওয়ার হার নিয়ে কাজ চলছে, যোগ করেন তিনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২৪৪ জনকে গ্রেপ্তারের পর দলটির ঝটিকা মিছিলের সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঝটিকা মিছিল থেকে ২৪০ জনকে হাতেনাতে ধরার পর এ ধরনের কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। জনগণের সহযোগিতা পেলে সব ধরনের অপরাধ কমে আসবে।এ সময় সবার সহযোগিতা পেলে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জনগণ নির্বাচনমুখী হলে দেশে সব অপরাধ কমে আসবে।এ সময় রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতেতে ডিএমপিকে ২০টি নতুন গাড়ি হস্তান্তর করা হয়।ধাপে ধাপে মোট ২০০টি গাড়ি হস্তান্তর করা হবে বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘উপদেষ্টারা সেফ এক্সিট খুঁজছে, নাহিদ ইসলামের এই বক্তব্য তাকেই প্রমাণ করতে হবে। আমি কোনো এক্সিট খুঁজছি না। দেশেই ছিলাম, বাকিটা জীবনও বাংলাদেশেই কাটাবো।’বুধবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক দলের মতো নবগঠিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সরকারের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এখন সেই দলের প্রধান নাহিদ ইসলাম কী কারণে, কোন অভিমান থেকে উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিট বা এ সংক্রান্ত মন্তব্য করেছেন, সেটি তাদের দলের মন্তব্য। তাদের অনানুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য নিয়ে সরকারের পক্ষে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।’পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা নানা বিষয়ে নানা কথা বলে যাচ্ছেন, সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে। এটা বলা তাদের তো অধিকার! এটাই তো গণতন্ত্রের চর্চা। প্রতিটা বিষয় নিয়ে আমরা যদি প্রতিক্রিয়া দেখাই, প্রতিটা বিষয় নিয়ে যদি আমরা চিন্তা করি, তাহলে আমাদের মন্ত্রণালয়গুলো আমরা কখন চালাবো। সরকার সেই বিষয় নিয়ে কথা বলবে। সে বিষয় নিয়ে কাজ করবে, এনগেইজ হবে, সবাইকে জানাবে। অনানুষ্ঠানিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষে কিছু বলা সম্ভব না। তাকে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হবে। তার বক্তব্য তো আমার সাবস্টেনশিয়েট করার বিষয় না। আমার খণ্ডানোরও বিষয় না। বক্তব্য সুনির্দিষ্ট হলে হয়তো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কথা বলা হতো। এটা হয়তো তাদের ধারণা, তারা মনে করে, তাদের বক্তব্য হিসেবে বলেছে। এখানে সরকারের অবস্থান নেওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই। সরকারের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই।’নির্বাচন নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। বিচার বিচারের গতিতেই চলছে। সঠিক বিচার হোক সেটাই চাই।’পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়নি, বলা যাবে না। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ঐকমত্য বাস্তবায়ন কীভাবে হবে সেটাই বিষয়। অনেক রাজনৈতিক দল নানা কথা বলে যাচ্ছে। এটাই তাদের অধিকার। তাদের প্রতিটা বিষয় নিয়ে চিন্তা করলে, মন্ত্রণালয় চালানো যাবে না।’ভোরের আকাশ/এসএইচ
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামোর উন্নয়নসহ জাহাজ নির্মাণশিল্পে বিনিয়োগের বিষয়ে তাদের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে ডেনমার্কের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় লালদিয়ার চরে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কাউন্সিলের আসন্ন (২০২৬-২৭ মেয়াদে) নির্বাচনে ক্যাটাগরি ‘সি’-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে ডেনমার্ক সরকারের সমর্থন কামনা করেন।তিনি আইএমও ভুক্ত সকল সদস্য রাষ্ট্রের মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে ডেনিশ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এবং ডেনমার্কের পক্ষেও আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের সমর্থন কামনা করেন। উপদেষ্টা ডেনমার্কের প্রতি বাংলাদেশের অকুন্ঠ সমর্থন থাকবে মর্মে রাষ্ট্রদূতকে জানান।নৌপরিবহন উপদেষ্টা পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, আইএমও কনভেনশন বাস্তবায়ন, ডিজিটালাইজেশন এবং সমুদ্র দূষণ রোধে বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। নৌপরিবহন উপদেষ্টা টেকসই সামুদ্রিক উন্নয়নের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আইএমও’র কার্বনমুক্ত ভবিষ্যৎ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থনের কথা জানান। নৌপরিবহন উপদেষ্টা জাহাজ নির্মাণ শিল্পসহ অন্যান্য সেক্টরে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সাক্ষাৎকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ